নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : ওয়েলিংটন টেস্টে প্রথম ইনিংসে একটার পর একটা অবিশ্বাস্য কৃতি মøান করেছে বাংলাদেশ দল। প্রথম ইনিংসে ৫৬ রানের লিড নিয়েও হেরে গেছে বাংলাদেশ দল ৭ উইকেটে। চতুর্থ দিনের পড়ন্ত বেলায় ধাক্কা খেয়ে সেই ধাক্কা সামাল দিতে পারেনি বাংলাদেশ দল। প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের ম্যাচে হেরে অগৌরবের রেকর্ডও সঙ্গী ওয়েলিংটন টেস্টে। স্বপ্ন দেখানো দারুণ এক ম্যাচের করুণ সমাপ্তিতে হারের ময়নাতদন্ত এখন চলছে। হেড কোচ হাতুরুসিংহের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে অভিযুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ দলের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংÑ ‘সর্বশেষ ম্যাচে ইতিবাচক অনেক কিছু গ্রহণ করতে পারি। চতুর্থ দিনের শেষ আধ ঘণ্টা থেকে শেষ দিন বাদ দিলে ম্যাচের অবশিষ্ট সময় আমরাই এগিয়ে ছিলাম। প্রকৃত অর্থে প্রথম ইনিংসে আমরা দারুণ ব্যাট করেছি। আমি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে দোষ দিব না। এটা পুরো ব্যাটিং গ্রুপের কারণে হয়েছে। শুধু বলব, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ভালো করতে পারিনি। তাদের মাথায় কি ছিল, তা বলতে পারব না। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে কিভাবে ব্যাট করতে হবে,তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি নিশ্চিত পরবর্তী ম্যাচে সেই ভুলগুলো সংশোধন করতে পারব।’
ওয়েলিংটন টেস্টে হারের পরও একই অ্যাপ্রোচ নিয়ে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে খেলার পক্ষে হাতুরুসিংহেÑ ‘একই অ্যাপ্রোচ থাকবে আমাদের। আশা করছি, এখানেও একই ধরনের কন্ডিশন পাব। যদি প্রথমে ব্যাটিং পাই, তাহলে একই কাজ করতে চাইব। প্রথম ম্যাচের চেয়ে এই ম্যাচের শেষটা ভালো করতে চাই।’
চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে ২২ রানে হেরে যাওয়ার পর ঢাকা টেস্টে ১০৮ রানে জিতে বদলা নেয়ার অতীতটা খুব বেশিদিন আগের নয়। মাত্র ৩ মাস আগের সেই অতীত থেকেই টনিক নিয়ে ক্রাইস্টচার্চে দারুণ সমাপ্তির স্বপ্ন দেখছেন বাংলাদেশ হেড কোচ হাতুরুসিংহেÑ ‘অবশ্যই আমরা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের কথা ভেবে অনুপ্রাণিত হতে পারি। ভালো খেলেও প্রথম ম্যাচ হারার ঠিক পরের ম্যাচ কিভাবে আরও ভালো খেলে জেতা যায়? ছেলেরা তা শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে করে দেখিয়েছে। সেটা ছিল টার্নিং উইকেট। আর এখন নিউজিল্যান্ডে এসে পাচ্ছি সিমিং কন্ডিশন। চ্যালেঞ্জ দুই জায়গায় সমান। আমি মনে করি তখন যেমন ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে ছেলেরা, এখনো পারবে। ইংল্যান্ড সিরিজ আমাদের কিছুটা আশা দেখাচ্ছে। ফিরে আসাটা অসম্ভব নয়। তবে আমাদের চেষ্টা আর পরিকল্পনা থাকবে অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য।’
আহত হয়ে স্ট্রেচারে মাঠ ছেড়ে দলের প্রয়োজনে ব্যাটিং করেছেন ইমরুল, মুশফিকুর। এই দুই ক্রিকেটারের দেশপ্রেম মুগ্ধ করেছে হাতুরুসিংহেকেÑ ‘এটা খুব সাহসী কাজ ছিল। স্ট্রেচার করে মাঠ ছাড়ার পর ইমরুল কয়েক ওভার ব্যাট করল। বুড়ো আঙুলে চোট নিয়েও মুশফিক ব্যাটিংয়ে গেল। তাদের দেশপ্রেম কতটা, সেটাই দেখিয়েছে তারা।
তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ৭ উইকেট পেয়েও টেস্ট একাদশে বিবেচ্য হননি পেস অ্যাটাকে ২৩ টেস্টে ৩২ উইকেট পাওয়া অভিজ্ঞ বোলার রুবেল। অথচ, অনভিজ্ঞ কামরুল ইসলাম রাব্বী ওয়েলিংটনে পেস পার্টনার হিসেবে পেয়েছেন দুই অভিষিক্ত তাসকিন ও শুভাশিষকে। তবে দল নির্বাচনের এখতিয়ার যে হাতুরুসিংহের একক, বাংলাদেশ থেকে সিরিজ কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের প্রকারান্তরে সে ক্ষমতার কথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন হাতুরুসিংহেÑ ‘কোনো যুক্তি দেয়ার প্রয়োজন মনে করছি না। দলের জন্য যা ভালো মনে করি, আমি সেটাই করি।’ মাত্র তিন মাস আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে তাসকিনকে নিয়ে তার মন্তব্য ছিলÑ ‘সে কি কোনো চারদিনের ম্যাচ খেলেছে? আপনারা কি মনে করছেন সে এসেই সরাসরি জাদু দেখাবে? না! ওরা তো মানুষ। জীবনে কখনো চারদিনের ম্যাচ না খেললে কাজটা কঠিন। মাঠে চারদিন দাঁড়িয়ে থাকা, দিনে ১৫ ওভার বোলিং করার মতো ব্যাপারগুলো ওর জন্য পুরোপুরি নতুন। আমি কারো ক্যারিয়ার ধ্বংস করতে চাই না।’ এখন সেই হাতুরুসিংহেই উল্টো দাবি করছেনÑ ‘আমার সবসময়ই পরিকল্পনা ছিল এই ধরনের উইকেটে তাসকিনকে টেস্ট খেলানো।’
দেশের মাটিতে যেখানে লম্বা লম্বা স্পেলে বোলিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন স্পিনাররা, সেখানে ওয়েলিংটন টেস্টে তিন পেসার মিলে দুই ইনিংসে বল করেছেন ৯৯.৪ ওভার। ১৩ উইকেটের মধ্যে পেসারদের শিকার সংখ্যা ৮ উইকেট। পেস বোলারদের এই বোলিংই আশ্বস্ত করেছে হাতুরুসিংহেকেÑ ‘পেসারদের মধ্যে একজন ( তাসকিন) গত তিন বছর ( হবে চার বছর) ধরে খেলেনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট। তবে এটা কোনো অজুহাত হতে পারে না। আমরা যেভাবে চেয়েছি, সেভাবে তাদেরকে প্রস্তুত করেছি। প্রথম ইনিংসে তারা সত্যিই দারুণ বল করেছে। তারা ১৪০ ওভারের (প্রকৃতপক্ষে হবে ৯৯.৪ ওভার) মতো বল করে বেশ কিছু সুযোগ ও তৈরি করেছে। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক পর্যন্ত তাদের বোলিংয়ের প্রশংসা করেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে যা ঘটেছে, তাতে তাদের করণীয় কিছুই ছিল না। ব্যাটিংয়ের কারণেই হেরেছি আমরা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।