পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ময়মনসিংহ আঞ্চলিক অফিস : মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি অ্যাড. মোসলেম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন এক মুক্তিযোদ্ধা। আলোচিত এ মামলার ২৪ সাক্ষী ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ২ নম্বর আমলী আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন।
এদিকে, দীর্ঘ সময় ধরে বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা ৫ বার নির্বাচিত এমপি মোসলেম উদ্দিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলে দলটির সুবিধা-বঞ্চিত পক্ষের নেতারা। ময়মনসিংহ ও ফুলবাড়ীয়ায় একাধিক জনসভায় ও সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ পার্টির সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এমপি মোসলেমকে রাজাকার উল্লেখ করে প্রকাশ্যে যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবি তুলেছেন। ফলে বিষয়টি টক অব দ্য কান্ট্রি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, মামলায় মুক্তিযুদ্ধের সময় এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা এবং ২৫ পুরুষসহ মোট ২৬ জনকে হত্যার অভিযোগ এনে বাদী মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন ১৬ জন আসামির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জনকে আসামি করেছেন। মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ফয়জুল বারী, সামাদ মাস্টার, আবদুল মড়ল, মফিজ উদ্দিন, রিয়াজ উদ্দিন, মুকছেদ আলী, এবাদুল্লাহ, মুকসেদ আলী, ওয়াহেদ আলী মুনসী, ছোহরাব আলী, আবুল হোসেন, মুছা, আবদুল হালিম, কুদ্দুস, গিয়াসউদ্দিন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৭ জুন আসামিরা ৩৩ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের সদস্যদের নিয়ে ফুলবাড়ীয়া উপজেলার জোড়বাড়িয়া গ্রামে বাদীর বাড়িতে লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ চালায়। একই দিনে তারা ওই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক, রাজ্জাক, ছালাম, মান্নান, ভালুকজানের পালবাড়ী ও ঋষিবাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করে। এক পর্যায়ে আসামিদের কয়েকজন ভালুকজান গ্রামের মালেকা খাতুনকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। এর পরের দিন ২৮ জুন একই আসামিরা পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে স্থাণীয় কৈয়েরচালা গ্রামের বসু চৌধুরী, ১২ জুন মুক্তিযোদ্ধা মজিদ’সহ আট জনকে হত্যা করে। এ ছাড়া ওই দিন গ্রামটির নারীদের ধর্ষণ করে বর্বর নির্যাতন চালায় এই আসামিরা। এরপর ২৯ নভেম্বর তালেব আলী, সেকান্দর আলী, আলতাব আলীকেও হত্যা করে আসামিরা।
এর আগে ১০ নভেম্বর আছিম এলাকার আছিম উদ্দিন মোল্লা, ইসমাইল মাস্টার, আবদুল কাদের, আবদুল করিম, আবদুর রশিদ, নায়েব আলীসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করে ভালুকজান বধ্যভূমিতে ফেলে দেয়া হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। একই সাথে ওই সময়ের ১৪ জুলাই শহীদুল্লাহ মাস্টার ও ছাবেদ আলীকে হত্যায় উল্লিখিত আসামিদের ভূমিকা রয়েছে বলেও মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মামলার আইনজীবী ফজলুল হক দুলাল বলেন, আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মামলাটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।