বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধার বাবাকে হত্যার অভিযোগে বরকত উল্লাহ নামে এক যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১২টার দিকে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অপরাধ আমলীর বিচারক আমিনুল ইসলামের আদালতে এই অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের ছোট ছেলে মোশারফ হোসেন খোকন। অভিযুক্ত বরকত উল্লাহর বাড়ি মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার কাংশা গ্রামে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালে নিহতের বড় ছেলে মোস্তাহের বিল্লাহ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করায় তাকে হত্যার উদ্দেশে তাদের বাড়িতে ও বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। কিন্তু কোথাও না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করে এবং মোস্তাহের বিল্লাহকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ১ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন স্থানীয় রাজাকার বরকত উল্লাহ, গোলাম গাজম, আব্দুল মান্নান ও বাদশা ফকির। পরে ১৯৭১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তাকে না পেয়ে বাবা আব্দুস ছালাম মুন্সীকে পাকিস্তানি বাহিনীর সহায়তায় ধরে নিয়ে সাভারের কর্নপাড়া খালের পাশে বেয়নট দিয়ে খুঁচিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। পরে লাশ নদীতে ফেলে দেয় রাজাকার বরকত উল্লাহ।
মামলার বাদী মোশারফ হোসেন খোকন জানান, অভিযুক্ত বরকত উল্লাহর ছেলে মোতালেভ স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় তার ভয়ে বিচার চাইতে পারিনি। কিন্তু স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে জানতে পারি মানিকগঞ্জে তার বাবার হত্যার বিচার পাওয়া যাবে। তাই তো দীর্ঘদিন পর বাবার বিচারের জন্য আদালতে অভিযোগ দায়ের করলাম। আমি শুধু আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।
আইজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাখাওয়াৎ হোসাইন খান জানান, বাদীর বাবার হত্যার সাথে চারজন জড়িত ছিলেন। কিন্তু তিনজন মারা যাওয়ায় শুধুমাত্র বরকত উল্লাহর বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাটিস্ট্রেট কোর্টে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক অভিযোগপত্রটি আমলে নিয়েছেন এবং অভিযোগ পত্রটি নথিভুক্ত করে সিঙ্গাইর থানা পুলিশকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।