বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য স্বীকৃতি স্বরুপ বিদেশী বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনকে সম্মাননা জানিয়েছে বাংলাদেশ, যার সংখ্যা ৩৩৯ জন বিদেশী ব্যক্তি/ সংগঠন রয়েছে। এর মধ্যে ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখাজী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীসহ ভারতের ২২৭ জন রয়েছেন। এছাড়া ভারতসহ ২১টি দেশের মোট ৩২৯ জন বিদেশী ব্যক্তি এবং ১০টি সংগঠনকে সম্মাননা জানানো হয়েছে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে যেসকল বিদেশী নাগরিক অবদান রেখেছিল পর্যায়ক্রমে এমন ১ হাজার ৭০০ জনকে স্বীকৃতিসহ সম্মননা স্মারক প্রদান করা হবে।
গতকাল রোববার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমপি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের (বীর উত্তম) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখায় ২০১১ সালে ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মননা স্মারক প্রদান করা হয়। এছাড়া ৫ম পর্যায়ে ২০১৩ সালের ৪ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ সম্মননা প্রদান করা হয় ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জীকে ও ২০১৫ সালের ৭ জুন সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে এ সম্মাননা দেয়া হয়েছে। সম্মাননা প্রদানকারীদের মধ্যে শীর্ষে ভারতের ২১৭ জন ব্যক্তি এবং ১০টি প্রতিষ্ঠান, এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ২৬ জন, তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের ১৭জন ব্যক্তি, যাদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার বিদেশী নাগরিককে যে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে তার জন্য কারো কাছ থেকে কোন আবেদন চাওয়া হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মুকি্যাুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে বিদেশী এসব বন্ধুদের ও প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হয়।
২৬ মার্চের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ
সরকারি দলের অপর এমপিমীর মোস্তাক আহমেদ রবির অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে যাচাই-বাছাই করে তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। আসছে ২৬ মার্চের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।