Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাকুরির প্রলোভনে তরুণদের মধ্যে তামাকের প্রচারণা ‘ব্যাটল অব মাইন্ড’ বন্ধের দাবি

| প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে প্রত্যক্ষ প্রচারণা নিষিদ্ধ হওয়ায় ধূর্ত তামাক কোম্পানিগুলো তরুণ প্রজন্মকে ধূমপান ও তামাকের নেশায় আকৃষ্ট করতে নানা ধরনের প্রতারণামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করছে। নৈতিক অবস্থান ও আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তির আলোকে তামাক কোম্পানির এ ধরনের প্রতারণামূলক কার্যক্রমে সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই যেন তামাক কোম্পানি প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সচেতন ও সক্রিয় হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
গতকাল স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাবিøউবিবি) ট্রাস্ট-এর যৌথ আয়োজনে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। ‘জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে সামাজিক দায়ববদ্ধতা কর্মসূচির আড়ালে তামাক কোম্পানি কর্তৃক তরুণদের আকৃষ্টকরণ কর্মসূচি প্রতিহত করতে করণীয়’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর ভিসি প্রফেসর ড. এম ফিরোজ আহমেদ। ডাবিøউবিবি ট্রাস্ট-এর পরিচালক গাউস পিয়ারী’র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রাশেদ নূর, হেলথব্রিজ-এর আঞ্চলিক পরিচালক দেবরা ইফরইমসন। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাবিøউবিবি ট্রাস্টের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান এবং সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের ত্রৈমাসিক পত্রিকা সমস্বর’র নির্বাহী সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সুজন।
প্রবন্ধে সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, চাকুরির নামে ব্যাটল অব মাইন্ড শিরোনামে একটি প্রতিযোগিতা দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছে। চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে তরুণদের মধ্যে প্রাণঘাতী পণ্যের প্রচারণা ও তাদের তামাকের নেশায় ধাবিত করা এবং নীতি-নির্ধারকদের মধ্যে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার জন্য এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। গত ১০ বছরে ১৮ হাজার তরুণের মধ্যে পরিচালিত কর্মসূচি থেকে মাত্র ১০০ জন এন্ট্রি লেভেলের চাকুরি দেয়া হয়েছে।
তামাক সেবনের ভয়াবহতা তুলে ধরে ড. এম ফিরোজ আহমেদ বলেন, উন্নত দেশগুলোতে তামাকের উৎপাদন ও ব্যবহারের হার কমায় বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ঝুঁকছে। তামাকের কারণে দেশের অর্থনীতি তথা খাদ্য নিরাপত্তা, জনস্বাস্থ্য, বনজসম্পদ, পরিবেশ-প্রতিবেশ, মাটির স্বাস্থ্য ইত্যাদি সবকিছুতেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যেহেতু তরুণরাই তামাকের প্রধান ভিকটিম, তাই তরুণদের এ ব্যাপারে সচেতন করে তামাকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় একটি ধূমপানমুক্ত প্রতিষ্ঠান। তরুণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত উপস্থাপন ও তাদেরকে পরোক্ষ ধূমপানের হাত থেকে রক্ষা এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাকুরি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ