২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
পাহাড়ে চড়তে কে না ভালোবাসে। কিন্তু পাহাড়ে চড়তে গেলে কিছু বিপত্তি হতে পারে। অবশ্য যারা পাহাড়প্রেমিক তারা তাতে পিছপা হবেন না তা বলাই বাহুল্য। অসতর্কভাবে চড়লে যেমন পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে তেমনি খুব দ্রুত যদি পাহাড়ে উঠা হয় তবে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
যারা ৩০০০ মিটারের মতো উঁচু পাহাড়ে চড়েন তাদের মধ্যে ৪০-৫০% মানুষের এ সিনড্রোম হয়। তবে দ্রুত পাহাড়ে উঠলে আরো বেশিজনের সিনড্রোমটি দেখা যায়। একিউট মাউন্টেন সিকনেসের যেসব উপসর্গ দেখা যায় তার মধ্যে আছেÑ
১। মাথাব্যথা ২। বমি ৩। অনিদ্রা ৪। ক্লাšি ৫। ক্ষুধামন্দা ৬। বমিভাব ৭। মাথাঘোরা ৮। চলাফেরায় সমস্যা ৯। হাত-পা ফুলে যাওয়া ইত্যাদি।
কেন একিউট মাউন্টেন সিকনেস হয় তা এখনো পুরোপুরিভাবে জানা যায়নি। তবে উপরে উঠলে রক্তে অক্সিজেন কমে যায়। রক্তে অক্সিজেন কমে গেলে ব্রেনে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। ব্রেনের ভেতর প্রেসার বাড়ে। যার ফলে একিউট মাউন্টেন সিকনেস হয়। পাহাড়ে চড়ার ৬-১২ ঘণ্টার মধ্যেই উপসর্গ দেখা দেয়। খুব সামান্য সমস্যা থেকে শুরু করে অনেক জটিল সমস্যা হয়।
বিশ্রাম নিলে এবং ওষুধ খেলে একিউট মাউন্টেন সিকনেস ভলো হয়ে যায়। কিন্তু পাহাড়ে উঠতে থাকলে সমস্যাগুলো আবার দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে নিচে নেমে আসতে হয়। এসিটাজোলামাইড নামে একটি ওষুধ আছে। এই ওষুধ খেলে অনেক সময় উপসর্গ কমে যায়।
পাহাড়ে চড়ার অভ্যেসটা মানুষের চিরন্তন। তবে পাহাড়ে উঠার পর খারাপ লাগলে আনন্দ অনেক কমে যায়। তাই এ বিষয়ে জানা উচিত। পাহাড়ে চড়ার আগেই এসিটাজোলামাইড ওষুধ খেয়ে নিলে সমস্যা থাকেনা। যদি খুব অল্প সময়ে পাহাড়ের শীর্ষদেশে উঠার প্ল্যান থাকে তবে চিকিৎসকের পরামর্শে এসিটাজোলামাইড খেয়ে নেয়া উচিত।
ডা. মো. ফজলুল কবির
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।