পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক ঃ সরকারের নানামুখী উদ্যোগ এবং বিএসইসির আইন সংস্কারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপে স্বাভাবিক ধারায় ফিরেছে পুঁজিবাজার। এছাড়া পুঁজিবাজার উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতিতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরছে। পাশাপাশি সক্রিয় বিদেশী বিনিয়োগকারীরাও। ফলে প্রতিনিয়তই বাড়ছে সূচক ও লেনদেন। আর তাই সপ্তাহ শেষে ডিএসইতে গড় লেনদেন প্রায় ২৬ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ছুইছুই করছে। তবে বেশ কিছুদিন ধরে বাজারের এমন আচরণে কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তাদের এমন ধারণাকে উড়িয়ে দিয়ে সার্বিক বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলেই অভিহিত করেছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্রে সুদহার কমানোর ফলে বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছেন। আর দক্ষ এ বিনিয়োগকারী তালিকাভুক্ত মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলোকে বেছে নেয়। যার সুবাধে ব্যাংক, ফাইন্যান্স, জ্বালানি খাতসহ বড় বড় পরিশোধিত মূলধনের শেয়ার যখন মুভ করে তখন সূচকে প্রভাব পড়ে। যে সূচকগুলো নিচে পড়ে ছিল সে সূচকগুলোতে রাতারাতি প্রভাব পড়েছে বলে ‘তরতর’ করে সূচক বাড়ছিল। ২০০৯-১০ সালের শেষের দিকেও ব্যাংকের শেয়ারের দাম যখন বেড়েছিল তখন সূচকে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছিল। তখনকার সেই হিসাবে এখনকার পুঁজিবাজারে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ বা চিন্তার কিছু নেই। কেননা বাজারে লেনদেনের যে গতি রয়েছে তা সামলানোর দক্ষতা ও সক্ষমতা নিয়ন্ত্রকদের রয়েছে। এটা জেনেই সা¤প্রতিক সময়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আমাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। ২০১০ সালে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে ৮ হাজার ৭০০ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ২১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তার একটা স্বাভাবিক প্রভাব পুঁজিবাজারে দেখা যাচ্ছে বলেও মনে করছেন তারা।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সাপ্তাহিক ব্যবধানে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক উর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে। সূচকের পাশাপাশি গড় লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে একদিন কারেকশন হলেও ৪ কার্যদিবসই বেড়েছে সূচক। আর সূচক বাড়ার মাত্রা ৩ দিনই খুব বেশি ছিল। সপ্তাহিক ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৯১ পয়েন্ট বা ৩.৫৮ শতাংশ বেড়েছে। আর ডিএসইএক্স শরিয়াহ সূচক বেড়েছে ৩২ পয়েন্ট বা ২.৬২ শতাংশ ও ডিএসই ৩০ সূচক বেড়েছে ৭৩ পয়েন্ট বা ৩.৮৩ শতাংশ। আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৩১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২০৩টি, কমেছে ১১৭টি, অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টি এবং লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির। আর এসব কোম্পানির ওপর ভর করে সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৮ হাজার ৯৭৮ কোটি ৬৩ লাখ ৫১ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। দৈনিক গড় হিসাবে লেনদেন ১ হাজার ৭৯৫ কোটি ৭২ লাখ ৭০ হাজার ৩০৭ টাকা। যা আগের সপ্তাহে ছিল ১ হাজার ৪২৮ কোটি ৫ লাখ ১৫ হাজার ৬৩৫ টাকা। সে হিসেবে আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে ২৫.৭৫ শতাংশ।
মোট লেনদেনের ৯৬.২৫ শতাংশ এ ক্যাটাগরিভুক্ত, ২.০৪ শতাংশ বি ক্যাটাগরিভুক্ত, ০.৪৪ শতাংশ এন ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ১.২৭ শতাংশ জেড ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ২৯৮ কোটি ৩৯ লাখ ৯৪ হাজার ৪৩২টি শেয়ার মোট ১৩ লাখ ১২ হাজার ৫১১ বাজার হাতবদল হয়েছে। আর সপ্তাহশেষে ডিএসইর বাজার মূলধন ২.৬১ শতাংশ বেড়ে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৬৬২ কোটি ৮৪ লাখ ৫৯ হাজার টাকায় অবস্থান করছে। এদিকে, দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ৪১ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৯৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৮৮টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ৯৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির। আর সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৩৩ কোটি ১৩ লাখ ৫১ হাজার ১৬০ টাকার শেয়ার। এর আগের সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আর সিএসইতে টাকার অংকে মোট লেনদেন হয়েছিল ২৮২ কোটি ২৩ লাখ ৪৭ হাজার ১৮৪টাকা।Ñওয়েবসাইট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।