বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : কৌশলে চার্জশীট থেকে বাদ দেয়া জোড়া খুন মামলার দুই আসামীকে অবশেষে গ্রেফতার করলো পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। নগরীর খুলশী থানার ষোলশহরে নৃশংসভাবে দুই যুবককে খুনের আড়াই বছর পর গতকাল (রোববার) তাদের গ্রেফতার করা হয়। ওই মামলার এজাহারভুক্ত এই দুই আসামি হলো ছাত্রলীগ নামধারী ক্যাডার রমজান আলী ওরফে আকাশ ওরফে তুফান (২৫) এবং মো. আলাউদ্দিন (২১)।
চাঞ্চল্যকর ওই মামলায় ৯ জনকে আসামি করে ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছিল খুলশী থানা পুলিশ। তবে নাম-ঠিকানা না পাওয়ার অজুহাতে রমজান ও আলাউদ্দিনের নাম অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করেনি পুলিশ। আদালতের নির্দেশে অধিকতর তদন্তে নেমে পিবিআই গতকাল ভোরে রমজান ও আলাউদ্দিনকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
পিবিআই, চট্টগ্রামের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, হত্যাকান্ডের পর থানায় যে মামলা হয়েছিল তাতে রমজান ও আলাউদ্দিনসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ ছিল। খুলশী থানা পুলিশ তদন্ত করে হত্যাকান্ডের সঙ্গে ১২ জনের সম্পৃক্ততার তথ্য পায়। এর মধ্যে ৯ জনের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা সংগ্রহে সক্ষম হয় পুলিশ। তাদের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। অভিযোগপত্রে নাম-ঠিকানার জন্য বাদ পড়া তিনজনের দুজন আলাউদ্দিন ও রমজান বলে জানান পরিদর্শক সন্তোষ।
২০১৪ সালের ১৭ মার্চ সকালে নগরীর খুলশী থানার ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকায় একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে দুই বন্ধুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরা হল, মো. ফোরকান উদ্দিন (২০) ও কামরুল ইসলাম (২০)। তারা দুইজন নগরীর ওমরগণি এমইএস কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। কামরুল ওই কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। আর ফোরকান সিইপিজেডে একটি কারখানার শ্রমিক ছিল। সে নাসিরাবাদ এলাকায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) সাবেক ছাত্র।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওই দুই যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে এনে হাত-পা বেঁধে, পায়ের রগ কেটে এবং শ্বাসরোধ করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এরপর নির্মাণাধীন একটি ভবনের সেফটি ট্যাংকের ভেতরে লাশ ফেলে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় কামরুল ইসলামের বাবা আব্দুল হাকিম বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে খুলশী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হল, বাঁছা ওরফে সুন্দরলাল বাঁছা ওরফে বেøট বাঁছা, সাহেদ, শাহআলম, জীবন ওরফে কাশেম, জাহাঙ্গীর, লেদু, ভুট্টু, আকাশ এবং বাহার। পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা এজাহারভুক্ত ৭ জনসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়ে জানিয়েছিলেন, ছিনতাইয়ের টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে কামরুল ও ফোরকানকে খুন করা হয়। আদালত ওই অভিযোগপত্র প্রত্যাখ্যান করে চলতি বছরের ২৪ মে পিবিআইকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।