Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দাতার অভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন হচ্ছে না চিকিৎসা পাচ্ছেন না ৮০ শতাংশ রোগী

| প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : কিডনি প্রতিস্থাপনের চাহিদা অনুযায়ী দেশে যথেষ্ট পরিমাণে সঙ্কট রয়েছে। আইনি জটিলতা, পরিবার ছোট হওয়ায় দাতা না থাকা এবং দান পরবর্তী দাতাদের শারীরিক সমস্যাসহ বিভিন্ন কিডনি রোগীদের প্রতিস্থাপন অনেকটা সঙ্কটাপন্য। অবস্থার উত্তরণে উন্নত দেশের মতো মৃত ব্যক্তির শরীর থেকে সংগ্রহ করতে হবে। তাহলে বিপুলসংখ্যক কিডনি রোগী বাঁচানো সম্ভব। একই সঙ্গে মরণোত্তর কিডনি দান সামাজিক আন্দোলনে রুপ দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মিলনায়তনে ‘৫০০তম কিডনি প্রতিস্থাপন’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বরেণ্য ইউরোলজি ও নেফ্রোলজি বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান খানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, প্রো-ভিসি প্রফেসর ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, দেশের প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপনকারী বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এম এ ওয়াহাব, প্রফেসর গোলাম কিবরিয়া, প্রফেসর এ এ সালাম, অধ্যাপক এস এ খান, রফিকুল আলম, নেফ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর শহিদুল ইসলাম সেলিম, প্রফেসর ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল প্রমুখ। বক্তারা বলেন, পৃথিবীব্যাপী ক্রনিক কিডনি রোগের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। গড়ে ৩৫ হাজার রোগীর কিডনি স্থায়ীভাবে অকার্যকর হয়ে পড়ে। এর মধ্যে মাত্র ২০ ভাগ রোগী কিডনি প্রতিস্থাপনের আওতায় আসেন। তারা বলেন, ডায়াবেটিসের কারণে ৪১ ভাগ, উচ্চরক্তচাপজনিত সমস্যায় ৩৩ ভাগ, সংক্রমণজনিত কারণে ২৫ ভাগ রোগীর কিডনি রোগ দেখা দেয়। এ রোগ হলে বাঁচার উপায় দুটি, কিডনি নিয়মিত ডায়ালাইসিস এবং প্রতিস্থাপন। ডায়ালাইসিস অত্যন্ত ব্যয়বহুল চিকিৎসা তাই সবার পক্ষে এই প্রক্রিয়ায় বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ১৯৮২ সাল থেকে কিডনি প্রতিস্থাপন শুরু হয়। তারপর থেকে এ পর্যন্ত শুধুমাত্র বিএসএমএমইউতে ৫০৫টি সফল প্রতিস্থাপন হয়েছে। মধ্যে ১১ শিশু রয়েছে। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে একটি কিডনি প্রতিস্থাপনে ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকার প্রযোজন হলেও বিএসএমএমইউতে মাত্র এক লাখ ৬০ হাজার টাকায় কিডনি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যুর পর মস্তিষ্ক ছাড়া কিডনি, লিভার, লাং, হার্ট, চোখসহ বেশ কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করলে ১৫ থেকে ২০ জন মানুষকে স্বভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব। বিশেষ করে কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে দুই কিডনি বিকল রোগীদের নতুন জীবন ফিরিয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ‘মানব দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন’ সংশোধন প্রয়োজন বলেও তারা জানান।
সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সিনিয়র রিপোর্টার সেলিনা শিউলি মরণোত্তর দেহদানের ঘোষণার মাধ্যমে সামাজিক আন্দোলনে শরিক হওয়ার ঘোষণা দেন। ভিসি প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান খান, প্রোভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) শহীদুল্লাহ শিকদার মরণোত্তর দেহদানের ঘোষণা দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দাতা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ