বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট অফিস : সিলেটে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের উপ-পরিচালক কর্তৃক ‘যৌন হয়রানি’ ও অমানবিক ‘অশ্লীল আচরণের’ শিকার হয়েছেন কেন্দ্রের এক কর্মচারী। শুধু তাই নয়, কেন্দ্র থেকে ‘বের করে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে’ ওই কর্মচারীর শিশু কন্যা ও বোনকে। গতকাল সোমবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের কুক মমতা বেগম।
সিলেট মহানগরীর কুয়ারপাড় এলাকার মরহুম বাছন মিয়ার স্ত্রী মমতা বেগম। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আউট সোর্সিং কর্মচারী হিসেবে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে কুক পদে ২০১৫ সালে নভেম্বর মাসে নিয়োগ পান। কাজ করার কিছুদিন পর তার উপর কুনজর পড়ে প্রতিষ্ঠানের উপ-পরিচালক নূরে আলম সিদ্দিকীর। বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাবে প্রত্যাখান করলে সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২৭ আগস্ট তিনি মমতার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় তিনি তার জীবননাশসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করবেন বলে ভয়ভীতি দেখান। পরে মমতাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তারপর প্রতিষ্ঠানে থাকা তার শিশুকন্যা আশা (১১) ও বোন ফৌজিয়াকে (১২) জোরপূর্বক বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় শাহপরাণ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। জিডির প্রেক্ষিতে শাহপরাণ থানা পুলিশ তদন্ত করে ২১ অক্টোবর সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদলতে প্রতিবেদন দাখিল করে। যা গত ১ জানুয়ারি আদালতে শুনানি হয়। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে মমতা বেগম বলেন, ‘যৌন হয়রানি ও চাকরিচ্যুত হয়ে আদলতে বিচার প্রার্থী হয়েও অসহায় বোধ করছি। প্রতিনিয়ত নূরে আলম সিদ্দিকী আমাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনে থাকা আমার মেয়ে ও বোনের সাথে যোগাযোগ করতে দিচ্ছে না। তাদের পড়ালেখাও বন্ধ করে দিয়েছে। বছরের শুরুতে ওই প্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করছে না। যারা প্রতিষ্ঠানে আছে, তাদের পড়ালেখা বন্ধ করে দেয়ায় তাদের জীবন হুমকির সম্মুখীন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।