বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনা জেলা সংবাদদাতা : শ্রবণপ্রতিবন্ধী আবদুল আজিজ বয়সের শেষ প্রান্তে এসে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চান। ১৯৭১ সালে ভারতের শিববাড়ি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন গ্রামে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। সম্মুখযুদ্ধের এই লড়াকু সৈনিক আবদুল আজিজ বর্তমানে অসহায় দিনাতিপাত করছেন। সরকার বা অন্য কোন পক্ষ থেকে কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পাননি বলে জানা গেছে।
পাবনা সদর উপজেলার ছাতিয়ানী গ্রামের মৃত খুয়াই শেখের ছেলে আবদুল আজিজ শেখ (৭০) দারিদ্র্যতার কারণে পাকশাসন আমলে পাবনা থেকে দিনাজপুরের পাহাড়পুর গিয়ে নির্মাণশ্রমিকে কাজ শুরু করেন। এ সময় তিনি অ্যাডভোকেট রিয়াজুল ইসলামের বাড়িতে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করতেন। কিছুদিন পর স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি তার কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে ১৯৭১ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি ভারতের পশ্চিম দিনাজপুর জেলার পয়রামপুর থানার শিববাড়ি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ট্রেনিং নেন। ১০৫ দিন প্রশিক্ষণ শেষে ৭ নম্বর সাব-সেক্টরে যোগ দিয়ে জজ ভাই নামে একজন কমান্ডারের অধীনে দিনাজপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধ চলাকালে পাকহানাদার বাহিনীদের ছুড়ে মারা বোমা, শেল, মর্টারসহ বিভিন্ন অস্ত্রের শব্দে তার কানের সমস্যা দেখা দেয়। তিনি ক্রমেই শ্রবণ প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন।
এখন একেবারেই কানে শুনতে পান না। এ অবস্থায় ক্রমেই তিনি কর্মহীন হয়ে পড়েন। পরিবার-পরিজন নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন। এখন বয়সের ভারে ও শ্রবণশক্তিহীন হওয়ায় ফলে কোনো কাজই করতে পারছেন না। সংসারে অভাব থাকার কারণে জীবিকার তাগিদে তার বড় ছেলে লিটন খুব অল্প বয়সেই দৈনিক পত্রিকার হকারি শুরু করে পাবনা শহরে। পত্রিকা বিক্রি করে যা আয় হয়, তাই দিয়ে কোনোমতে সংসার চলে আবদুল আজিজের।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আজিজ জানান, যুদ্ধ শেষে তার রাইফেল মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে জমা দিয়ে একটি রশিদ নেন। ক্যাম্প থেকে তাকে একটি সনদপত্রও দেয়া হয়। কিন্তু বিদেশে কাজ করতে ভাড়া বাড়িতে থাকাকালে সেই কাগজপত্র হারিয়ে যায়। যুদ্ধ চলাকালে তার কমান্ডার জজ ভাইয়ের মৃত্যুর কারণে পরবর্তীতে চেষ্টা করে আর কোনো সনদ পাননি। শ্রবণপ্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে কথা বুঝতে না পেরে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছেন না। এ ব্যাপারে তিনি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সরকারিভাবে সংশ্লিষ্ট জায়গায় খোঁজ নিয়ে ও তৎকালীন ভারতে প্রশিক্ষণার্থীদের নথিপত্র দেখে তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হলে শেষ বয়সে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চান আবদুল আজিজ শেখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।