২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
উপরের চোয়াল বা নিচের চোয়ালের কোনো একটি দাঁত না থাকলে বা বাধ্য হয়ে ফেলে দিতে হলে দাঁতটি পরবর্তীতে অবশ্যই প্রতিস্থাপন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে দুটি পদ্ধতিতে হারানো দাঁতের প্রতিস্থাপন করা হয়। একটি হলো ব্রিজ করার মাধ্যমে, আর অন্যটি হলো ইমপ্ল্যান্ট পদ্ধতি। তবে ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট সবচেয়ে ভালো। ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট সাধারণত টাইটেনিয়ামের তৈরি যা ব্যবহৃত হয় হারানো দাঁতের প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে। টাইটেনিয়াম মানবদেহের কোষের সাথে সহজেই অভিযোজিত হয়। টাইটেনিয়ামের কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। একটি দাঁত ফেলে দেয়ার পর সাথে সাথে ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট করা যায়। ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট হলো একটি মেটাল পোস্ট যা একটি অনুপস্থিত দাঁতের গোড়ার অংশকে প্রতিস্থাপিত করে। পোস্টের বর্ধিত অংশ হলো অ্যাবাটমেন্ট, আর সবশেষে ক্রাউন সংযুক্ত করা হয়। ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট ছাড়া ব্রিজ করার ক্ষেত্রে যে দাঁতটি অনুপস্থিত তার পাশের দু’টি দাঁতকে কেটে ছোট করে তিন ইউনিটের ব্রিজ করা হয়। ব্রিজ করার পর ইমপ্ল্যান্ট ও ব্রিজ দেখতে একই রকম দেখা যায়। তবে সমস্যা হলো দীর্ঘদিন পর চোয়ালের হাড়ের এ ট্রফির কারণে ব্রিজ করা দাঁতের স্থানে ধীরে ধীরে গাম রিছেশন (মাড়ি সরে যাওয়া) সৃষ্টি হয়ে থাকে। ফলে পার্শ্ববর্তী দাঁতে ক্ষয় এবং হাড়ের ক্ষয়সহ সার্বিকভাবে সংক্রমণ সৃষ্টি হয়ে পুঁজ পর্যন্ত সৃষ্টি হতে পারে। একটি সময়ের পর দাঁতে স্থাপিত ব্রিজটি নড়ে যেতে পারে এবং স্থানচ্যুত্যি হতে পারে। ফলে পুনরায় তার পার্শ্ববর্তী উভয় পাশের দাঁত কেটে পাঁচ ইউনিটের ব্রিজ করা যায়। কিন্তু তখন এটি আগেরমত টেকসই হয় না। আর অন্যদিকে ইমপ্ল্যান্ট করা দাঁতের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা ঘটে না। তবে ইমপ্ল্যান্ট করার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে, একজন রোগীর ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ বা হৃদরোগ বা অন্য কোনো রক্ত রোগ আছে কিনা? থাকলে সে সব ক্ষেত্রে অনেক সময় ইমপ্ল্যান্ট করা সম্ভব হয় না। হৃদ রোগীদের মাঝে যারা বিশেষ কিছু ওষুধ দীর্ঘদিন যাবৎ সেবন করছেন, যেমন- ক্লপিডগেরল, এসপিরিন, তাদের ক্ষেত্রে ইমপ্ল্যান্ট না করাই ভালো। তবে রোগী যদি খুব ইচ্ছুক হন তা হলে হার্টের কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তবেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। যেসব রোগীর মুখে একটিও দাঁত থাকে না, তাদের ইডেনটুলাস রোগী বলা হয়। মুখে একটিও দাঁত না থাকলে ধীরে ধীরে মুখের গঠনগত কাঠামো নষ্ট হয় এবং অকলুসাল প্লেন ঠিক থাকবে না। তাই ইডেনটুলাস রোগীর ক্ষেত্রে ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট সবচেয়ে কার্যকর। গবেষণায় দেখা গেছে ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট করার পর রোগীর হাড়ের রিজরব্শন কমে যায়। ফলে ভার্টিক্যাল হাইট ঠিক থাকে। রোগীদের মাঝে যারা সঠিক সময়ে ডেন্টাল ইমপ্লান্ট করে থাকেন, তাদের বয়স কমপক্ষে দশ বৎসর কম মনে হবে।
ষ ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ।
মোবাইল : ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল : ফৎ.ভধৎঁয়ঁ@মসধরষ.পড়স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।