বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আমতলী উপজেলা সংবাদদাতা : বরগুনার আমতলী বাঁধঘাট চৌরাস্তায় বাস ও মাহিন্দ্রা চালকদের মধ্যে গতকাল সংঘর্ষে আমতলী থানার ওসি শহিদ উল্লাহসহ ৭ পুলিশ এবং ২২ শ্রমিক আহত হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শ্রমিকদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ১৯ জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে, দীর্ঘদিন ধরে আমতলী বাস মালিক ও মাহিন্দ্রা মালিকদের মধ্যে রুটে গাড়ি চলাচল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সোমবার সকালে বরগুনা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নুরুজ্জামান, পুলিশ সুপার বিজয় বসাক ও আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মুশফিকুর রহমান এর কক্ষে দু’পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠকে বসার কথা ছিল। প্রশাসন উভয় পক্ষকে বৈঠকে বসার আহŸান করে। সকাল ১০ টার দিকে বাস ও থ্রি-হুইলার শ্রমিকরা বাঁধঘাট চৌরাস্তায় অবস্থান নেয়। দু’পক্ষের মধ্যে উত্তোজনা বিরাজ করে। এক পর্যায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। দফায় দফায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষ ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বাঁধঘাট চৌরাস্তায় আতংক ছড়িয়ে পরে। মুহূর্তের মধ্যে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। বরগুনা পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আমতলী থানার ওসি শহীদ উল্লাহ, ওসি (তদন্ত) নুরুল ইসলাম বাদল, এসআই মজিবুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, আবু হানিফা, সজল ও কনেস্টবল হাবিব, মোতালেব এবং শ্রমিক মোঃ ইব্রাহীম, মিজানুর রহমান, রাসেল, দুলাল চৌকিদার, কবির, বাশার, জুয়েল, আবুল কালাম, তৈয়ব গাজী, ছালাম মাতুব্বর ও মজিবর মাতুব্বরসহ ২২ জন আহত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।