বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
মহিউদ্দিন খান মোহন : কেমন যেন তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির রাজনীতি। একের পর এক ইস্যু হাতছাড়া হচ্ছে, পক্ষ বদল করছে কল্পিত মিত্ররা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেয়া ‘লংশট’গুলো কোনোভাবেই যেন আটকাতে পারছে না দলটি। ফলে হজম করা গোলের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে দিন কে দিন। অতি সম্প্রতি যে দুটি বিষয় দেশের সর্বস্তরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান নিয়েছে সে দু’টোর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। প্রথমটি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর এবং সে সফরকালে বাংলাদেশ-ভারত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর। দ্বিতীয়টি বহুল আলোচিত সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে সরকারের সমঝোতা এবং তার ফলশ্রুতিতে কওমী মাদরাসা শিক্ষার সরকারি স্বীকৃতি।
প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়েই আলোচনা করা যাক। চারদিনের সফরে দিল্লি গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পূর্বাহ্নেই প্রচার হয়েছিল যে, এটি হবে ঐতিহাসিক সফর এবং এতে বাংলাদেশ বিপুল কিছু অর্জন করবে। বাংলাদেশ-ভারত প্রতিরক্ষা চুক্তি হবে এবং তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি সম্পন্ন না হলেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে, এমন কথা বলা হয়েছিল সরকারি মহল থেকেই। কিন্তু শেষপর্যন্ত দেখা গেল প্রতিরক্ষা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলেও তিস্তা বিষয়ে কোনো রকম আলোচনাই হয়নি। বরং অতীতে তিস্তার পানিবণ্টন বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে ‘আশ^াস বাণী’ শোনানো হলেও এবার যা শোনানো হয়েছে তাতে আক্কেল গুড়–ম হয়েছে কমবেশি সবার। আন্তঃরাষ্ট্রীয় চুক্তিতে কোনো দেশের অঙ্গরাজ্যের ভূমিকা থাকার কথা না থকলেও এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বাগড়া দেয়ার কথা কারো অজানা নয়। এবার তিনি বলেছেন- তিস্তায় বাংলাদেশকে দেয়ার মতো কোনো পানি নেই। বাংলাদেশকে পানি দিতে হলে অন্য দু’চারটি নদীর পানি এনে দিতে হবে। মমতা ব্যানার্জির এ মন্তব্য যে বাংলাদেশকে তিস্তার পানি থেকে বঞ্চিত করার সুস্পষ্ট উচ্চারণ সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
তারপরও সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে বলা হচ্ছে অত্যন্ত সফল ও ঐতিহাসিক একটি সফর। বিশ্লেষকরা অবশ্য মন্তব্য করছেন, এই সফর কোনো দিক দিয়েই বাংলাদেশকে লাভবান করতে পারেনি। বরং ভারতের জালে নতুনভাবে বন্দি করা হয়েছে বাংলাদেশের স্বার্থকে। সফর শেষে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছেন এই বলে যে, কারো কিছু চাইতে যাইনি। বন্ধুত্ব চেয়েছি, পেয়েছি। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে, তিনি বা তার সরকার ভারতের বর্তমান মোদি সরকারের স্নেহ-ভালোবাসা যে বেশ উষ্ণতা সহযোগেই পেয়েছেন সেটা না বললেও বোঝা যায়। প্রটোকল ভেঙে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি যখন বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়েছেন, তখনই সেটা অনুমান করা গেছে। যেসব চুক্তি এ সফরে হয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণ এখনো পাওয়া যায়নি। তবে, যেটুকু গণমাধ্যমে এসেছে তাতে এটা বোঝা যায়, সেখানে বাংলাদেশের স্বার্থকে খুবই গৌণ বিবেচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে প্রয়োজন না থাকলেও প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরকে অনেকেই ভারতের স্বার্থরক্ষা এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর ও চুক্তির বিষয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাওয়ার আগে বিএনপির পক্ষ থেকে মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা ‘দেশবিরোধী চুক্তি হলে জনগণ মেনে নেব না’ বলে বক্তব্য দিলেও ওই সম্ভাব্য চুক্তির বিরুদ্ধে কঠোর কোনো অবস্থানের কথা তারা বলেননি। প্রধানমন্ত্রী সফর শেষে দেশে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন- ‘তিস্তার পানি আসবেই। কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। তিনি বেঁচে থাকতে দেশের স্বার্থবিরোধী কিছু হবে না।’ প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পরদিন জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন- আওয়ামী লীগ ভারতের সহযোগিতায় ক্ষমতায় এসেছে এবং তাদেরই সহযোগিতায় ক্ষমতায় আছে। বেগম জিয়া বলেছেন, তার দল ক্ষমতায় গেলে দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি রিভিউ করা হবে। আর বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই ভারত সফর নিয়ে বেগম জিয়া এসব সমালোচনা করছেন।
একটি বিষয় অনেকেই লক্ষ করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফর এবং চুক্তিস্বাক্ষর সম্পর্কে বিএনপি খুব একটা জোরালো বক্তব্য দিতে পারেনি। নেতারা বিভিন্ন সভা-সেমিনারে চুক্তিকে ‘দেশবিরোধী’ এবং ‘জনগণ মানবে না’ বললেও সে জনগণকে নিয়ে জোরালো কোনো প্রতিবাদ করতে পারেনি। চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারক নিয়ে জনগণ আতঙ্কিত বললেও সে আতঙ্কের কারণ এবং তার বিরুদ্ধে জনগণকে সংগঠিত করে প্রতিবাদ মুখর হওয়ার কোনো আভাস পাওয়া যায়নি।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল বলছেন যে, ভারতের সঙ্গে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া অনেকটাই ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ ধরনের। যেহেতু স্বাক্ষরিত অনেক চুক্তিতেই বাংলাদেশের স্বার্থ সঠিকভাবে সংরক্ষিত হয়নি, তাই এর প্রতিবাদ না করলেও জনমনে প্রশ্ন উঠতে পারে। তেমনি সে প্রতিবাদের কারণে যাতে মোদি সরকার অসন্তুষ্ট না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখা হয়েছে। কেননা, বিএনপি মনে করে ভারতের বিজেপি সরকার তাদের প্রতি যথেষ্ট দয়ার্দ্র। যে কারণে ২০১৩ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা উৎফুল্ল হয়ে উঠেছিল। তারা কংগ্রেসের ভরাডুবি এবং বিজেপির বিজয়ে এতটা উচ্চসিত ছিল যে, তা অসঙ্কোচে প্রকাশও করেছিল। তাদের ধারণা ছিল এই যে, মোদি সরকার বিএনপিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসানোর জন্য যা প্রয়োজন তাই করবে। কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছিল যে, ভারতে যে দলই সরকার গঠন করুক, বাংলাদেশ বিষয়ে তাদের নীতি কখনোই বদলায় না।
তাছাড়া সরকারে যে দলই আসুক ভারতের রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন স্তরে যারা বসে আছে তারা যেদিকে স্টিয়ারিং ঘোরাবে সরকারও সেদিকেই যাবে। ফলে মোদি সরকারের মুখ বিএনপির দিক থেকে আওয়ামী লীগের দিকে ঘুরতে বেশি সময় লাগেনি। বিজেপি সরকারের ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির উচ্ছ¡াস প্রকাশ এখন তাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, সে সরকারের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকার যেসব চুক্তি করেছে তারা সেগুলোর বিরুদ্ধে তেমন কোনো প্রতিবাদ করতে পারছে না। আওয়ামী লীগকে যদি তারা ‘ভারতপ্রেমী’ বলে কটাক্ষ করে, তাহলে বর্তমানে বিএনপিকে বলা যায় ‘ব্যর্থ ভারতপ্রেমী’। যদিও দলটির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নীতি আদর্শ এটা ছিল না। ভারতের মুখাপেক্ষী হওয়া বা করুণা ভিক্ষা করে বিএনপি বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় যাবে প্রেসিডেন্ট জিয়া স্বপ্নেও তা ভেবেছেন বলে মনে হয় না।
বিএনপির জন্য দ্বিতীয় ধাক্কাটি হলো হেফাজত-সরকার সমঝোতা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে কওমী মাদরাসার দাওরায়ে হাদীস পরীক্ষাকে মাস্টার্সের স্বীকৃতি দান। ওই সমঝোতা বৈঠক ও এ সংক্রান্ত ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও হেফাজত প্রধান আল্লামা আহমদ শফীর যে হাস্যোজ্জ্বল ছবি গণমাধ্যমে প্রচার-প্রকাশ হয়েছে, তা দেখে অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে, ‘একেই বলে রাজনীতি!’ অনেকেরই মনে পড়েছে ২০১৩ সালের ৫ মে’র তান্ডবলীলার কথা। সেদিন হেফাজতের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে যা ঘটেছিল তা প্রকৃতই ছিল ভয়াবহ। সেদিনও বিএনপি সঠিক ভূমিকা পালন করতে পারেনি। অনেকেই মনে করেন, চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তাঁর দলের নেতাকর্মীদের হেফাজতের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে সেদিন ভুল করেছিলেন। তার ওই আহ্বানের ফলে সরকার শঙ্কিত হয়ে মধ্যরাতের পরই হেফাজতের কর্মীদের বিতাড়নের জন্য কঠোর হয়ে নেমেছিল। অথচ বিএনপির একজন নেতা বা কর্মীও সেদিন তাদের নেত্রীর নির্দেশে হেফাজতের পাশে দাঁড়ায়নি। রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহল বিএনপি চেয়ারপার্সনের সে বিবৃতিকে সঠিক ও সময়োপযোগী বলে মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য- সেদিন উদ্ভ‚ত পরিস্থিতিতে একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে বেগম জিয়ার বিবৃতির অবশ্যই প্রয়োজন ছিল। তবে, সেটা ওই রকম আহ্বান জানিয়ে নয়। উভয়পক্ষকে সংযত থেকে উত্তেজনা প্রশমন এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানানোই ছিল যুক্তিযুক্ত। কিন্তু সেটা করা হয়নি। শোনা যায়, গুলশান কার্যালয়ে বেগম জিয়া আহূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা বৈঠক শুরু হওয়ার সাথে সাথেই তার একজন করিৎকর্মা কর্মকর্তা গণমাধ্যমে ওই বিবৃতি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। এ নিয়ে পরবর্তীতে দলের মধ্যে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হলেও ওই কর্মকর্তাকে কোনো প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়নি।
সে সময় সরকারের পক্ষ থেকে হেফাজতের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সংঘর্ষ ও সহিংস ঘটনার পেছনে বিএনপির উস্কানি থাকার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছিল যে, হেফাজতের কাঁধে ভর করে বিএনপি দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার ষড়যন্ত্র করেছিল। হেফাজতের সমাবেশে সৃষ্ট গোলযোগ এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের উল্লিখিত বিবৃতি পর্যালোচনা করলে আনিত অভিযোগকে একেবারে উড়িয়ে দেয়া যাবে না। যদিও প্রকৃত সত্য এই যে, বিএনপি ওই ধরনের কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে বিবৃতিটি দেয়নি। তবে কথার ফাঁদে পড়ে যেমন অনেকে বিচারে দন্ডিত হয়, বিএনপির অবস্থাও হয়েছে সে রকম। বিষয়টি এতটাই কাঁচা হাতে হ্যান্ডেল করা হয়েছিল যে, দোষ না করেও দোষী হতে হয়েছিল বিএনপিকে।
সে সময় অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন যে, হেফাজত ছিল আসলে সরকারেরই সৃষ্ট। সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে হেফাজতের আমির আল্লামা শফীর অন্তরঙ্গ সম্পর্কের কথাও শোনা গিয়েছিল। এখন সরকারের সঙ্গে হেফাজতের সমঝোতা এবং তাদের দাবি মোতাবেক কওমী মাদরাসার স্বীকৃতি সে সম্পর্কের প্রমাণ বহন করে বৈকি!
কিন্তু প্রশ্ন হলো- অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে সম্ভাব্য রাজনৈতিক ফলাফল পর্যালোচনা না করে হেফাজতকে নিয়ে একটি অপরিপক্ব রাজনীতি কেন করতে গিয়েছিল বিএনপি? হেফাজতকে সমর্থন করে বিএনপি হলো দোষের ভাগী, আর আজ সে হেফাজতকে বাগে এনে রাজনৈতিক ফসল ঘরে তুলল সরকার তথা আওয়ামী লীগ।
অন্যদিকে ভারতে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসায় উল্লসিত হলো বিএনপি, আর এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের চলছে দহরম মহরম সম্পর্ক। এখানেও যে হিসাব কষতে বিএনপি ভুল করেছে সেটা বলাই বাহুল্য। এখন প্রশ্ন হলো- এধরনের তালগোল পাকানো রাজনীতি বিএনপি কি করতেই থাকবে?
লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।