Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মূর্তি অবিলম্বে অপসারণ না করলে ঈমান রক্ষায় কঠোর আন্দোলন হবে-পীর সাহেব চরমোনাই

| প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই ভাস্কর্যের নামে সুপ্রিমকোর্টে লেডি জাস্টিজ-এর মূর্তি স্থাপনকে পশ্চিমা সংস্কৃতি হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ খ্রিস্টান অধ্যুষিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিমকোর্টের সামনে সর্বোচ্চ আইনদাতা হিসেবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা.-এর নাম স্থাপিত্য করছে । বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সুপ্রিমকোর্টের সামনে গ্রীক দেবী লেডি জাস্টিস-এর মুর্তি স্থাপন করে মুসলিম সাংস্কৃতিক চেতনা ধ্বংসের চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি বলেন, লেডি জাস্টিজ-এর মূর্তি স্থাপন বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগণের সাংস্কৃতিক কোন অনুষঙ্গেরই অংশ নয়।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মুসলিম সংস্কৃতিতে বীরপূজার প্রচলন নেই। শিল্প-সংস্কৃতির যে উপাদান মুসলমানের তৌহিদের বা একত্ববাদের পরিপন্থি মুসলমানরা তা প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, মুহম্মদ বিন কাশেম থেকে শুরু করে কতো বীর রাষ্ট্রনায়ক তাঁদের কারো মূর্তি নির্মাণ করা হয়নি। মুসলমানের জীবন-চিন্তা মূর্তি নির্মাণের সম্পূর্ণ বিরোধী।
তিনি বলেন, যে কোনো স্মৃতি রক্ষার্থে নিজস্ব সংস্কৃতির অনুবর্তী হওয়া বাঞ্ছনীয়। মূর্তি স্থাপন করে স্মৃতি রক্ষার সংস্কৃতির সাথে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মন্ত্র ঐতিহ্য, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির সংশ্রব নেই। ইসলামে মূর্তি নির্মাণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেননা রাসূল সা. বলেছেন, আমি বাদ্যযন্ত্র ও মূর্তি ধ্বংসের জন্য প্রেরিত হয়েছি। কাজেই মূর্তি বাংলাদেশের ৯২ ভাগ মুসলমানের সংস্কৃতি নয়। তাই অবিলম্বে সুপ্রিমকোর্ট চত্বরের মূর্তি অপসারণ করতেই হবে। অন্যথায় ঈমান রক্ষার তাগিদে ঈমানদার জনতা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মূর্তি

২০ ডিসেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ