Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শরণার্থী শিবিরে আগুন দেখে বর্ণবাদী জার্মানদের উল্লাস

প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১০:১৩ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬

ইনকিলাব ডেস্ক : জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল অভিবাসীদের জন্য দরদ দেখালেও সাধারণ জার্মানরা ঠিক তার উল্টো। তারা অসহায় অভিবাসীদের জার্মানি থেকে বিতাড়নের জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসা এসব অভিবাসীকে রাখা হয়েছে বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে। কোথাও কোথাও হোটেলকে সাময়িকভাবে আশ্রয়শিবির বানানো হয়েছে। সেখানে ভবিষ্যতের আশা নিয়ে তারা কোনো রকমে টিকে থাকলেও তাদের ভোগান্তির শেষ নেই। তাই দেখা যায়, আশ্রয়শিবিরে আগুন লাগার পরও তারা তা নেভাতে এগিয়ে আসে না। বরং আগুনের ভয়ে চিৎকাররত অভিবাসীদের দেখে বর্ণবাদী মানসিকতার এই নিষ্ঠুর প্রকৃতির জার্মানরা কৌতুক করে মজা পায়।
এমনি এক অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে জার্মানির একটি শহরে। দেখা যায়, দাউদাউ আগুন জ্বলছে যুদ্ধের কবলে ভিটেমাটি হারিয়ে জার্মানিতে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের শিবিরে। আর অসহায় শরণার্থীদের প্রাণ বাঁচানোর আর্তনাদ শুনে খেদ মিটিয়ে হাসছে জার্মানরা। গত শনিবার সকালে জার্মানির পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাউজেনে প্রায় ৩০০ শরণার্থীর আশ্রয়শিবিরে (একটি হোটেল) আগুন লাগে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা এ দৃশ্য দেখে আনন্দ-উল্লাস করছিল। স্থানীয় পুলিশ জানায়, খুব ভোরে অজানা উৎস থেকে লাগা আগুনে পুড়ছিল হোটেলটি। এ সময় অনেক মানুষ বাইরে জড়ো হয়। তারা অনেকেই নির্লজ্জভাবে হাসছিল। আগুন লাগার পরপরই দমকল বাহিনী দ্রুত ছুটে আসে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। উদ্ধারকর্মীরা জানান, হোটেলটির ছাদ সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে কারও তেমন ক্ষতি হয়নি।
পুলিশ ধারণা করছে, বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিদের কেউ এ আগুন লাগিয়েছে। কেননা আগুন নেভানোর ব্যাপারে তাদের কোনো আগ্রহ ছিল না বরং নির্লজ্জভাবে হাসছিল। এ ছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে ছুটে আসা দমকল বাহিনীকে আগুন নেভানো থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেছিল তারা। কয়েক দিন আগে প্রায় একশোর মতো স্থানীয় নাগরিক এখানে ‘বাড়ি যাও’ ‘বাড়ি যাও’ (গো হোম) বলে শরণার্থীদের বিরুদ্ধে স্লোাগান দিয়েছে। নিকটে অবস্থিত স্যাক্সনি শহরের একটি আশ্রয়শিবিরগামী শরণার্থীদের বাসের পথ আটকে রেখেছিল তারা। স্যাক্সনির গভর্নর স্টানিস্টটিলিস এ বৈরী আচরণের তীব্র নিন্দা করে বলেন, এটা খুবই ঘৃণ্য এবং লজ্জাজনক কাজ। এপি, ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শরণার্থী শিবিরে আগুন দেখে বর্ণবাদী জার্মানদের উল্লাস
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ