পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৯ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড
মো: হাফিজুর রহমান মিন্টু, নারায়ণগঞ্জ থেকে : ‘৭ খুন মাফ’ প্রবাদ মিথ্যা প্রমাণ করে নারায়ণগঞ্জের ভয়াবহ ৭ খুন মামলায় ২৬ জনের মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে অন্য ৯ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে। গতকাল সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় দেয়া হয়। এ সময় আদালতে মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে ২৩ জন উপস্থিত ছিলেন। আলোচিত এ মামলায় ৩৫ আসামির মধ্যে ১৭ জনই র্যাব সদস্য। মামলার শুরু থেকেই র্যাবের সাবেক ৮ সদস্যসহ ১২ জন আসামি পলাতক। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় খান সাহেব ওসমান আলী জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে থেকে প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন। অতঃপর ৩০ এপ্রিল তাদের লাশ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। ভয়ঙ্কর এবং আলোচিত এই নৃশংস হত্যাকান্ড নিয়ে দেশ-বিদেশের মিডিয়ায় তোলপাড় হয়। আসামিদের অধিকাংশ র্যাবের সদস্য হওয়ায় তাদের গ্রেফতার করতে বিলম্ব করায় উচ্চ আদালত গ্রেফতারের নির্দেশনা দেয়। অতঃপর গ্রেফতার করা হয় আসামিদের। রায় ঘোষণার পর নারায়ণগঞ্জে মিষ্টি বিতরণের ধুম পড়ে যায়। রায় ঘোষণার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এ রায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অপরাধী সদস্যদের জন্য সতর্কবার্তা। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এই রায়কে আইনের শাসনের নজির হিসেবে অভিহিত করেছেন।
২০১৬ সালের ৮ ফেব্রয়ারি এই মামলায় আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। যুক্তিতর্ক শেষ হয় গত বছরের ৩০ নভেম্বর। চার্জ গঠন থেকে শুরু করে মামলার ৪১তম কার্যদিবস শেষে আদালত রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন। আসামিদের মধ্যে ২৫ জন র্যাব সদস্য ও ১০ জন নূর হোসেন ও তার সহযোগী। মামলায় মোট ১০৬ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন। রায় ঘোষণার সময় র্যাব-১১ এর সাবেক তিন কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ সাঈদ, আরিফ হোসেন ও এম এম রানা এবং নূর হোসেনসহ ২৩ আসামি উপস্থিত ছিলেন। পলাতক ১২ আসামির পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষ ৬ জন আইনজীবী নিয়োগ দেন। তারা পলাতক আসামিদের পক্ষে বিচারকার্য পরিচালনা করেন। পলাতকদের মধ্যে র্যাবের ৮ সদস্য ও নূর হোসেনের ৪ সহযোগী রয়েছেন।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ শহরের কাছ থেকে তৎকালীন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করে হত্যার অপরাধে আসামিদের সাজার এই রায় দেন আদালত। গ্রেফতারকৃত ২৩ আসামির সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। গত বছরের ৩০ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন আদালত। এদিকে রবিবার রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এই মামলার রায় সম্পর্কে তার প্রত্যাশা ব্যক্ত করতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষ চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায়। যাদের কাজ জনগণের জানমাল রক্ষা করা, তারাই যদি পরিকল্পিত হত্যাকান্ডে লিপ্ত হন, তা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।’
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় খান সাহেব ওসমান আলী জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন। পরদিন ২৮ এপ্রিল ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নজরুল ইসলামের স্ত্রী। ওই মামলায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নূর হোসেনকে প্রধান করে ৬ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ের জামাই বিজয় কুমার পাল বাদি হয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় আরো একটি মামলা করেন। ৩০ এপ্রিল বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জন এবং ১ মে সকালে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে স্বজনরা লাশগুলো শনাক্ত করেন।
এ হত্যাকান্ডের পর প্রধান আসামি নূর হোসেন ভারতে পালিয়ে যায়। ২০১৪ সালের ১৪ জুন রাতে কলকাতার দমদম বিমানবন্দরের কাছে কৈখালী এলাকার একটি বাড়ি থেকে নূর হোসেন ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করে বাগুইআটি থানার পুলিশ। পরে ওই বছরের ১৮ আগস্ট নূর হোসেন, ওহাদুজ্জামান শামীম ও খান সুমনের বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বারাসাত আদালতে চার্জশিট জমা দেয় বাগুইআটি থানা পুলিশ। ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ দমদম কারাগার কর্তৃপক্ষ নূর হোসেনকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করতে সে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়। এরপর ১৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ আদালতে উপস্থাপন করা হয় নূর হোসেনকে। তিনজন তদন্তকারী কর্মকর্তার ১১ মাসের দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল ভারতের কলকাতায় গ্রেফতার হওয়া নূর হোসেন, র্যাবের চাকরিচ্যুত তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এজাহারভুক্ত ৫ আসামি অব্যাহতির আবেদন করে। মামলায় ১২৭ জনকে সাক্ষী করা হয়। ১৬২ ধরনের আলামত উদ্ধার দেখানো হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত ৩৫ জনের মধ্যে ২৩ জন গ্রেফতার রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, সাত খুনের দু’টি মামলায় গ্রেফতারকৃত ২৩ জনের উপস্থিতিতে ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে চার্জ গঠন করেন। শুনানির সময়ে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ২৩ জনের অব্যাহতি আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে দেন। পলাতক ১২ জনসহ সাত খুনের দু’টি মামলায় অভিযুক্ত ৩৫ জনের সবার বিরুদ্ধেই চার্জগঠন করা হয়। ১২ জনের অনুপস্থিতিতেই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়। তাদের পক্ষে ৫ জন আইনজীবী নিযুক্ত করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
ফাঁসি হলো যাদের : ৭ খুন মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে ২৬ জনকে ফাঁসি দিয়েছেন আদালত। বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টার কিছু পর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন এ রায় দেন। আসামিদের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় দিয়েছেন আদালত। ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নূর হোসেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক মোহাম্মদ সাঈদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানা (এম এম রানা), হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্সনায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্সনায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো: শিহাব উদ্দিন, এসআই পুর্নেন্দু বালা, র্যাবের সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দিপু, রহম আলী, আবুল বাশার, নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, সেলিম, সানাউল্লাহ সানা, শাহজাহান, জামালউদ্দিন, সৈনিক আবদুল আলী, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, আলামিন শরিফ, তাজুল ইসলাম, এনামুল কবীর।
যাদের কারাদন্ড হলো : ৭ খুন মামলার রায়ে ৯ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ জন এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিম্মায় আছেন। বাকি ৩ জন পলাতক। গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে করপোরাল রুহুল আমিনের ১০ বছর, এএসআই বজলুর রহমানের ৭ বছর, হাবিলদার নাসির উদ্দিনের ৭ বছর, এএসআই আবুল কালাম আজাদের ১০ বছর, সৈনিক নুরুজ্জামানের ১০ বছর, কনস্টেবল বাবুল হাসানের ১০ বছর কারাদন্ড হয়েছে। পলাতক আসামিদের মধ্যে হাবিবুর রহমানের ১৭ বছর, কামাল হোসেনের ১০ বছর ও মোখলেসুর রহমানের ১০ বছর কারাদন্ড হয়েছে। এদিকে এই মামলায় মৃত্যুদন্ডাদেশ পেয়েছেন নূর হোসেন, সাবেক লে. কমান্ডার তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্সনায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্সনায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো: শিহাব উদ্দিন, এসআই পুর্নেন্দু বালা, র্যাবের সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দিপু, রহম আলী, আবুল বাশার, নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, সেলিম, সানাউল্লাহ সানা, শাহজাহান, জামালউদ্দিন, সৈনিক আবদুল আলী, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, আলামিন শরিফ, তাজুল ইসলাম ও এনামুল কবীর।
রায়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে : আইভী
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, ৭ খুনের মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘এ রায়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ন্যায় বিচার হয়েছে। এজন্য আমি সরকারকে নারায়ণগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের ত্বকী হত্যাকান্ড থেকে শুরু করে সকল হত্যাকান্ডের ন্যায়বিচার এ সরকার প্রতিষ্ঠা করবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সোমবার ১৬ জানুয়ারি মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন, র্যাবের তিন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম এম রানা ও মেজর আরিফ হোসেনসহ ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বাকি ৯ জনকে সাত থেকে ১০ বছরের কারাদ- দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় নিহতদের একজন নজরুল ইসলাম যিনি সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র ছিলেন। আর মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেন ছিল তদানীন্তন কমিশনার, পরে তাকে বরখাস্ত করা হয়। ওই সময়েও মেয়র ছিলেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। এখনও তিনি মেয়র হিসেবেই রয়েছেন।
৭ খুন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সভাপতির প্রতিক্রিয়া
নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলায় ২৬ জনকে ফাঁসি ও ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদানের পর প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সভাপতি। তাঁদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই বলেন, এ রায় আমাদের প্রত্যাশিত ছিল। একটি সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। এতে আবারো প্রমাণ হলো আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন আমি তার সঙ্গে একমত।
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, দেশের একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী দ্বারা সাতজন মানুষ নির্বিচারে হত্যাকান্ডের ঘটনায় দেশের মানুষ একটি বিচার চেয়েছিল এই বিচারের রায়ে জাতি সেই বিচার পেয়েছে বলে আমি মনে করি। তবে সরকার সুশৃঙ্খল বাহিনীকে বিএনপির উপর লেলিয়ে দিয়ে তাদের কলিজা বড় করে দিয়েছে। এই হত্যাকান্ডের জন্য সরকার দায় এড়াতে পারে না। তাই পুলিশ র্যাব বাহিনীর লাগাম টেনে ধরা উচিত।’
সোমবার মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন, র্যাবের তিন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম এম রানা ও মেজর আরিফ হোসেনসহ ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বাকি ৯ জনকে সাত থেকে ১০ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। ১৬ জানুয়ারি সোমবার সকাল ১০টা ৪ মিনিট হতে ১০টা ৯ মিনিট পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন ওই রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় দিয়েছেন আদালত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।