২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
কখনো কখনো ইনফেকশন বা প্রদাহ ছাড়া, কারো মধ্যকর্ণে পানি জমে যেতে পারে যাকে অটাইটিস মিডিয়া উইথ ইফিউশন বলা হয়।
কখন কখন মধ্যকর্ণে পানি জমে :
অডিটরি টিউব যা নাক ও গলার সাথে কানের সংযোগ স্থাপন করে, কোনো কারণে এই টিউব বন্ধ হয়ে গেলে মধ্যকর্ণে পানি জমে যেতে পারে।
এভাবে পানি জমে যাওয়ার অন্যতম কারণ এডেনয়েড, যা কিনা এক ধরনের টনসিল নাকের পেছনে থাকে। এই এডেনয়েড ইনফেকশন বা প্রদাহ জনিত কারণে বড় হয়ে গেলে, অডিটরি টিউব বন্ধ হয়ে যায় এবং মধ্যকর্ণে পানি জমে যায়।
যে সকল বাচ্চাদের নাক ডাকার অভ্যাস আছে, তাদের মধ্যকর্ণে পানি জমে যেতে পারে।
অ্যালার্জি জনিত কারণে
ভাইরাল ইনফেকশন
নাক অথবা গলবিলের উপরের অংশের টিউমারের জন্য যদি অডিটরি টিউব বন্ধ হয়ে যায় তাহলেও মধ্যকর্ণে পানি জমে।
উপসর্গসমূহ :
এটি সাধারণত, দুই থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের মাঝে দেখা যায়।
কানে কম শোনা, সাধারণত, স্কুলগামী বাচ্চাদের মাঝে বেশি দেখা যায়। মা-বাবা তখনই লক্ষ্য করেন যখন তারা পড়ালেখায় অমনোযোগী হয় এবং কোনো প্রশ্নের উত্তর করতে পারে না। বধিরতা সাধারণত, দুই কানেই হয়। এই বধিরতা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে শুরু হয় এবং বড়দের ক্ষেত্রে তা ঠা-া লাগার পর হঠাৎ করে শুরু হয়।
মাঝে মাঝে কানে ব্যথা হতে পারে, বড়দের ক্ষেত্রে কানে ভোঁ ভোঁ শব্দ হতে পারে।
কানের পর্দা পরীক্ষা করলে, কানের পর্দা দেখা যাবে স্বাভাবিক বা পর্দা ভেতরের দিকে যেতে পারে এবং মাঝে মাঝে এটি গোলাপি রংয়ের হয়ে যেতে পারে। কানের পানি বা বাতাসের বুদবুদ কানে দেখা যেতে পারে। কখনো কখনো পানি দিয়ে মধ্যকর্ণ পূর্ণ হতে পারে।
প্রতিরোধ :
সাইনুসাইটিস থাকলে চিকিৎসা করাতে হবে
নাকের পেছনের টনসিল যা কিনা এডেনয়েড তা বড় হলে অপারেশন করে ফেলে দিতে হবে
রোধ প্রতিরোধ জনিত কোনো সমস্যা হলে তা ঠিক করতে হবে
প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা :
প্রাথমিক চিকিৎসা হিসাবে নাকের ড্রপ, এন্টিহিস্টামিন ব্যবহার করা যেতে পারে।
এতেও ভালো না হলে, কানের একটা ছোট অপারেশন “মাইরিংগোটমি” এবং পর্দায় একটি টিউব (গ্রুমেট বা ভেন্টিলেশন টিউব) বসানো হয়, এতে করে কানে আর পানি জমা হতে পারে না। ইহা কানের একটি মাইক্রো সার্জারি যা আমাদের দেশে নিয়মিত করা হচ্ছে।
ষ অধ্যাপক ডা. এম আলমগীর চৌধুরী
নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ সার্জন
বিভাগীয় প্রধান, ইএনটি বিভাগ
আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,
রোড ৮, ধানমন্ডি, ঢাকা, ০১৯১৯ ২২২ ১৮২
ই-মেইল : ধষধসমরৎ.পযড়ফিযঁৎু০৭@মসধরষ.পড়স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।