Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্লান্তি নিয়েই অনুশীলনে মুশফিকরা

ঐতিহাসিক টেস্টে ফিরছে ঐতিহ্য

| প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : একদিন আগেই ভারত পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বাংলাদেশ সময় ১২টা ২০ মিনিটে ঢাকা ছাড়েন মুশফিক-তামীম-সাকিবরা। কোলকাতা থেকে ৭ ঘণ্টা ভ্রমণ শেষে হায়দরাবাদে পৌঁছান ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টায়। ওঠেন হোটেল তাজ ডেকানে। রাত পার করে সকালেও বিশ্রাম নেন টাইগাররা। এরপর বিকেলের দিকে অনুশীলনে নেমে পড়ে বাংলাদেশ দল। ৫ ফেব্রæয়ারি সেচুন্দেরাবাদের জিমখানা গ্রাউন্ডে একটি দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে হবে ম্যাচটি। প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো করতে পারলে মূল টেস্ট ম্যাচটিতেও ভালো করা সম্ভব হবে। তাই নিজেদের ঝালিয়ে নিতেই ব্যস্ত টাইগার শিবির। প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে ৭ ও ৮ ফেব্রæয়ারি সিরিজের একমাত্র টেস্ট ম্যাচ ভেন্যু রাজিব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে এরই মধ্যে আতিথ্য দিয়েছে হায়দরাবাদ। দক্ষিণ ভারতের এই শহরটার ধুলো কণাতেও যেন মিশে আছে ইতিহাস। ৯ ফেব্রæয়ারি শুরু যে টেস্ট, সেটিকে বলা হচ্ছে ‘ঐতিহাসিক’। এবার হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থা (এইচসিএ) বাংলাদেশ-ভারত ঐতিহাসিক টেস্ট উপলক্ষে ফিরে যেতে চাইছে পুরোনো এক ঐতিহ্যে।
২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট দিয়েই যাত্রা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের। অবশ্য এই প্রথম ভারতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে গেছে বাংলাদেশ। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ভারতে প্রথম টেস্ট উপলক্ষে এইচসিএ প্রকাশ করবে বিশেষ ক্রোড়পত্র। আগে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাটি তাদের ভেন্যুতে কোনো ম্যাচ পেলে সেই উপলক্ষে স্মরণিকা প্রকাশ করত। যে চলটা থেমে গিয়েছিল। বাংলাদেশকে উপলক্ষ করে আবারও নতুন করে স্মরণিকা প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে করে এক ম্যাচের এই সফরটার স্মৃতি অন্তত বইয়ের পাতায় থেকে যাবে। এইচসিএ ম্যাচটিকে বিশেষ এক উপলক্ষ মনে করছে। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার বর্তমান নির্বাহী কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর পুরো এক ঐতিহ্যকে আবারও জাগিয়ে তোলা। ভারতে বাংলাদেশ-ভারত প্রথম ঐতিহাসিক এই টেস্ট স্মরণীয় করে রাখতে আমরা একটি স্মরণিকা প্রকাশ করতে যাচ্ছি।’
এই ঐতিহ্য যে কত পুরোনো, সেটিও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে, ‘ভারত প্রথম যে কমনওয়েলথ দলটা সফরে এসেছিল, এইচসিএ তখন সেই ম্যাচের আয়োজন করে। সেকুনদরাবাদ জিমখানা মাঠে ম্যাচটি হয়েছিল। তখন থেকেই ম্যাচ উপলক্ষে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নব্বইয়ের দশকের শুরু পর্যন্ত এই রেওয়াজ ছিল। যখন বিদেশি কোনো দল ভারতে এসেছে, বিসিসিআই যখন একটি ম্যাচ হায়দরাবাদকে দিয়েছে, এইচসিএ সেই উপলক্ষে স্মরণিকা প্রকাশ করেছে।’
এবারের স্মরণিকাটি সংগ্রহে রাখার মতোই হবে। এতে লিখবেন ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী দলের ম্যানেজার পিআর মান সিং। আব্বাস আলী বেগ, মহিন্দর অমরনাথ, ভিভিএস ল²ণ, ভেংকটরাঘবন, সৈয়দ কিরমানির মতো সাবেক প্রখ্যাত ক্রিকেটারদের পাশাপাশি হার্শা ভোগলে, সুরেশ মেননের মতো ক্রিকেট ব্যক্তিত্বরাও লিখবেন। সঙ্গে থাকবে বাংলাদেশ-ভারত দ্বৈরথ নিয়ে নানা পরিসংখ্যান, ছবি ও কার্টুন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্লান্তি
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ