পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স উপর্যুপরি দ্বিতীয় বছরের মতো মুনাফা অর্জন করেছে। বিদায়ী অর্থবছর অর্থাৎ ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বিমান কর-পরবর্তী নিট মুনাফা অর্জন করেছে ২৭৬ কোটি টাকা। এর পূর্ববর্তী অর্থবছরে অর্থাৎ ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে কর-পরবর্তী মুনাফার পরিমাণ ছিল ৩২৪ কোটি টাকা অর্থাৎ বিগত দুই অর্থবছরে বিমান ৬০০ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করেছে। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বিমান রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ৩১০ কোটি টাকা রাজস্ব কর প্রদান করেছে।
২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বিমান যাত্রী বহন করেছে ২৩ লক্ষ ১৮ হাজার, যা পূর্ববর্তী অর্থবছরে ছিল ২০ লক্ষ ২০ হাজার। কার্গো পরিবহন খাতে বিমান ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে ৪০ হাজার ৯শ’ মেট্রিক টন মালামাল পরিবহন করেছে, যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের চেয়ে ০৭ শতাংশ কম। মূলত ৮ মার্চ ২০১৬ তারিখে যুক্তরাজ্য সরকার কর্তৃক কার্গো পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করার কারণে কার্গো পরিবহন তুলনামূলক কিছুটা কম হয়েছে।
বিশ্ববাজারের তুলনায় বাংলাদেশে এভিয়েশন জেট ফুয়েলের তুলনামূলক অধিক মূল্য এবং কার্গো পরিবহনে যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা সত্তে¡ও বিমানের এই মুনাফা অর্জন নিঃসন্দেহে একটি উল্লেখযোগ্য সফলতা। বিমানে গ্রাহকের আস্থা এবং যাত্রীসংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে বিমান যাত্রী পরিবহন করেছিল ১৫ লক্ষ ৭১ হাজার। ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ২০ লক্ষ ২০ হাজার এবং ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে বেড়েছে ২৩ লক্ষ ১৮ হাজার অর্থাৎ দুই বছরের ব্যবধানে বিমানে যাত্রীসংখ্যা বেড়েছে প্রায় আট লক্ষ।
২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার নিজস¦ ফ্লাইট ছাড়াও ২৬টি বৈদেশিক এয়ারলাইন্সের ১৮ হাজার ৬২৮টি ফ্লাইট হ্যান্ডলিং করেছে। বর্তমানে বিমান বহরে রয়েছে বোয়িংয়ের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ৪টি ব্র্যান্ডনিউ বোয়িং-৭৭৭-৩০০ইআর ও ২টি ব্র্যান্ডনিউ বোয়িং-৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট। এ ছাড়া বহরে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি লিজে সংগ্রহকৃত দু’টি বোয়িং-৭৭৭-২০০ এবং ২টি বোয়িং-৭৩৭-৮০০ ও অভ্যন্তরীণ গন্তব্যের জন্য ২টি ড্যাশ-৮ কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট। বিমান বহরের উড়োজাহাজগুলো বয়সের দিক দিয়ে অত্যন্ত নবীন এবং আধুনিক। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে বিমান বহরে যুক্ত হচ্ছে বিশ্বের সর্বাধুনিক ব্র্যান্ডনিউ ৪টি বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭। ইতোমধ্যে বিমান বোয়িং সংগ্রহকৃত ৬টি এয়ারক্রাফটের ক্রয় আদেশের বিপরীতে বিমান নিজস্ব অর্জিত আয় হতে ১২০০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে কানাডার এয়ারক্রাফট মেনুফ্যাকচারিং প্রতিষ্ঠান বোম্বারডিয়ার হতে তিনটি ব্র্যান্ডনিউ ড্যাশ-৮ কিউ৪০০ উড়োজাহাজ ক্রয়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, যা ‘জিটুজি’ পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হবে। বর্তমানে বিমান ১৫টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে এবং ৭টি অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচল করছে। বিমান এখন নতুন দিগন্তে। লোকসান কাটিয়ে বিমান এখন একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান। মুনাফার এই ধারা চলতি বছরেও অব্যাহত থাকবে বলে আমরা আশাবাদী। একই সাথে যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি এবং ফ্লাইট সিডিউল রেগুলারিটি নিশ্চিত করার জন্য বিমান নিরলসভাবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবার মান বাড়ানোর জন্য ১০০ কোটি টাকার গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্ট ক্রয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, আগামী ৩ মাসের মধ্যে যা দৃশ্যমান হবে। এছাড়া যাত্রী ও কার্গো হ্যান্ডলিং খাতে ইতোমধ্যে নতুন ৪৫০ জন কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। Ñপ্রেস বিজ্ঞপ্তি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।