পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামী জিহাদি গ্রুপ আইএসের পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য ৮ শতাধিক লোক জার্মানি ত্যাগ করেছে। এই তথ্য দিয়ে জার্মানির দৈনিক সংবাদপত্র ‘দাই ওয়েল্ট’ গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছে, এই বিপুল সংখ্যক জার্মান জিহাদিরা যুদ্ধে যোগদানের জন্য সিরিয়া ও ইরাক পাড়ি জমিয়েছে। একই সময়ের মধ্যে যেসব ইসলামপন্থী আইএসের পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে গিয়েছিল তাদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ দেশে প্রত্যাবর্তন করেছে।
জার্মানির ফেডারেল ক্রিমিনাল দফতরের (বিকেএ) প্রেসিডেন্ট হোলগার মাঞ্চ জানিয়েছেন, চলতি বছরের শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত হিসাব করলে দেখা যাবে জার্মানি ত্যাগ করা জিহাদির সংখ্যা সামান্য বেড়েছে। তবে বেশ কিছুসংখ্যক জিহাদি সিরিয়া ও ইরাকে আইএসের পক্ষে যুদ্ধ করার পর পুনরায় জার্মানিতে ফিরে এসেছে। এসব জিহাদিদের ধরার জন্য জার্মানির বিভিন্ন সন্দেহজনক জায়গায় তল্লাশি চলছে। কিছু জিহাদিকে ধরাও হয়েছে এবং জার্মানির বিভিন্ন আদালতে তাদের বিচার হচ্ছে।
সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়, জার্মানি থেকে যুদ্ধে যাওয়া ১৩০ জনেরও বেশি জিহাদি সিরিয়া ও ইরাকে যুদ্ধের সময় মারা গেছে। এদের মধ্যে কিছুসংখ্যক মারা পড়েছে বিভিন্ন স্থানে আত্মঘাতী হামলা চালাতে গিয়ে। এরা বিদেশি যোদ্ধা হিসেবে আইএসের পক্ষে যুদ্ধে যোগদান করে।
এদিকে ক্রিমিনাল দফতর বিকেএ বলেছে, গত বছর জুন মাস পর্যন্ত সময়ে জার্মানি থেকে যে ৬৭৭ জন জিহাদি সিরিয়া এবং ইরাকের যুদ্ধে যোগ দিয়েছে তাদের বেশিরভাগের বয়স ছিল ২২ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। এই জিহাদিরা প্রায় সবাই পুরুষ। জিহাদিদের মধ্যে শতকরা ৬০ ভাগ জার্মান নাগরিক, যাদের ৬ ভাগের এক ভাগ ধর্মান্তরিত মুসলিম। এরা জিহাদি চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সিরিয়া কিংবা ইরাকে গমন করে।
সূত্র জানায়, জার্মানি এবং ইউরোপের অন্য দেশগুলো মধ্যপ্রাচ্য থেকে ফিরে আসা জিহাদিদের মোকাবেলার উপায় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কেননা, এসব জিহাদি দেশে ফেরার পর সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে বলে মনে করা হয়। তারা মধ্যপ্রাচ্য স্টাইলে ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও সুযোগ পেলেই জিহাদি লড়াই শুরু করে দিতে পারে বলে ব্যাপকভাবে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এএফপি, ডিডব্লিউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।