Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

অনুরাগ ঠাকুর অপসারিত

| প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : আইপিএলের সূত্র ধরে ভারতীয় ক্রিকেট ও এর প্রশাসনে ছড়িয়ে পড়া দুর্নীতির চিত্র উঠে আসে। তখন ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে সাবেক বিচারপতি আর এম লোধার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। ২০১৫ সালে গঠিত এই কমিটি বেশ কিছু নির্দেশনা ও সুপারিশ দিয়েছিল গত বছর জুলাইয়ে। কিন্তু বিসিসিআই এসব সুপারিশের বেশ কিছু পালনে অপারগতার কথা জানিয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, বিসিসিআই প্রধান এ ব্যাপারে আইসিসিকে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধও করেছিলেন।
এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ ডিসেম্বর সর্বশেষ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুর সর্বশেষ শুনানির সময়ই হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছিলেন, অনুরাগ ঠাকুর আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা না চাইলে তাকে জেলে যেতে হবে। আজ রায়ে অনুরাগ ঠাকুরকে নির্বাসনেই পাঠালেন আদালত। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রধানের পদ থেকে অনুরাগকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে বিসিসিআইয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর, বোর্ড সচিব অজয় শিরকেকেও সরে যেতে হবে দায়িত্ব থেকে।
শীতকালীন ছুটি শেষে গতকাল আদালত খুলতেই ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অদলবদলের রায়টি এল সুপ্রিম কোর্ট থেকে। তিন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের প্রধান, ভারতের প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুর কদিন পরেই অবসরে যাবেন। এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী বোর্ডকে ভালোমতোই ধাক্কা দিয়ে গেলেন। ভারতের সাবেক প্রধান বিচারপতি আর এম লোধা এই রায়কে ক্রিকেটের বিজয় বলে উল্লেখ করে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘এটা যৌক্তিক ফল। কোর্ট যখন সুপারিশগুলো গ্রহণ করেছে তখন বাস্তবায়ন করতেই হবে।’ সিএনএন নিউজকে শিরকে এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, যদি তাকে সরিয়ে দেয়া হয় সেটি কোনো ইস্যু নয়। তিনি নিজের কাজে ফিরে যাবেন।
টি এস ঠাকুরের রায়ে আরও বেশ কিছু নির্দেশনা আছে। যেসব রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা লোধ কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে, তাদেরও বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট এখন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একটি কমিটি করে দেবেন বিসিসিআই চালানোর জন্য। অনুরাগকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশও দেয়া হয়েছে আদালতের ওপর হস্তক্ষেপের চেষ্টা ও মিথ্যা হলফনামা দেয়ার জন্য। ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি সময় পাবেন শোকজ নোটিশের জবাব দেয়ার। ওই দিনই বিসিসিআইয়ের অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্যদের নির্বাচিত করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ