মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নাগরনো-কারাবাখে ৪৪ দিনের যুদ্ধে এরই মধ্যে ৩০০-এর মতো এলাকা দখলে নেয় আজারবাইজান। এবার সদ্য সমাপ্ত হওয়া যুদ্ধে আর্মেনিয়া কর্তৃক সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে তুরস্ক। তুরস্কের প্রধান ন্যায়পাল সেরেফ মালকোক মঙ্গলবার জানান, এই রিপোর্ট তুরস্কের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হবে। তিনি আরো জানান, তারা আর্মেনিয়ার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত আজারবাইজানের বেসামরিক এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া অধিকৃত অঞ্চলে আর্মেনিয়রা যেসব হামলা চালিয়েছে সেগুলোও পরিদর্শন করা হবে। তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে তিনি বলেন, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে দ‚রবর্তী বেসামরিক এলাকায় হামলা চালানো মানবতা বিরোধী অপরাধ। এটা মানবাধিকার বিষয়ে জেনেভা কনভেনশন ও ইউরোপীয় কনভেনশনের মৌলিক অধিকারেরও বিরোধী। মালকোক আরো বলেন, প্রতিবেদনে কিভাবে নিষিদ্ধ অস্ত্র ও বোমা ব্যবহার করা হয়েছে তা উল্লেখ করা হবে। একই সাথে স্কুল, ধর্মীয় স্থান ও বাসস্থানে হামলার বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, এটা আন্তর্জাতিক বিচারের ক্ষেত্রে দলিল হিসেবে কাজ করবে। তারা মসজিদকে শুকরের খামারে পরিণত করেছে। তারা মুসলিমদের কবরস্থান ধ্বংস করেছে। অপরদিকে, নাগরনো-কারাবাখে ‘যৌথ পর্যবেক্ষণ’ প্রতিষ্ঠা নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান। মঙ্গলবার এ দুই নেতার মধ্যে কথোপকথন হয়। এরদোগান আশা করছেন, নাগরনো-কারাবাখে একটি ‘যৌথ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠিত হবে এবং শিগগিরই এটি কাজ শুরু করবে। তুরস্কের যোগাযোগ অধিদফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট এরদোগান পুতিনকে বলেছেন, নাগরনো-কারাবাখ সংঘাত নিরসন ও এ অঞ্চলে স্থায়ী স্থিতিশীলতা আনতে যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তার অংশ হিসেবে কেন্দ্রটিকে যত দ্রুত সম্ভব সক্রিয় হওয়া উচিত। সংঘাত নিরসনে ১০ নভেম্বর রাশিয়ার সঙ্গে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ ছাড়া বিরোধীয় অঞ্চলে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে যৌথ পর্যবেক্ষণের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এটি আর্মেনিয়া দখল থেকে মুক্ত হওয়া আজারবাইজানি অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হবে। সাবেক সোভিয়েতভুক্ত দুই দেশের মধ্যে নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে যুদ্ধ চলে আসছে বহু আগে থেকেই। ১৯৯১ সালে আর্মেনিয়া নাগরনো-কারাবাখ দখল করলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ওই যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন। নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখন্ড হিসেবে স্বীকৃত। পরে চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধ হলেও সর্বশেষ ২৭ সেপ্টেম্বর আবারও দুই দেশ যুদ্ধে জড়ায়। পরে আর্মেনিয়া গত ১০ নভেম্বর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আজারবাইজানের সঙ্গে চুক্তি করতে বাধ্য হয়। ৪৪ দিন চলা এই যুদ্ধে বাকু ৩০০টির বেশি বসতি ও এলাকা দখলমুক্ত করে। চুক্তিটি আজারবাইজানের জয় ও আর্মেনিয়ার পরাজয়ের দলিল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এ চুক্তিটিকে তুরস্ক সমর্থন জানিয়েছে। ইয়েনি শাফাক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।