বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফেনী জেলা সংবাদদাতা : ফেনী সদর হাসপাতালের ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডা: মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তিনি স্থানীয় এবং প্রভাবশালী হওয়ায় কারো কথা শুনেন না। সিভিল সার্জন, সদর হাসপাতালের তত্তবধায়ক, আরএমও, সিনিয়র ডাক্তারসহ সকলেই তাকে ভয় পান। তার সেচ্ছাচারীতা, কর্তব্যে অবহেলা এবং রোগীদের প্রতি দুর্ব্যবহার অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেড়ে গেছে। তাকে নির্ধারিত সময়ে হাসপাতালে পাওয়া যায় না। ইতোমধ্যে এ ডাক্তার ঢাকা-চট্টগ্রামে একাধিক বাড়ি ও প্লট, ফ্লাটের মালিক হয়েছেন। মঙ্গলবার ডা: মোবারকের বিরুদ্ধে ফেনী জেলা সিভিল সার্জন ও সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্তবধায়ক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবিরের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ফেনীতে চিকিৎসা নিতে আসা হাজেরা বেগম। অভিযোগে বলেন, খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙা উপজেলার বড়নাল গ্রামে বসবাস করেন তিন্।ি তার স্বামীর নাম মো. মোস্তফা। সম্প্রতি নাকের পলিপের চিকিৎসার জন্য ছেলে তোফায়েলকে সাথে নিয়ে ফেনীতে আসেন। সদর হাসপাতালে ডা: মোবারক হোসেনের কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে ডাক্তারের দালালেরা মহিলাকে ফেনী ক্লিনিকে নিয়ে যায়। এ ক্লিনিকেই নিয়মিত প্রাইভেট চেম্বারে বসেন মোবারক। এক পর্যায়ে ৫‘শ টাকা ভিজিটের মাধ্যমে ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়ে অপারেশন খরচ ২০ হাজার টাকা লাগবে বলে জানান। আবার টাকা দিতে পারলে তখনই অপারেশন করার প্রস্তাব দেন। দরিদ্র মহিলা হাজেরা দীর্ঘ ২ সপ্তাহ ধরে অনেক চেষ্টার পরও ৫ হাজার টাকার বেশি জোগাড় করতে না পেরে এক আত্মীয়ের শরণাপন্ন হন। এক পর্যায়ে তার আত্মীয় মহিলাকে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারের কাছে নিয়ে যায়। ডা: অসীম কুমার সাহা হাজেরাকে আশ্বস্ত করে ফোনে মোবারক হোসেনকে বিষয়টি অবগত করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।