Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশে দেশে ধর্মীয় শিক্ষার প্রসার ঘটলেও বাংলাদেশে সঙ্কোচন নীতি নেজামে ইসলাম পার্টি

যুব সমাজ রক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষা জরুরি

| প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভায় বক্তারা শিক্ষার সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে বলেছেন যে, ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে যুবমনের পরিবর্তন ঘটছে। একই কারণে দেশ আজ ফেতনা-ফ্যাসাদ, সহিংসতা, উগ্রতা, নাশকতা, নৃশংসতা, হিংসা ও বিদ্বেষের অনলে নিক্ষিপ্ত। এই অবস্থার পরিবর্তনের ধর্মীয় আবেগ, বিবেক ও যুক্তি বিকাশের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। যুবকদের মানসলোকে ও চেতনা রাজ্যে ইসলামী রুচিবোধ সৃষ্টির পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তাই পারস্পারিক সহানুভূতি, পরমতসহিষ্ণুতা ও সহমর্মিতা অটুট রাখার জন্যে ধর্মীয় শিক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ আশু প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় পুরানা পল্টনস্থ মাওলানা আতহার আলী (রহ.) মিলনায়তনে ‘শিক্ষা নীতি ও শিক্ষা আইন’ শীর্ষক নেজামে ইসলাম পার্টির বিষয়-ভিত্তিক আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে বক্তারা এসব কথা বলেন। সহ-সভাপতি অধ্যাপক এহতেশাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শিক্ষানীতি ও প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের বিভিন্ন দিকের ওপর আলোকপাত করে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেনÑ মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা শেখ লোকমান হোসেন ও মুফতি এ এন এম জিয়াউল হক মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এ কে এম আশরাফুল হক, অর্থ সম্পাদক মুফতি আবদুল কাইয়ুম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা মমিনুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক সৈয়দ মো: আহসান, ইসলামী ছাত্র সমাজের সভাপতি আবদুল্লাহ আল-মাসুদ, মহাসচিব মো; নুরুজ্জামান ও যুবনেতা মো: মনির হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ইদানিং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্ম শিক্ষাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। বেসরকারিভাবে দেশে দেশে গড়ে উঠছে পৃথক পৃথক ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পশ্চিমা বিশ্বের বহু দেশে পৃথক পৃথকভাবে খ্রিষ্টধর্ম শিক্ষা চালু করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ধর্ম শিক্ষার জন্য স্কুল কলেজ ছাড়াও ওয়াশিংটনে একটি ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি রয়েছে। এক কালের কমিউনিস্ট সোভিয়েত ইউনিয়নে ৭০ বছর পর আবার ধর্ম শিক্ষা শুরু হয়েছে। সমাজতান্ত্রিক মহাচীনেও ধর্মীয় শিক্ষা দিতে পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে কোনো বাধা নেই। যুক্তরাজ্যে সরকারিভাবে আলাদা খ্রিষ্টধর্ম ও ইহুদি ধর্ম শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। ভারতেও ধর্মীয় নীতির ভিত্তিতেই শিক্ষা ব্যবস্থা চলছে। ফ্রান্স ধর্মীয় বিদ্যালয়েও ভর্তুকি দিয়ে থাকে। জার্মানিতে ও গ্রিসে অর্থডক্স খ্রিষ্টধর্ম শিক্ষা চালু আছে। কানাডায় ক্যাথলিক ধর্ম শিক্ষার জন্যে বাজেট বরাদ্দ বাধ্যতামূলক। তুরস্কে ধর্ম শিক্ষাকে নিঃশেষ করে দেয়ার কামাল আতাতুর্কের প্রয়াস সফল হয়নি। সৌদি আরবসহসব মুসলিম দেশে কোনো না কোনোভাবে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি পৃথক ধর্মীয় শিক্ষা চালু আছে। সুতরাং ধর্মশিক্ষাকে উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দেশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ