Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ডব্লিউটিওর পূর্বাভাস, আগামী বছর ধীর হবে বৈশ্বিক বাণিজ্যের গতি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

আগামী বছর বৈশ্বিক সামগ্রিক বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি ধীর হবে। বিশ্বব্যাপী জ্বালানি মূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ক্রমাগত সুদের হার বৃদ্ধি এবং কভিড-১৯ মহামারীতে চীনের উৎপাদন খাতে অনিশ্চয়তায় ২০২৩ সালে বাণিজ্য বৃদ্ধির পরিমাণ ১ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)। খবর এপি। সুইজারল্যান্ডের জেনেভাভিত্তিক বাণিজ্য সংস্থাটি জানায়, চলতি বছর বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য বৃদ্ধির পরিমাণ ৩ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও গত এপ্রিলে ডব্লিউটিওর পূর্বাভাসে ৩ শতাংশ বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছিল। একই সঙ্গে আগামী বছর এ বৃদ্ধির পরিমাণ ১ শতাংশ হবে। যদিও আগের পূর্বাভাসে আগামী বছর বাণিজ্য বৃদ্ধির পরিমাণ ৩ দশমিক ৪ শতাংশের কথা বলা আছে। ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক এনগোজি ওকোনজো আইওয়েলা সাংবাদিকদের বলেন, আগামী বছর বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ঝুঁকি অবশ্যই নেতিবাচক দিকে রয়েছে। ডব্লিউটিওর অর্থনীতিবিদরা বলেন, চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ের পূর্বাভাসের তুলনায় বাণিজ্য বৃদ্ধির পরিমাণ এখন ভালো অবস্থানে রয়েছে। ইউক্রেনে হামলার কারণে রাশিয়াকে বাদ দিয়ে ভোক্তা দেশগুলো মধ্যপ্রাচ্যের জ্বালানি তেল ও গ্যাস উৎপাদনকারী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর কারণে সামগ্রিক বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যুদ্ধের কারণে উচ্চ জ্বালানি মূল্যসহ সামগ্রিক বাণিজ্য প্রভাবের কয়েকটি কারণ খুঁজে পেয়েছে ডব্লিউটিও। এ কারণগুলোর একটি রাশিয়ার জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বড় গ্রাহক থাকা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা। এনগোজি ওকোনজো আইওয়েলা বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনীতি বহুমুখী সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আর্থিক সংকটে রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও ঋণ সংকটের কারণে নিম্ন আয়ের উন্নয়নশীল দেশগুলো গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এদিকে ইউরোপে উচ্চ জ্বালানি মূল্যের কারণে গৃহস্থালি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে চাপ সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে চীনে নভেল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে উৎপাদন ও অর্থনীতির শ্লথগতিতে স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। ডব্লিউটিও জানায়, কভিড-১৯ মহামারী মন্দা থেকে বর্তমানে বিশ্ব বাণিজ্য ভালো অবস্থানে ফিরতে শুরু করেছে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ এবং অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধি আবাসন খাত, গাড়ি বিক্রি এবং বন্ডের মূল্যে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। চাহিদার সংকোচন এবং করোনাভাইরাস মহামারীতে অব্যাহত উৎপাদন হ্রাসের কারণে চীনের রফতানি কমার সম্ভাবনা রয়েছে। জেনেভাভিত্তিক বাণিজ্য সংস্থাটি আরো জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে রাশিয়া ডব্লিউটিওকে তার বাণিজ্য সম্পর্কিত পরিসংখ্যান জানায়নি। এ কারণে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাছে রুশ বাণিজ্যের পরিসংখ্যান অস্পষ্ট রয়েছে। পাশাপাশি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত সিআইএসের (কনফেডারেশন অব ইনডিপেনডেন্ট স্টেটস) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোয় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে রফতানি প্রায় ১০ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। এপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডব্লিউটিওর পূর্বাভাস
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ