Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মৃগী নিয়ন্ত্রণে ভোজনবিলাস

| প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

খাদ্যের প্রাচুর্য্যরে মধ্যে থাকা, মৃগী রোগীদের অনেকটা সহায়তা করে। তাই তাদের ঘন ঘন খাদ্য খেতে হয়। আর খেতে বসলে তারা সাধারণত পেট পুরেই খায় এবং একটু ভোজনরসিক প্রকৃতির হয়ে থাকে। মৃগী রোগীদের স্ট্রেস (ক্ষুধা, না ঘুমিয়ে থাকা, দুঃখ, কষ্ট, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি) সহ্য করার ক্ষমতা অন্যদের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম থাকে। তাই ক্ষুধা পেলে সহজেই কাতর হয়ে যায়। পেট খালি থাকাটা তার জন্য কষ্টকর ও শাস্তিদায়ক। খালি পেটে তার অস্থিরতা ও ছটফটানি বেড়ে যায়, মাথা গরম থাকে এবং সে কিছুটা আক্রমণাত্মক হতে পারে। এমতাবস্থায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করে এই ভেবে যে,  সে যেকোন সময় অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। রোজায় ইফতার, সেহেরী ও সন্ধ্যারাতে প্রচুর খাদ্য ও পানীয় না খেলে মৃগী রোগীকে অনেক সময় অজ্ঞান হয়ে যেতে দেখা যায়। মৃগী রোগীদের বিভিন্ন খাদ্য কিনে আনার ব্যাপারে বেশ সৌখিন হতে দেখা যায়। মৃগী চিকিৎসায় নিয়মিতভাবে খেয়ে আসা ঔষধের জন্য শরীরে ভিটামিন ও খনিজসহ (ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফলিক এসিড ইত্যাদি) বিভিন্ন খাদ্যের ঘাটতি হতে পারে। এসব ঘাটতি পূরণের জন্য মৃগী রোগীদের পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া দরকার। অনেক সময় খাওয়ার গুণগত মান কেমন বা সে কী খেলো, তার চাইতে পেটে কিছু দেওয়াটাই জরুরি হয়ে দাঁড়ায়। নিয়মিত ঔষধ সেবন, নৈশকালীন প্রচুর ঘুম ও পর্যাপ্ত সুষম খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে শরীরবৃত্তীয় রসায়ন (ইড়ফু পযবসরংঃৎু) যদি শক্ত থাকে, স্নায়ুতন্ত্র সহজে কাবু হতে পারে না এবং মৃগী রোগীরা নিরাপদে থাকে।
ষ ডাঃ এন ইউ মাহমুদ
স্নায়ুরোগে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত
বাংলাদেশ এপিলেপ্টিক সোসাইটি
মোবাইল : ০১৯৮০৪৮৫০০৭



 

Show all comments
  • হাবিব ৩ জুন, ২০২২, ৬:৫৩ এএম says : 0
    মৃগী রোগ কি সম্পুর্ন নির্মুল হয়
    Total Reply(0) Reply
  • হাবিব ৩ জুন, ২০২২, ৬:৫৪ এএম says : 0
    মৃগী রোগ কি সম্পুর্ন নির্মুল হয়
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন