পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক : দেশের অর্থনীতি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন পুঁজিবাজারে সংশ্লিষ্ট ১১ কোম্পানির চেয়ারম্যান, পরিচালক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ২০১৫ সালে অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখার জন্য সরকার তাদের ‘সিআইপি’ বা বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। স¤প্রতি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচিত সিআইপিরা এক বছরের জন্য সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এসব সুযোগ-সুবিধার অংশ হিসেবে তারা একটি পরিচয়পত্র (সিআইপি কার্ড) পাবেন, যা বাংলাদেশ সচিবালয়ে যাওয়ার প্রবেশপত্র হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান ও সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন সিআইপিরা। ব্যবসা-সংক্রান্ত ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও নৌ-পথে চলাচলকারী যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার পাবেন তারা।
ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভিসাপ্রাপ্তি যাতে সহজ হয়, সেজন্য সিআইপির অনুকূলে দূতাবাসকে লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্ত্রী-সন্তান ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের কেবিন সুবিধাপ্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার পাবেন সিআইপিরা। এছাড়া বিমানের ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা এবং সরকার কর্তৃক শিল্পবিষয়ক নীতি-নির্ধারণী কোনো কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ারও সুযোগ পাবেন তারা। তবে সিআইপি হিসেবে প্রাপ্ত পরিচয়পত্র মেয়াদ উত্তীর্ণের সাতদিনের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ে ফেরত দিতে হবে। আর সরকার চাইলে জনস্বার্থে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তির সিআইপি (শিল্প) সুবিধা প্রত্যাহার করতে পারবে।
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের যে ১১জন ‘সিআইপি’ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা হলেন, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, এফআইসিসিআই সভাপতি ও বার্জার পেইন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরী, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন ও বিটিএমএ সভাপতি এবং স্কয়্যার টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী। তারা ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনে থাকায় পদাধিকার বলে ‘সিআইপি’ নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া উৎপাদনমুখী বৃহৎ শিল্প খাতে ‘সিআইপি’ নির্বাচিত হয়েছেন, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোবারক আলী, এসিআই লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আরিফ দৌলা, বিএসআরএম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমের আলী হোসেন, এসিআই ফরমুলেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম আনিস-উদ-দৌলা, এনভয় টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দীন আহমেদ, জেএমআই সিরিঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আবদুর রাজ্জাক।
উৎপাদনমুখী মাঝারি শিল্প খাতে ‘সিআইপি’ নির্বাচিত হয়েছেন, ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আহমেদ চৌধুরী এবং জেমিনি সি ফুডের পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ। এদিকে সেবা খাতের বৃহৎ শিল্পে ‘সিআইপি’ নির্বাচিত হয়েছেন পুঁজিবাজারে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত হতে ইচ্ছুক এসটিএস হোল্ডিং লিমিটেডের (অ্যাপোলো হসপিটাল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার মনির উদ্দীন। সিআইপি (শিল্প) নির্বাচন নীতিমালা-২০১৪ অনুযায়ী, ২০১৫ সালের জন্য মোট ৫৮ ব্যক্তিকে সিআইপি হিসেবে নির্বাচন করেছে মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে পদাধিকার বলে বিভিন্ন শিল্প-সংশ্লিষ্ট সংগঠন থেকে আট, উৎপাদনমুখী বৃহৎ শিল্প খাতের ২০, সেবামুখী শিল্প খাতের পাঁচ, উৎপাদনমুখী মাঝারি শিল্প খাতের ১২, সেবামুখী মাঝারি শিল্প খাতের তিন, ক্ষুদ্রশিল্প খাতের পাঁচ এবং সেবামুখী ক্ষুদ্রশিল্প খাতের এক, মাঝারি শিল্প খাতের দুই এবং কুটির শিল্প খাতের দু’জন ব্যক্তি সিআইপি হচ্ছেন। Ñওয়েবসাইট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।