Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্কুলের পরীক্ষায় মেধাবীরা পাবে সরকারের চিঠি

| প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : স্কুলের পরীক্ষায় মেধাবীরা সরকারের পক্ষ থেকে চিঠি পাবে। বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষায় সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির যারা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হবে, সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে তারা পাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের  চিঠি, বই আর ফুল।
গত বছরের বার্ষিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে স্বীকৃতি পৌঁছে দিতে এরই মধ্যে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী জানান। তিনি বলেন, এই ধারাবাহিকতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে আমরা আশা করছি।
প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে সরকারের তরফ থেকে একটি আধা-সরকারি পত্র। সেই সঙ্গে ‘সম্ভব হলে’ তাদের হাতে কিছু ‘মানসম্মত’ বই ও ফুল উপহার দিতে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। ২০১৬ সালের বার্ষিক পরীক্ষায় সপ্তম থেকে দশম শ্রেণিতে সেরা ফল অর্জনকারী মেধাবীদের দেওয়ার জন্য পত্রের একটি খসড়াও করে দিয়েছে সরকার।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, মেধার মূল্যায়ন ও প্রণোদনা দেওয়া হলে মেধাবীরা আরও উৎসাহ পাবে। মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যৎ কা-ারী হিসেবে দেশ গড়ার দায়িত্ব নেবেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ তাদের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হবে। এসএসসি, এইচএসসি, স্নাতক-স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষার মেধাবী শিক্ষার্থীদের সরকারিভাবে সংবর্ধনা দেয়া হলেও সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হলে তারা আরও উৎসাহিত হবে, প্রশাসনের সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্ক স্থাপিত হবে। বিভিন্ন সমাজিক বিশৃঙ্খলা সংক্রান্ত তথ্যাদির দ্রুত আদান-প্রদান হবে, স্টুডেন্টস জার্নালিজম সৃষ্টি হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসমৃদ্ধ জঙ্গিবাদমুক্ত সুনাগরিক সৃষ্টি হবে।
গত বছরের বার্ষিক পরীক্ষার মেধাবীদের স্বীকৃতির চিঠি দিতে ওই চার শ্রেণির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থীদের তালিকা সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে চিঠিতে। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে চিঠি ও উপহার দেওয়ার পর পত্র পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা, তাদের অনুভূতি, ইতিবাচক-নেতিবাচক দিক, সাধারণ মন্তব্যসহ একটি প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে ইউএনওদের। পরে জেলা প্রশাসকরা সামগ্রিক বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাবেন বলে কর্মকর্তারা জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মেধাবী

২ জানুয়ারি, ২০১৯
১১ ডিসেম্বর, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ