পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
কেশবপুর উপজেলা সংবাদদাতা : কেশবপুর ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের সোনাতলা বিলের ২শ’ বিঘা জমি ঘেরের আওতায় আসায় আসন্ন বোরো মৌসুমে ওই বিলে মাছ উৎপাদনের পাশাপাশি অতিরিক্ত চার মেট্রিকটন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে পানি নিষ্কাশনের কাজ সম্পন্ন হওয়ায় বিল সংলগ্ন এলাকার কৃষকরা বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিন্তু এলাকার একটি স্বার্থান্বেষী মহল ঘের মালিকের কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদাদাবি করায় ফুঁসে উঠেছেন উপকারভোগী কৃষকেরা।
জানা গেছে, ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের সোনাতলা বিলের বর্ষার অতিরিক্ত পানি কপোতাক্ষ নদের সংযোগ খাল দিয়ে নিষ্কাশিত হতো। কিন্তু কপোতাক্ষ নদ নাব্যতা হারানোর কারণে ওই বিলে স্থায়ী পানিবদ্ধতা দেখা দেয়। ফলে দীর্ঘ দিন ধরে কোনো ফসল আবাদ হতো না। এজন্য এলাকার কৃষকরা পানি নিষ্কাশনের জন্যে প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধরণা দিয়েও কোনো ফল পাননি।
মৃর্জানগর গ্রামের সোহরাব হোসেন, কাস্তা গ্রামের ইমদাদুল হকসহ একাধিক কৃষক জানান, ২০১৬ সালে এলাকার কৃষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কেশবপুর উপজেলার আলতাপোল গ্রামের আসাদুজ্জামান সোনাতলা বিলের প্রকৃত জমির মালিকদের কাছ থেকে সাত বছর মেয়াদে জমি হারি নিয়ে ঘেরের ক্যানেল, ভেড়ি নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তার চুক্তিনামায় বিল সংলগ্ন শ্রীরামপুর, সরাপপুর, রঘুরামপুর ও মৃর্জানগর এলাকার ১৭০ জন কৃষকের মধ্যে ১৫৪ জন কৃষক স্বাক্ষর করেছেন। তারা হারি বাবদ এ পর্যন্ত ৯৮ লাখ টাকা অগ্রিম গ্রহণ করেছেন। চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করেনি এমন ১০-১২ জন কৃষক ঘেরের কাজ শুরু করার সাথে সাথে ঘের মালিকের কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদাদাবি করে আসছিল। চাঁদার টাকা না দেয়ায় ওই কুচক্রীমহল ঘের মালিককে ভয়ভীতিসহ মাছ মেরে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। এরপরও তারা বিভিন্ন দফতরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাকে হয়রানি করছে।
ঘের মালিক আসাদুজ্জামান বলেন, স্থায়ী পানিবদ্ধতার কারণে ওই বিলে দীর্ঘ দিন ধরে কোনো ফসল আবাদ হতো না। কৃষকরা যাতে বোরো আবাদ করতে পারে তার লক্ষ্যে হাজার হাজার টাকা খরচ করে পানি নিষ্কাশন করা হয়েছে। বর্তমান কৃষকরা পুরোদমে ধান চাষ করছেন। এতে কৃষকরা একদিকে যেমন হারির টাকা পাচ্ছেন, অন্যদিকে ধানের আবাদ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর কবীর জানান, মাছ উৎপাদনে যশোর জেলার মধ্যে কেশবপুর শীর্ষে রয়েছে। যে সমস্ত বদ্ধবিলে ইতোপূর্বে ধানের আবাদ হতো না, তা ঘের মালিকরা লিজ নিয়ে নিজ খরচে পানি নিষ্কাশন করে বোরো ধান আবাদের উপযোগী করে দিচ্ছেন। ফলে মাছের উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি ধানের উৎপাদনও বাড়ছে। এ ছাড়া ভেড়িতে সবজির আবাদ করে কৃষকরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।