বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
মুহাম্মদ রেজাউর রহমান : নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ যে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছেন তাতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে দু’জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে অন্তর্ভুক্ত করে অনুসন্ধান কমিটির মধ্যে একটা ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। দু’জনই শিক্ষক হিসেবে প্রবীণ এবং এই প্রথমবারের মতো একজন মহিলা শিক্ষাবিদের অন্তর্ভুক্তি নারী সমাজের দীর্ঘদিনের দাবি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণকে বাস্তবায়িত করেছে। অনুসন্ধান কমিটি তাদের প্রথম বৈঠকে যে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা হলো- প্রেসিডেন্টের সাথে সংলাপে অংশগ্রহণকারী ৩১টি রাজনৈতিক দলের কাছে নির্বাচন কমিশন যাদের নিয়ে গঠন করা যেতে পারে- এরকম সম্ভাব্য ব্যক্তিদের পাঁচজনের একটি তালিকা চেয়ে পাঠানো এবং দেশের ১২ জন বিশিষ্ট নাগরিকের মতামত জানার জন্য তাদের সাথে সভায় মিলিত হওয়া। অনুসন্ধান কমিটির প্রধান সর্বোচ্চ আদালতের অন্যতম বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ২০১২ সালেও তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান কর্তৃক গঠিত প্রথম অনুসন্ধান কমিটিরও প্রধান ছিলেন। ৫ বছর পর তাকেই পুনরায় অনুসন্ধান কমিটির প্রধান করায় বিএনপির নেতৃবৃন্দ এর সমালোচনা করে বক্তব্য রেখেছেন।
কিন্তু বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তার অভিজ্ঞতালব্ধ দক্ষতার দ্বারা নতুন একটি নির্বাচন কমিশন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন- এটা আশা করাই যায়। বহুবার বিভক্ত ধারার ছোট মাঝারি বড় বহু রাজনৈতিক দলের এই দেশে সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য একটি দায়িত্ব সচেতন ও নিজেদের সাংবিধানিক ক্ষমতার সুষ্ঠু প্রয়োগকারী নির্বাচন কমিশন গঠন করা অনেক দুরূহ একটি কাজ। সেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে ছয়জনের অনুসন্ধান কমিটি যেভাবে দায়িত্ব পালনে এগিয়ে এসেছেন সে জন্যেই তাদের ধন্যবাদ দিতে হয়। স্বল্পতম সময়ে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নিতে সক্ষমÑ এরকম দক্ষ, সাহসী, অভিজ্ঞ ও মোটামুটি নিরপেক্ষ পাঁচজনকে নিয়োগদানের জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে পাঁচ বা ততধিক ব্যক্তির একটি তালিকা জমা দেয়ার কাজে ছয় সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান কমিটির সকলেই ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা যে মানসিক ও কায়িক পরিশ্রম করবেন তার জন্য তারা দেশের সকল সচেতন নাগরিকেরই ধন্যবাদ পাওয়ারযোগ্য। অনুসন্ধান কমিটির প্রধান সর্বোচ্চ আদালতের একজন বিচারপতি যিনি ২০১২ সালেও দেশের প্রতি তার কর্তব্য পালনে এগিয়ে এসেছিলেন। এছাড়া উচ্চ আদালতের অন্যতম বিচারপতি ওবায়দুল হাসানও একজন অভিজ্ঞ বিচারক। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান এবং কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল ও গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদে কর্র্তব্যরত দু’জন শীর্ষ কর্মকর্তা। দীর্ঘদিনের বিশ্ববিদ্যালয়-শিক্ষক দু’জনও সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। তাদের দ্বারা প্রস্তাবিত একটি তালিকা থেকেই প্রেসিডেন্ট একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজনকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বেছে নেবেন। নির্বাচন কমিশন গঠন প্রেসিডেন্টের এখতিয়ার। কীভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন সে সংক্রান্ত আইন না থাকায় দেশের ৩১টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি দলের সাথে প্রেসিডেন্টকে দীর্ঘ একমাস যাবৎ সংলাপ চালিয়ে যেতে হয়েছে ও সংলাপ শেষে ছয় সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান কমিটি গঠন করতে হয়েছে। আশা করা যায়, আগামী সাধারণ নির্বাচনে গঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ প্রেসিডেন্ট কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় আইনটি প্রণয়ন করে ৫ বছর পরে যিনি প্রেসিডেন্ট থাকবেন- তাকে এত অধিকসংখ্যক রাজনৈতিক দলের সাথে মাসব্যাপী সুদীর্ঘ সংলাপের বোঝা ও সংলাপ শেষে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের পুনরাবৃত্তি করার কষ্ট থেকে রেহাই দেবেন।
বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দল হিসেবে একমাত্র আওয়ামী লীগ অনেক আইন জাতীয় সংসদে তাদের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে পাস করিয়ে নিয়েছে। এরশাদ-উত্তর আমলের আওয়ামী লীগ ও বিএনপি শাসনামলে যারা আইনমন্ত্রী ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় আইনটি না করার দায়ভার তাদেরই বহন করতে হবে।
আওয়ামী লীগ বিএনপিসহ ২৫টি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ১২৫ জনের নাম সার্চ কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্য থেকে ৩১ জানুয়ারি সার্চ কমিটি ২০ জনের একটি শর্টলিস্টও তৈরি করেছেন বলে জানা গেছে। যাহোক রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে পাঠানো নামের তালিকায় যারা আছেন তারা নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তি হবে বলেই সকলের বিশ্বাস। তবে কোনো দলের তৈরি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত যারা নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ পাবেন না তাদের জন্য গোটা মনোনয়ন প্রক্রিয়া সামান্য হলেও বিব্রতকর হবে। কারণ প্রস্তাবিত ব্যক্তিবর্গ নিজেরা প্রস্তাবক দলগুলিকে তাদের নাম পাঠাতে বলেননি বলেই মনে হয়। আবার যে দলের তালিকা থেকে একজনকেও বাছাই করা হবে না তাদের জন্যেও এটা সুখকর হবে না। আর এসবই হচ্ছে নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়া সম্বন্ধে প্রয়োজনীয় আইনটি না থাকার কারণে। অনুসন্ধান কমিটির তৎপরতা চলার পাশাপাশি উচ্চ আদালতে এ নিয়ে চলছে একটি রিট দরখাস্তের শুনানি ও রুল জারি। গত ১১ জানুয়ারি আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এই রিট দরখাস্তটি করেন। ৩০ জানুয়ারি সোমবার এর ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানির পর বিচরপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, নির্বাচন কমিশন ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে ৩০ জানুয়ারি সোমবার সুশীল সমাজের ১২ জন বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের মতামত নিয়েছেন অনুসন্ধান কমিটি। এই ১২ জন বিশিষ্ট নাগরিক হচ্ছেন হাইকোর্ট বিভগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আব্দুর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ে মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এস এম এ ফায়েজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক পুলিশ আইজি নুরুল হুদা, আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমদ এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। এদের মধ্যে এম সাখাওয়াত হোসেন, ড. তোফায়েল আহমদ ও বদিউল আলম মজুমদার তাদের পরামর্শ ও প্রস্তাব লিখিত আকারে জমা দিয়েছেন।
অন্যান্য সকলে আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন যে, যারা অতীতে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য বা সমর্থক ছিলেন অনুসন্ধান কমিটি প্রেসিডেন্টের কাছে যেন তাদের নাম পাঠানো থেকে বিরত থাকেন। নির্বাচন কমিশনের প্রধান ও অন্য চারজন নির্বাচন কমিশনার যাতে নির্বাচন পরিচালনার সময়ে সাহসী পদক্ষেপ নিতে পারেন এ বিষয়ে তারা গুরুত্ব আরোপ করে নির্বাচিত ব্যক্তিদের তালিকা প্রস্তুত করার পরামর্শ দেন। বিশিষ্ট নাগরিকরা আরো বলেছেন যে, তাদের সাথে অনুসন্ধান কমিটির বৈঠক যাতে শুধু লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত না হয়। বিশিষ্ট নাগরিকেরা দক্ষ, সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগে সক্ষম, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের ওপর জোর দিয়েছেন। কারণ, তাদের অভিজ্ঞতায় তারা দেখেছেন যে, নির্বাচনে সম্ভাব্য কারচুপি ও পেশিশক্তি ব্যবহার ঠেকাতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নির্বাচন কমিশন যথাযথ ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। নির্বাচনের সময়ে পেশিশক্তির ব্যবহার সাধারণত সরকারি দলের পক্ষেই করা হয়ে থাকে। ভোট কেন্দ্র দখল, বিরোধীদলীয় প্রার্থীর এজেন্টকে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া, একতরফাভাবে সরকারি দলের প্রার্থীর পক্ষে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স বোঝাই করা, ভোট কেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে দলীয় সশস্ত্র কর্মীদের অস্ত্র প্রদর্শন দ্বারা ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন ইত্যাদি দ্বারা নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করার যে ফ্রি স্টাইল কর্মকা- চালিয়ে যাওয়া হয়- তার সম্পূর্ণ দায়ভার পড়ে নির্বাচন কমিশন, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর। যেহেতু প্রশাসন ও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের যোগাযোগ সখ্য, স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের চাইতে অনেকগুণ বেশি মাত্রায় বিদ্যমান থাকে সেহেতু স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচনে নিরপেক্ষ ও হস্তক্ষেপ বর্জিত ভূমিকা গ্রহণে বাধ্য করার দায়দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশন কঠোরহস্তে সকল প্রকার অনিয়ম, বল প্রয়োগ ও কারচুপি বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে নির্বাচনে সরকারি দলের বিশাল বিজয়ের খেসারত হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে সরকারের আজ্ঞাবহ পুতুল, মেরুদ-হীন ও ঠুঁটো জগন্নাথ ইত্যাদি বিশেষণ অর্জন করতে হয়। ১২ জন বিশিষ্ট নাগরিক তাই অনুসন্ধান কমিটিকে স্বাধীনচেতা কর্তব্য পালনে কঠোরভাবে নিরপেক্ষ ও সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগে ইচ্ছুক ও সক্ষম ব্যক্তিদের নামের তালিকা প্রণয়নের পরামর্শ দিয়েছেন।
৩০ জানুয়ারি অনুসন্ধান কমিটি আরো পাঁচজন বিশিষ্ট নাগরিককে তাদের মতামত দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তারা হচ্ছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবু হেনা, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, ইংরেজি দৈনিক দি ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ। আশা করা যায়, তাদের সাথে মতামত বিনিময়ের ফলে অনুসন্ধান কমিটির সদস্যগণ আরও বেশি উপকৃত হবেন। অনুসন্ধান কমিটির নিকট পাঁচজনের নামের তালিকা পাঠাবার উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সভায় আরো একবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করেছেন। একটি অবাধ, মুক্ত ও সকল দলের অংশগ্রহণ-পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক- এটাই যদি তার ইচ্ছা হয়ে থাকে তবে তাকে অবশ্যই নিজ দলের বর্তমান নেতৃবৃন্দ যারা নিজেদের এলাকায় সশস্ত্র কর্মীবাহিনী ও টেন্ডারবাজ, দখলবাজ, ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ ও বখাটে সমর্থক ও সদস্যদের আশ্রয়-প্রশয় দিচ্ছেন তাদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মের মধ্যে আনতে হবে। নির্বাচন যদি শান্তিপূর্ণ, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুশৃঙ্খল না হয় তখনই গোটা নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।
লেখক : গবেষক ও প্রাবন্ধিক
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।