পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
কর্পোরেট রিপোর্টার : বিদায়ী বছরে রেমিট্যান্স কমেছে। এই পুরো সময়ে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে এক হাজার ৩৬১ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছে। বার্ষিক হিসাব ছাড়াও অর্থবছরের হিসাবেও রেমিট্যান্স কমেছে। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রেমিট্যান্স এসেছে ৬১৬ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। যা এর আগের ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭.৬৩ শতাংশ কম। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ৭৪৮ কোটি ৭১ লাখ ডলার। রেমিট্যান্সের এই অঙ্ক এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালে আসা রেমিট্যান্সের তুলনায় ১৭০ কোটি ১৩ লাখ ডলার বা ১১.১১ শতাংশ কম। অথচ ২০১৫ সালের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৫৩১ কোটি ২১ লাখ ডলার, যা ২০১৪ সালে আসা রেমিট্যান্স থেকে ৩৬ কোটি ৯৫ লাখ ডলার বা ২.৪৭ শতাংশ বেশি। এর আগে প্রায় এক যুগ পর ২০১৩ সালে রেমিট্যান্স কমে গিয়েছিল। ওই বছর ৩৪ কোটি ডলার বা ২.৩৯ শতাংশ রেমিট্যান্স কম এসেছিল। দেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে নেওয়া প্রবাসী আয়ের তথ্যের আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থবছর ধরে রেমিট্যান্সের হিসাব করে। সেই হিসাব থেকে বার্ষিক এ তথ্য তুলে আনা হয়েছে। একক মাস হিসেবে গত ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র ৯৫ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। গত নভেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ৯৫ কোটি ১৩ লাখ ডলার। গত পাঁচ বছরে আর কোনো মাসে এত কম রেমিট্যান্স আসেনি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোসহ বিশ্বের যে পাঁচটি দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে সেই দেশগুলো থেকেও স¤প্রতি রেমিট্যান্স কম আসছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, রেমিট্যান্স আহরণের শীর্ষ দেশ সৌদি আরব থেকে গত জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স আসে ৯৬ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছিল ১২৫ কোটি ডলার। পাঁচ মাসে সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স কমেছে ২৯ কোটি ডলার, যা ২২.৮৫ শতাংশ। আলোচ্য পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স আহরণে দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আসে ৮৭ কোটি ৪১ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ১১০ কোটি ডলার। একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে ২৩ কোটি ডলার, যা ২১ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।