Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কমলালেবুর গুণাগুণ

| প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শীত আসা শুরু করতেই বাজারে এসে গেছে নানা রকম মৌসুমি ফল ও ফুলের সা¤্রাজ্য। বাঙালি এমনিতে সারা বছর ফল না খেলে কী হয় শীতকাল এলেই কিন্তু তার মনে পড়ে যায় অনেক রকম ফলফলাদির কথা। তার মধ্যে অন্যতম হলো শীতকালের কমলালেবু। শীত এলেই বাঙালি যেন কমলালেবুর টানে ঘরছাড়া হয়ে পাড়ি জমায় রোমান্সের সা¤্রাজ্যে। কিন্তু কমলালেবু যে শুধু রোম্যান্টিকতাই ছড়ায় না, সঙ্গে জমিয়ে দেয় আরও অনেকগুলো গুণাগুণ সে কথাই আলোচনা করা হলো আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনেÑ কমলালেবুর সবচেয়ে বেশি গুণাগুণ তার জুসেÑ এ কথা তো বলাবাহুল্য। কারণ যে কোনো সাইট্রাস ফ্রুটজুসের মতোই এতে আছে অনেকটা পরিমাণে ভিটামিন সি। তাতে ত্বকের নমনীয়তা যেমন বাড়ে তেমনভাবেই বেড়ে যায় নিজের ভেতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। কারণ কমলালেবুর ভেতরে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের জন্য যেমন দরকারি তেমনভাবেই তার মধ্যে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেওয়াতে সর্দি-কাশি বা ছোটোখাটো ফাটা বা ত্বকের ক্ষত সেরে যায় এমনিতেই। ফলে অনুজ্জ্বল বিবর্ণ ত্বক সারাতে এই কমলালেবুর অবদান অনস্বীকার্য। শুধু কমলালেবুর ফ্রুটজুস নয়, জুস নিয়ে নেওয়ার পরে কমলালেবুর যে আঁশগুলো পড়ে থাকে সেগুলো দলা করে নিয়ে গালে-কপালে-চিবুকে লাগিয়ে নিতে পারলে ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। সঙ্গে ঘাড়ে-কানে-গলায়ও লাগিয়ে নিতে পারেন। তাতে ত্বকের পোড়াভাব বা ট্যান পোরশন অনেক বেশি হাইলাইটেড হয়। লাগাতে পারেন হাতে বা পায়ের পাতায়। তাতে হাত ও পায়ের পাতায় কোমলতা বৃদ্ধি পায়। কমলালেবুর খোসাও ব্যবহার করতে পারেন ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজে। ভালো করে কমলালেবুর খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে সেটাকে গ্রাইন্ডারে পিষে নিয়ে তাতে মিশিয়ে দিন দুধের সর ও সামান্য বেসন। তারপর ভালো করে লেই তৈরি করে হাত কানে তা লাগিয়ে নিন। মিনিট দশেক সেই লেই মেখে রেখে দিলে মিনিট সাতেক পর থেকেই তাতে ত্বকের টান শুরু হয়ে যায়। আরও মিনিট তিনেক রাখার পরে তাতে টান সম্পূর্ণ হয়। তারপর খুব ভালো করে প্রথমে ঈষদুষ্ণ গরম পানিতে হাত-পা, মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে মৃত কোষগুলো ঝরে গিয়ে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বেড়ে যায় অনায়াসেই। তারপরে ঠা-া পানিতে আরেকবার ধুয়ে নিতে পারলে ত্বকের ওপেন হয়ে যাওয়া পোরসগুলোর মুখ বন্ধ হয়ে যায়। তাতে ত্বকের ময়েশ্চারাইজিং লেভেলটা যেমন ঠিক থাকে তেমনভাবেই মৃত কোষ ঝরে গিয়ে ত্বক ঝকঝক করে ওঠে। কমলালেবুর খোসা আরেকভাবেও ব্যবহার করতে পারেন। একটু রোদে শুকিয়ে নিয়ে তাতে মুড়মুড়ে ভাব ধরে এলে সেটাকে গুঁড়ো করে নিয়ে একটা কৌটোতে করে রেখে দিন। তারপরে রোদে বেরোনোর মিনিট দশেক আগে সেই গুঁড়োটা ভালো করে হাতে-কানে-গলায় লাগিয়ে নিয়ে তাতে একটু বুলিয়ে নিন। দেখবেন এর থেকে ভালো সানস্ক্রিন পাউডার আর হয় না। কারণ স্কিন ট্যানিংয়ের যে ন্যাচারাল পাওয়ার রয়েছে এই কমলালেবুর খোসায়, তাকে ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে ত্বক হেসে উঠবেই।
আফতাব চৌধুরী
লেখক : সাংবাদিক-কলামিস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন