পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আন্দোলনের নামে ফের বিএনপি সন্ত্রাসের পথে গেলে দলটিকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। একই সঙ্গে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তৃতীয় বর্ষ ‘বিএনপির ভাষায় গণতন্ত্র হত্যা দিবস ৫ জানুয়ারি’ স্মরণে আগামীকাল শনিবার রাজধানীতে কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশে দলটিকে রাজপথে নামতে দেয়া হবে না বলেও হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা। দিনটিকে ক্ষমতাসীন দল পালন করছে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস হিসেবে।
দশম সংসদ নির্বাচনের তৃতীয় বার্ষিকীতে জেলায় জেলায় কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। তবে রাজধানীতে তারা কোনো কর্মসূচি রাখেনি। তবে আগামী ৭ জানুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। এই সমাবেশ করতে আবেদনও করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত অনুমতি পায়নি দলটি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা বর্তমান সরকারের তিন বছর পূর্তিতে আওয়ামী লীগ ঘোষিত ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ এর আলোচনা সভায় এ হুশিয়ারি দেন আওয়ামী লীগ নেতারা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ও ধানমন্ডি রাসেল স্কয়ারে আলাদা আলাদা এ সমাবেশ ও আলোচনা সভা হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এসব সমাবেশ ও আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্রকে হত্যা করার উদ্দেশে আন্দোলনের নামে বিএনপি ৫ জানুয়ারি গণহত্যা চালিয়েছিল। সেই পরিস্থিতি অত্যন্ত যোগ্যতার সঙ্গে মোকাবিলা করে শেখ হাসিনা রক্ষা করেছিলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে আমির হোসেন আমু বলেন, আবার তারা পানি ঘোলা করতে চায়। আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করতে চায়। যেমনিভাবে ২০১৫ সালে গণতন্ত্রের কালো দিবস পালনের নামে নিরীহ মানুষগুলোকে পেট্টোলবোমা মেরে পুড়িয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, এই দেশে আর কোনো গণহত্যা করতে দেয়া হবে না। এই দেশের অগ্রগতি ও অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে দেয়া হবে না। দুই দুবার শিক্ষা দেয়া হয়েছে। যদি শিক্ষা না পেয়ে থাকে, তাহলে ২০১৯ সালের নির্বাচনে বাংলার মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তোমাদের চিরদিনের মতো গণতন্ত্রের শিক্ষা দিয়ে দেবে।
আমু বলেন, বিএনপি এত কিছু করার পরও সেইদিন নির্বাচন বন্ধ করতে পারে নাই। কারণ সেই দিন বাংলার মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে ছিল। বাংলার মানুষ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে ছিল। বাংলার মানুষ গণতন্ত্রের পক্ষে ছিল। তিনি বলেন, সেদিন যারা সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করে দেশকে একটি অনিশ্চয়তার পথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল শেখ হাসিনা তাদেরকে প্রতিহত করে সংবিধানকে রক্ষা করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছেন সুসংগঠিতভাবে।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বিএনপিকে হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচনের নামে ফের বিএনপি সন্ত্রাসের পথে গেলে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে।
রাজ্জাক বলেন, ২০১৪ সালের এই দিনে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করে সারা দেশে অগ্নিসংযোসহ হরতাল-অবরোধে কয়েকশ’ মানুষকে হত্যা করে। এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে বিএনপিকে ‘চরমমূল্য’ দিতে হবে। তিনি বলেন, ১০ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনে না গিয়ে সারা দেশে শত শত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। আমরা আশা করি, বিএনপির শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। তারা আর সন্ত্রাসের পথে যাবে না, নাশকতার পথে যাবে না। যদি যায় তাহলে তাদের চারম মূল্য দিতে হবে। অতীতের মতো আমরা তাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো।
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের এই নেতা বলেন, আমরা আশা করি, প্রেসিডেন্ট একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য একটি শক্তিশালী ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। তার প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালে সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার অধীনে দেশে আবার জাতীয় নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে তিনি (শেখ হাসিনা) ও আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ সহযোগিতা করবে। নির্বাচনের সময় দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের বিভিন্ন প্রশাসনিক বিভাগও নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ সহযোগিতা করবে। এবং সেই নির্বাচনে বিএনপিও অংশগ্রহণ করবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ৫ জানুয়ারি নির্বাচন ও ২০১৫ সালে অবরোধের নামে বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকা-ের চিত্র তুলে ধরে বলেন, আজকে সকল ব্যর্থতার দায় নিয়ে বেগম জিয়া এখন জনগণের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
হানিফ বলেন, সব ইস্যু হারিয়ে খালেদা জিয়া এখন মিথ্যা কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামতে চাচ্ছেন। আজকেও তিনি কর্মসূচি দিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের কোথাও ম্যাডাম জিয়ার কোনো লোক রাজপথে নামতে সাহস পায় নাই। কালো দিবস পালন তো দূরের কথা, কোনো কর্মসূচি বাংলাদেশের জনগণ তাদেরকে পালন করতে দেয় নাই। জনগণ তাদের প্রতিহত করেছে।
সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বলেন, আমরা মহানগরের সকল নেতাকর্মীদের জানিয়ে দিয়েছি ৭ জানুয়ারি বিএনপি যেন কর্মসূচির নামে কোনো নৈরাজ্য করতে না পারে। আমরা সেদিন তাদের মাঠে নামতে দেবো না। কেউ নৈরাজ্য করার চেষ্টা করলে তাদেরকে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন। জনসভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আখতার হোসেন ও উপ-প্রচার সম্পাদক মামুনুর রশীদ শুভ্র।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রাসেল স্কয়ারে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের সমাবেশে উপস্থিত হন। তবে তিনি কোনো বক্তব্য রাখেননি।
অপরদিকে, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত রাসেল স্কয়ারের সমাবেশে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, গত জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে আপনি সব কাজই করেছেন। জামায়াত-শিবিরকে নিয়ে জ্বালাও পোড়াও করেছেন। আজ আপনি কোর্টে আর আওয়ামী লীগ মাঠে।
ওই নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি ভুল করেছে দাবি করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, দলকে আপনি তছনছ করে দিয়েছেন। ডাক্তার ভুল করলে রোগী মারা যায়। আর নেতা ভুল করলে দল তছনছ হয়ে যায়। আপনি গত জাতীয় নির্বাচনে না গিয়ে দলকে তছনছ করে দিয়েছেন। আজ আপনি কোর্টে আর আওয়ামী লীগ মাঠে।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আপনার ছেলেকে বিদেশে রেখে পরের ছেলেদের বলছেন, যা যা দরকার তা করো। কিন্তু গুলি নিয়ে নামবেন, আগুন নিয়ে আবার নামবেন সেটা হতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, চোরাগোপ্তা হামলা করতে পারেন কিন্তু জনপ্রিয়তা পাবেন না। আপনার জনপ্রিয়তা কত তা দেখা গেছে নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছেন বলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনও চলছে। বিএনপিকে আগামী নির্বাচন আর বর্জন না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা নির্বাচনে আসুন। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই সমাবেশে যোগ দিলেও তিনি কোনো বক্তব্য না দিয়েই চলে যান।
ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে জনসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মুনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের তৃতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ দেশব্যাপী গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালন করে। এরই অংশ হিসেবে এ দুটি জনসভার আয়োজন করা হয়। জনসভায় ঢাকা মহনগর দক্ষিণের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমবেত হন।
গণতন্ত্ররক্ষা দিবস উপলক্ষে যশোরে আ’লীগের জনসভা
যশোর ব্যুরো জানায়, ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্ররক্ষা দিবস উপলক্ষে যশোরে জনসভা করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা ভৈরব চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জেলা আওয়ীমী লীগসহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খয়রাত হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য অ্যাড. পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য। বিশেষ বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেক, অ্যাড. জহুর আহমেদ, আলী রায়হান, মীর জহুরুল ইসলাম, আফজাল হোসেন, আব্দুল কাদের, মাহমুদ হাসান বিপু, ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল।
ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের গণতন্ত্ররক্ষা দিবস পালন
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, ফরিদপুরে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গণতন্ত্ররক্ষা দিবস পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে থানা রোডস্থ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে গণতন্ত্ররক্ষা দিবস উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ময়মনসিংহে যুবলীগের মোটরসাইকেল শোডাউন
ময়মনসিংহ আঞ্চলিক অফিস জানায়, গণতন্ত্ররক্ষা দিবসে ময়মনসিংহে বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন করেছে মহানগর যুবলীগ। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠ থেকে এ দীর্ঘ মোটরসাইকেল শোডাউন বের হয়।
স্মরণকালের দীর্ঘ এ মোটরসাইকেল শোডাউনের নেতৃত্ব দেন মহানগর যুবলীগ নেতা শাহীনুর রহমান। মোটরসাইকেল শোডাউনটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে ফের সার্কিট হাউজ মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
মোটরসাইকেল শোডাউনের আগে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল।
ঝিনাইদহে আ’লীগের গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালন
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝিনাইদহ শহরের এইচ এস এস সড়কের জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাড. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা তৈয়ব আলী জোয়ার্দ্দার, মাসুদ আহম্মেদ সঞ্জু, অশোক ধর, আছাদুজ্জামান আছাদ, গোলাম সরওয়ার সউদ, মঞ্জুর পারভেজ তুষার, জাহাঙ্গীর হোসাইন প্রমুখ।
শত শত যানবাহন আটকা পড়ে ভোগান্তিতে যাত্রীরা
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক), উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি ও তারাব পৌরসভার মেয়র মিসেস হাসিনা গাজী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ শাহজাহান ভুইয়া ও মুড়াপাড়া বিশ^বিদ্যালয় কলেজ শাখার ভিপি শাহরিয়ার পান্না সোহেলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পৃথক স্থানে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কড়ইতলা, দুপুরে মুড়াপাড়া ও বিকেলে তারাব বিশ^রোড এলাকায় বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
এদিকে, বর্ণাঢ্য র্যালিকে কেন্দ্র করে বিশ^রোড এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উভয় দিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। পর্যাপ্ত পুলিশ প্রশাসন থাকা সত্তেও যানজট নিরসন করতে তাদের হিমশিম খেতে হয়েছে। যানজটের কারনে ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীসাধারণ। প্রায় তিন ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে যানজট নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, গণতন্ত্রের বিজয় দিবসে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বণ্যাঢ্য র্যালি বের করায় বিশ^রোড থেকে রূপসী পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। র্যালি শেষে পুলিশ প্রশাসন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যানজট নিয়ন্ত্রণে আনেন।
জানা গেছে, দুপুরে বিশ^রোড বালুর মাঠে আওয়ামী লীগ, মহিলা লীগসহ সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হতে শুরু করে। এক পর্যায়ে সেখানে জনসমুদ্রে পরিণত হয়। পরে বিকেল ৪টার দিকে সেখান থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি রূপসী বাসস্টেশনে শেষ হয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্যে দেন, সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক), জেলা পরিষদের প্রশাসক আব্দুল হাই, উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি ও তারাব পৌরসভার মেয়র মিসেস হাসিনা গাজী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা প্রমুখ।
এর আগে, বেলা ১১টার দিকে মুড়াপাড়া বাজার এলাকা থেকে র্যালি বের হয়ে উপজেলার কড়ইতলা মঞ্চে শেষ হয়। সেখানে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল বাশার টুকু।
এছাড়া দুপুরে মুড়াপাড়া বিশ^বিদ্যালয় কলেজ শাখার ভিপি শাহরিয়ার পান্না সোহেলের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মঠের এলাকা থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
নীলফামারীতে আলাদা আলাদা কর্মসুচি
নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা জানান, আওয়ামীলীগের কর্মসুচি পালনে নীলফামারী জেলা শহরে উত্তাপ ছড়ালেও শেষ পর্যন্ত শান্তিপুর্ণ ভাবে আলাদা আলাদা ভাবে “গণতন্ত্ররক্ষা দিবস” পালন করেছে আওয়ামী লীগের দুই নেতৃত্ব।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভা মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদের নেতৃত্বে বিজয় র্যালি শহরের জেলা পরিষদস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনার চত্বরে সমাবেশে মিলিত হয়।
খাগড়াছড়িতে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ
খাগড়াছড়ি জেলা সংবাদদাতা জানান, খাগড়াছড়িতে বিজয় শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগের বিভক্ত দুটি গ্রুপ। গতকাল সকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার নেতৃত্বে জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টার বিজয় শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে টাউন হল প্রাঙ্গণে চেতনা মঞ্চে সমাবেশ করে। এসময় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী ও জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রণবিক্রম ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
গাজীপুরে র্যালি ও আলোচনা সভা
গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজারে এক বিজয় র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডলের পক্ষে র্যালিটি ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে আলহেরা পাম্প হয়ে সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-২ এর কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আ’লীগ সদস্য এস এম শামীম, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ভিপি এস এম পনির আহম্মেদ, আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল হোসেন মন্ডল, মো: হাজী এমারত হোসেন, শামীম আল কায়সার, মহানগর যুবলীগ নেতা এস এম ইউসুফ, নাছির উদ্দিন সোহাগ, শহিদুল ইসলাম মন্ডল, মো: নবীন হোসেন, হাসান উদ্দিন সরকার প্রমুখ। একইদিনে নগরীর চান্দনা চৌরাস্তায় মহানগর যুবলীগের উদ্যোগে আলোচনা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নওগাঁয় সংবিধান রক্ষা ও গণতন্ত্রের বিজয় দিবস
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা জানান, নওগাঁও সংবিধান রক্ষা ও গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় সেখানে গিয়ে শেষ হয়। পরে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানিকগঞ্জে গণতন্ত্ররক্ষা দিবস
মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, র্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে মানিকগঞ্জে পালিত হয়েছে গণতন্ত্ররক্ষা দিবস।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দিবসটি উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে শহরে একটি র্যালি বের করে। র্যালিটি শহীদ রফিক সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কোর্ট চত্বরে এসে সমাবেশ করে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নবনির্বাচিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম আপেল, জেলা যুবলীগ সভাপতি সুদেব সাহা প্রমুখ।
টাঙ্গাইলে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। সকালে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শান্তির প্রতিক পায়রা উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি ফজলুর রহমান খান ফারুক।
এসময় ছানোয়ার হোসেন এমপি, মনোয়ারা বেগম এমপিসহ জেলা আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
পরে একটি বর্নাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে।
নাটোরে আওয়ামী লীগের সংবিধান সুরক্ষা দিবস
নাটোর জেলা সংবাদদাতা জানান, নাটোরে আওয়ামী লীগের সংবিধান সুরক্ষা ও গণতন্ত্রের বিজয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে আয়োজিত এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম শিমুল। তিনি বলেন, জামায়াত শিবির গণতন্ত্র রক্ষায় নির্বাচনে না গিয়ে গণতন্ত্রহত্যা দিবস পালনের নামে এক হাস্যকর কর্মসূচি পালন করছে।
বাউফলে চিফ হুইপের শোডাউন
বাউফল উপজেলা (পটুয়াখালী ) সংবাদদাতা জানান, পটুয়াখালীর বাউফলে গতকাল বিকাল সাড়ে চারটার দিকে স্থানীয় এমপি জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের নেতৃত্বে শোডাউন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ের আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী একত্রিত হলে তাদের নিয়ে চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ বাউফল পৌরশহড়ে বিশাল শোডাউন দেন।
ধামরাইয়ে গণতন্ত্রের বিজয় র্যালি ও আলোচনা সভা
ধামরাই উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ঢাকার ধামরাইয়ে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে আনন্দ র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌরসভার যাত্রাবাড়ী মাঠে আলোচনা সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিতির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ এম মালেক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।