পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বহুল আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আদালতে রায় শুনে আসামিদের স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত এক আসামির মা বলেন, আমার ছেলে কখনো কোনো অপরাধমূলক কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত ছিল না। বুয়েটে ভর্তি হওয়ার পর জড়িয়ে পড়ে রাজনীতিতে। রাজনীতির কারণেই আজ আমার মেধাবী সন্তানের ফাঁসির রায় হলো। আমার এখনো বিশ্বাস হয় না, আমার ছেলে এই হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত। যেসব বাবা-মায়ের সন্তান আছে তাদের কাছে নিবেদন, কোনো সন্তান যেন রাজনীতিতে যুক্ত না হয়।
তিনি আরো বলেন, আমাদের বাড়ি চিটাগং। সেখানে থাকা অবস্থায় আমার ছেলে কখনো রাজনীতি করে নাই। শুধু রাজনীতি করার কারণে আমার ছেলের এই সাজা। রাজনীতি না করলে এই মামলায় জড়াতে হতো না। আবরারের মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ, যে তিনি আমাদের শাস্তি দাবি করেননি।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মুয়াজ আবু হুরায়রাও রায় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তার মা। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে। রায় শুনতে তার মা আদালতেই ছিলেন। মুয়াজ বুয়েটের ইইই বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র। তার মা বলেন, মুয়াজ আবরারকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। টাকা খরচ করে ওষুধ, স্যালাইন কিনেছে। তাকেই যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হলো। রায়ের সময় আসামিদের প্রিজন ভ্যান ও এজলাসে আনা-নেয়ার সময় স্বজনদের অনেকেই তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
সাজাপ্রাপ্ত মোর্শেদ অর্মত্য ইসলামের বাবা মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি আমার ছেলেকে খুঁজে পুলিশে দিয়েছি। নিজে তাকে আত্মসমর্পন করিয়েছি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে এই রায় আশা করিনি। গণহারে ফাঁসি ও যাবজ্জীবন দেয়া হলো। এতে আমরা হতবাক। এমন রায়ের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না।
তিনি বলেন, ঘটনার আকস্মিকতায় এই হত্যাকা- ঘটেছে। কেউ পেশাদার অপরাধী না। সবাই মেধাবী শিক্ষার্থী। আমরা উচ্চ আদালতে যাবো। তারা আরও বলেন, বাবা ভালোভাবে খাওয়া-দাওয়া করবে, টেনশন করবে না।
বুধবার রায় ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গণে অভিভাবকরা আসামিদের উদ্দেশ করে বলেন, বাবা মনোবল শক্ত রাখো। তোমাদের কিছুই হবে না। তোমরা হাইকোর্ট থেকে খালাস পাবে। এই রায় তোমাদের কিছুই করতে পারবে না। রায় ঘোষণা শেষে স্বজনরা আক্ষেপ ও বুকভরা কষ্ট নিয়ে আদালত চত্বরে সন্তানদের শেষবারের মতো একবার দেখার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আসামিদের রায় ঘোষণা শেষে এজলাস থেকে আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ১টা ১০ মিনিটে আদালতে হাজতখানা থেকে বের করে প্রিজনভ্যানে ওঠানো হয়। প্রিজনভ্যান থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হবে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।