পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দেশের রাজনৈতিক সমঝোতা ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের বিষয়ে বলেছেন, রাজনৈতিক বিষয়ে সব সিদ্ধান্ত সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যেই হবে। সমঝোতা, সব কিছুই হবে সংবিধান অনুযায়ী। আমরা সংবিধানের বাইরে যাবো না। পরবর্তী নির্বাচন, আমরা সংবিধানের বাইরে যাবো না। উই ক্যান নট গো বিলং কনস্টিটিউশন। এ সময় তিনি দাবি করেন, সরকারের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে বেতার ও টেলিভিশনে দেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষনে বিএনপির সাধারণ সমর্থকসহ সারা দেশের মানুষ খুশি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের দেয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষনে শুধু ফখরুল সাহেবরা অখুশি হয়েছেন। যারা কর্মসূচি দিয়ে ঘরে বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখে, তারা শুধু অখুশি।
গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর রাসেল স্কয়ারে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষনের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষনটা একেবারেই গতানুগতিক, আত্মতুষ্টি ও আত্মস্তুতিতে ভরা। এর জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বাংলাদেশের উন্নয়ন, পরবর্তী নির্বাচনী প্রক্রিয়াসহ সার্বিকভাবে সব কিছু নিয়ে কথা বলেছেন। উন্নয়নের এমন কোন দিক নেই যা নিয়ে তিনি কথা বলেননি।
তিনি বলেন, সারা দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে খুশি, এমনকি বিএনপির সাধারণ সমর্থকরাও খুশি। শুধু বিএনপির ফখরুল সাহেবরা এই বক্তব্যে অখুশি, হতাশ। যারা কর্মসূচি দিয়ে ঘরে বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখে তারা শুধু অখুশি। মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কাদের বলেন, সঙ্কটে বিএনপি, দেশ সঙ্কটে নেই।
পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পরবর্তী নির্বাচন প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই হবে। আর সংবিধান হচ্ছে আমাদের সমাধান।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশ, আর রাস্তা বন্ধ করে সভা-সমাবেশ বা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি করা যাবে না। ভবিষ্যতে আর রাস্তায় কোনো প্রোগ্রাম করা যাবে না।
রাস্তা যাতে বন্ধ না হয়, এর জন্য বিকল্প পথ খোঁজা হচ্ছে জানিয়ে কাদের বলেন, রাস্তায় র্যালি করার ক্ষেত্রে আমরা বিকল্প পথ খুঁজছি। সপ্তাহের ছুটির দিন গুলিতে র্যালির জন্য রাখা যায় কিনা ভাবছি।
এদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কারণে হয়রানির শিকার হন গণমাধ্যম কর্মীরা। এতে সংবাদকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, বিষয়টি ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। আপনারা সংবাদ সংগ্রহ না করলে প্রোগ্রামটি নষ্ট হয়ে যাবে। প্লিজ আসেন।
পরে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান অনাকাক্সিক্ষত ভুলের জন্য সাংবাদিকদের কাছে তার ক্ষমা চান।
এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নির্দেশ এখন থেকে আর রাস্তায় প্রোগ্রাম করা যাবেনা। সেজন্য উত্তর আওয়ামী লীগকে বলেছিলাম, রাস্তা বন্ধ করে শীতবস্ত্র বিতরণ করা যাবে না। কিন্তু তারা মঞ্চ করেছে, আমার কথা শোনেনি। মাঝখানে সমস্যা হয়েছিল।
তিনি বলেন, এনিয়ে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সাথে আলাপ করে বিতরণের কাজ এখানেই করার সিদ্ধান্ত নেই। আগামীতে এখানে আর কোনো প্রোগ্রাম করা যাবে না।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের উপস্থিতিতে প্রায় পাঁচ হাজার শীতার্তের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ সময় দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।