২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
শীত আসছে। পালং পৃথিবীব্যাপী সুপরিচিত, পুষ্টিতে ভরপুর একটি সুস্বাদু শীতকালীন শাক। এটা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজে পরিপূর্ণ একটি শাক। যেমন- ভিটামিন অ, ঈ, ঊ, ক, ই১, ই৬, ফলেট, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, তামা, দস্তা ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডসহ অন্যান্য অতি প্রয়োজনীয় খাদ্যের একটি চমৎকার উৎস। নিয়মিত পালংশাক খেতে পারলে অনেক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়। যেমন
পালংশাক গর্ভস্থ শিশুর সুস্থ ক্রমবিকাশ, জন্মগত ত্রুটি রোধ ও গর্ভবতী মায়েদের সুস্বাস্থ্য রক্ষা করে।
মস্তিষ্ক সচল ও তাজা রাখতে পালংশাকের জুড়ি নাই। স্নায়ুর সজীবতা, চৌকস মানসিকতা স্মরণশক্তি বৃদ্ধি ও তা ধরে রাখতে সাহায্য করে, বিভিন্ন স্নায়বিক বৈকল্য রোধ করে।
পালংশাক খেলে চামড়া মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়, চুল হয় ঝলমলে। এটা চামড়ায় তারুণ্যতা ধরে রাখে, সহজে বলিরেখা পড়তে দেয় না, চামড়া ও চোখের বার্ধক্য রোধ করে।
পালংশাক পরিপাকনালীর শ্লৈষ্মিক ঝিল্লীকে (সঁপড়ঁং সবসনৎধহব) পিচ্ছিল ও সতেজ রাখে, মুখে ও পেটে আলসার হতে দেয় না, কোষ্ঠকাঠিন্যতা কমায়, খাদ্য হজমে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
পালংশা!কর ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ অস্থিকে মজবুত রাখে, হাড় ক্ষয় রোধ করে, বাতব্যথা ও মাইগ্রেনসহ অন্যান্য মাথাব্যথা হতে দেয় না ।
পালংশাক র!ক্তর লোহিত কণার (ৎবফ নষড়ড়ফ পবষষ)পরিপূর্ণতা বাড়ায়, চুল পড়া রোধ ও রক্তশূন্যতা দূর করে।
পালংশাক মুখগহীর, খাদ্যনালী ও প্রস্টেটসহ বিভিন্ন জায়গায় ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। উহা হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারি একটি মহামূল্যবান সবজি। পালংশাক হার্টসহ রক্তসংবহনতন্ত্রকে নিরাপত্তা দেয়, হৃদসংকোচন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
পালংশাক দেহের ইমিউনিটি বা প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে। উহা কিডনি ও মুত্রনালিতে জীবাণু সংক্রমণ হতে দেয় না এবং অন্য অনেক রোগের আক্রমণ থেকে বাঁচায়।
পালংশাক পুষ্টিগুণে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। একে পুষ্টির শক্তিঘর (হঁঃৎরঃরড়হধষ ঢ়ড়বিৎযড়ঁংব) বলা হয়। বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান থাকায় আবালবৃদ্ধবনিতা সবার জন্য খাওয়াপাতে, মাঝে মাঝে পালংশাক থাকা দরকার। পালংশাকের আদিবাড়ী প্রাচীন পারস্য দেশে। অথচ বর্তমানে, পুষ্টিগুণে শ্রেষ্ঠ এই সবজিটির সর্বাধিক উৎপাদন হয় আমেরিকা ও নেদারল্যান্ডে। আমাদের দেশেও এ উৎকৃষ্ট সবজিটির চাষ বাড়িয়ে স্বাস্থ্যকরভাবে ওটা নিয়মিত খাওয়ার জন্য জনগণকে জাতীয়ভাবে উৎসাহ ও পরামর্শ দেয়া উচিত।
ষ ডাঃ নাসির উদ্দিন মাহমুদ
ইয়ামাগাতা হাসপাতাল, লালমাটিয়া , ঢাকা
গড়ন: ০১৯৮০৪৮৫০০৭
ঊ-সধরষ: হধংরৎঁফফরহ১৫৪৪@মসধরষ.পড়স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।