বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনা জেলা সংবাদদাতা : আজ ১৭ জানুয়ারি। শিশুতোষ সাহিত্যে খ্যাতিমান, ময়নামতি চর কাব্যখ্যাত, যশস্বী প্রতিভার অধিকারী কবি বন্দে আলী মিয়ার ১১১তম জন্মবার্ষিকী। ১৯০৬ সালের ১৭ জানুয়ারি পাবনা শহরের রাধানগর মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন যশস্বী প্রতিভার অধিকারী কবি বন্দে আলী মিয়া। খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে বিলীন হতে বসেছে কবি বন্দে আলী মিয়ার রেখে যাওয়া সৃষ্টিশীলকর্ম।
কবি বন্দে আলী মিয়া শিশুদের জন্য ১০৫টি শিশুতোষ গ্রন্থসহ ১৩৬টি বই রেখে গেছেন। শিশু-সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য কবি বন্দে আলী মিয়া ১৯৬২ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন। সাহিত্যকর্মে তার অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯০ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করা হয় কবি বন্দে আলীকে। ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে কবি বন্দে আলী মিয়া পাবনা শহরের রাধানগর মজুমদার একাডেমি থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার বৌ-বাজারস্থ ইন্ডিয়ান আর্ট একাডেমি থেকে চিত্রবিদ্যায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে কর্মের সন্ধানে ঘুরতে ঘুরতে কলকাতা কর্পোরেশন স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং দীর্ঘ ২০ বছর চাকুরি করে তিনি ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে অবসর গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি দীর্ঘদিন রাজশাহী বেতারে চাকরি করেছেন। এ সময় তিনি গল্পের দাদু নামের একটি শিশুদের অনুষ্ঠান করতেন। ১৯৭৯ সালের ২৭ জুন ৭৩ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহীর কাজিরহাট অঞ্চলের বাসভবনে ইন্তেকাল করেন কবি। পরে তাকে কবরস্থ করা হয় নিজ গ্রাম পাবনার রাধানগরে। কোনোবার সরকারিভাবে কবির জন্মবার্ষিকী পালন হতে দেখা যায় না। দিনটি স্মরণে পাবনার কবি ভক্ত ও অনুরাগীরা তাঁকে স্মরণ করে। সরকারিভাবে কেন এই প্রতিভাবান কবি অবহেলিত তা জানা যায়নি। কবির মৃত্যুর পর যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে ধ্বংস হতে বসেছে কবির পাবনা শহরের রাধানগর মহল্লার বসতবাড়ি কবিকুঞ্জ ও রেখে যাওয়া সৃষ্টিকর্ম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।