২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ

২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
গনোরিয়া একটি যৌনবাহিত রোগ। ঘবরংংবৎরধ মড়হড়ৎৎযড়বধব (নিশেরিয়া গনোরি) নামক জীবাণু এই রোগের জন্য দায়ী। এ রোগের ক্ষেত্রে রক্তের সঙ্গে জীবাণুর সংস্পর্শ তেমন একটা থাকে না। এটি বংশপরম্পরায় সংক্রমিত হয় না। অবাধ যৌন মিলনের ফলে নারী বা পুরুষের যৌনাঙ্গে এ জীবাণু ক্ষত সৃষ্টি করে থাকে।
যৌন মিলনের মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে আরেকজনের দেহে এই রোগের জীবাণু ছড়ায়। এটা যোনিপথ, মুখগহ্বর বা পায়ুপথ যে কোনো পথেই ছড়াতে পারে। ১৫ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে এই রোগ বেশী হয়। এই রোগের সুপ্তিকাল হচ্ছে ২-১৪ দিন তবে ৪ থেকে ৬ দিনের মধ্যেই লক্ষণসমূহ প্রকাশ পেতে শুরু করে।
পুরুষের ক্ষেত্রে গনোরিয়া রোগে নিম্নলিখিত উপসর্গ থাকেঃ
১। প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া হয় ২। মূত্রনালি দিয়ে পুঁজ বের হয় ৩। মূত্র ত্যাগ করতে সমস্যা হয় ৪। পেনিস বা লিঙ্গের অগ্রভাগে লালচে ভাব থাকে ।
স্ত্রীলোকের ক্ষেত্রে অনেক সময় কোনো লক্ষণ থাকে না আবার কারো ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত উপসর্গ থাকেঃ
১। যোনিপথে পুঁজ বের হয় ২। তলপেটে ব্যথা হতে পারে
৩। জ্বর থাকে ৪। মাসিকে অনিয়ম দেখা যায় ৫। মূত্র ত্যাগে সমস্যা হয় ৬। সহবাসে ব্যথা হতে পারে।
যদি সময়মত এই রোগের চিকিৎসা না করা হয় তবে পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই এই রোগ আশপাশে ছড়িয়ে যেতে পারে। গনোরিয়ার ইনফেকশন কমানো না গেলে এ রোগের কারণে যৌনাঙ্গ শিথিল হয়ে যেতে পারে। তখন বিশাল সমস্যা হয়। অনেক নারীর ক্ষেত্রে চিরস্থায়ী যৌন সমস্যা দেখা দিতে পারে যেটা আর সহজে ভাল হতে চায় না। আবার দীর্ঘ সময় ইনফেকশনের জন্য মস্তিষ্ক, ত্বক, জয়েন্টে এবং হৃদপি-ে সমস্যা হতে পারে।
ভালভাবে ইতিহাস নিলে এবং শারীরিক পরীক্ষা করলে সহজেই এই রোগ ধরা যায় । নিশ্চিত হবার জন্য কিছু ল্যাব টেস্ট করা হয়। এই রোগের চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হয়, যেমন -সেফট্রায়াক্সন, সেফিক্সিম, অ্যামক্সিসিলিন, সিপ্রফ্লক্সাসিন ইত্যাদি। কতদিন খেতে হবে এবং কার জন্য কোনটা দরকার তা একজন উপযুক্ত চিকিৎসকই ঠিক করবেন। তবে গনোরিয়া হলে অবশ্যই চিকিৎসককে দেখাতে হবে । না হলে বন্ধ্যাত্ব পর্যন্ত হতে পারে।
নিরাপদ যৌন মিলন করলে এই রোগ হবার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। ধর্মীয় অনুশাসন কঠোরভাবে মেনে চলা উচিত। তাহলে এই ধরনের যৌনবাহিত রোগ একেবারেই কমে যাবে। অবৈধ যৌনাচারকে ধর্মে অনেক বড় পাপ বলা হয়েছে। তাই সব ধরনের খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকা উচিত। তাহলে শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেক সুস্থ থাকা যাবে।
ষ ডা. মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।