Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঠাকুরগাঁও পবিসে চাকুরিচ্যুৎ হল বগুড়ার ওয়াদুদ

পরকীয়ায় ২য় বিয়ে ঃ তদন্তে দোষ প্রমাণিত

বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০২০, ৪:৪১ পিএম

মিথ্যা তথ্যে চাকরি গ্রহণ সহকর্মীর সাথে পরকীয়া অতঃপর তাকে বিয়ে এবং ১ম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া ২য় বিয়ের কারণে ঠাকুরগাঁও পল্লি বিদ্যৎ সমিতির অফিস সহায়ক (পিয়ন) বগুড়ার নসরতপুরের আব্দুল ওয়াদুদ কে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঠাকুগাঁও পবিস এর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) আবু আশরাফ মোঃ ছালেহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওয়াদুদ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর ইউপির হলুদঘরের মৃত হাফিজার রহমানের পুত্র। সে রাণী শংকৈল সাব জোনাল অফিসে কর্মরত ছিলেন।
ওয়াদুদ পঞ্চগড় জোনাল অফিসে কর্মরত থাকা অবস্থায় ঐ অফিসের বিলিং সহকারী শামীমা আকতার তার সাথে পরকীয়ায় জড়ায়। দেড় বছর ধরে তাদের অবৈধ সম্পর্ক চলতে থাকে এবং শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়। ওয়াদুদকে রাণীশংকৈল অফিসে বদলি করা হয়। এতে ও শামীমা ওয়াদুদকে অবৈধ সম্পর্কের জালে আবদ্ধ রাখে। সে রাতের আঁধারে পঞ্চগড় থেকে ওয়াদুদের রাণীশংকৈল এসে রাত কাটাতে থাকে। বিষয়টি জানাজানি হলে গত ২৪ মার্চ শামীমাকে ২য় বিয়ে করে। বিয়ের কাবিন নামায় উল্লেখ করে ‘ইহায় ওয়াদুদের একমাত্র প্রথম স্ত্রী’। ওয়াদুদ তার জন্ম তারিখ ২৬/১০/১৯৯৫ উল্লেখ করে। শামীমা আক্তার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাতপুর গ্রামের শাহাদত হোসেনের কন্যা। ওয়াদুদ তার চাকরির দরখাস্তে জন্ম সনদে ০১/০২/১৯৯৭ তারিখ উল্লেখ করে। আবার আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর ইউপির সার্ভারে ওয়াদুদের জন্ম তারিখ ২৬/১০/১৯৯১ দেখা যায়। যার জন্ম নিবন্ধন নং- ১৯৯১১০১০৬৬৭০২১২৫৯।

ওয়াদুদ ২০১৩ সালের ১লা আগষ্ট বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর ইউনিয়নের ধনতলা গ্রামে মৃত মোকলেছুর রহমানের মেয়ে রোজিনা বানুকে বিয়ে করে। সে ৫ বছর বয়সী এক পুত্র সন্তানের জনক। এর পর ১৫/১১/২০১৫ সালে অফিস সহায়ক পদে আবেদনে অবিবাহিত বলে মিথ্যা তথ্য দেয়। ওয়াদুদের কাগজপত্র যাচাইয়ে এই তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হয়। তার জন্ম তারিখও তিন রকম দেখা যায়। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করে। ওয়াদুদের পরকীয়ায় বিরক্ত হয়ে তার সহকর্মীরা তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের নিজ দপ্তরে। অভিযোগের তদন্ত শুরু হলে ওয়াদুদ তার প্রথম স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকে সে যেন সত্য প্রকাশ না করে এবং স্ত্রী ও তার ভাইয়ের কাছে ৮ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতির জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এই অনুমতি না পাওয়া গেলে তার শিশু পুত্র সহ তাকে হত্যার হুমকি দেয়। তদন্ত কমিটি ওয়াদুদ ও প্রথম স্ত্রী রোজিনা বানু অনৈতিক ভাবে বিয়ে করা দ্বিতীয় স্ত্রী শামীমা আক্তার ও অফিসের ১৬ জন সহকর্মীর সাক্ষ্য ও জবানবন্দি গ্রহণ করেন। মিথ্যা তথ্যে চাকরি গ্রহণ ও প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ের মত ফৌজদারি অপরাধ প্রমাণিত হয়। পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির চাকরি বিধি অনুযায়ী অসদাচরণ ও সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করায় দোষী সাব্যস্ত হয় এবং এই স্মারক নং- ২৭.১২.৯৪৯৪.৫২৬.০১.১০.২০.৪২৭৮ অনুযায়ী ০৬/০৯/২০২০ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাকুরিচ্যুৎ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ