পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : রাগ, অভিমান, ক্ষোভে প্রায় দশ মাস ধরে আলাদা রয়েছে কুমিল্লা জেলা ছাত্রদলের দুই গ্রুপ। দীর্ঘদিন বিরোধে জড়িয়ে থাকা ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে মিলন ঘটে দুই বছর আগে। ওই সময়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কুমিল্লায় আগমন ঘিরে জেলা বিএনপির অন্যতম দুই নেতা মেয়র মনিরুল হক সাক্কু এবং দলের সাধারণ সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের দীর্ঘ বিরোধের অবসান ঘটলে ছাত্রদলে থাকা তাদের অনুসারী নেতাকর্মীরাও এক কাতারে দাঁড়ায়। কিন্তু গত বছরের ফেব্রুয়ারির দিকে ছাত্রদলের জেলা ও মহানগর কমিটির শীর্ষ পদে রাখা না রাখা নিয়ে বিরোধিতা তৈরি হওয়ায় সৃষ্টি হয় দূরত্ব। যার রেশ নতুন বছরের প্রথমদিন ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন কর্মসূচিতে ফুটে ওঠে। জেলা ছাত্রদলের দুই গ্রুপ নতুন বছরের প্রথমদিন আলাদাভাবে সংগঠনের কর্মসূচি পালন করে কুমিল্লাবাসীকে জানান দিয়েছে তারা এখন আর ঐক্যবদ্ধ নয়।
প্রায় দুই বছর আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কুমিল্লা আগমন ঘিরে দীর্ঘ বিরোধের অবসান ঘটে মেয়র সাক্কু ও হাজী ইয়াছিনের। তাদের অনুসারী ছাত্রদল, যুবদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি একসঙ্গে পালন করে। ছাত্রদলের দুই গ্রুপকে একসঙ্গে মিছিল মিটিংয়েও দেখা গেছে। কিন্তু বিরোধ অবসানের চৌদ্দ মাসের মাথায় ছাত্রদলের মধ্যে ফের দেখা দেয় মনমালিন্যতা। কারণ হিসেবে জানা যায়, জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের প্রসঙ্গ। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে প্রক্রিয়া শুরু হয়। তালিকাও পাঠানো হয় কেন্দ্রে। কিন্তু বিপত্তি দেখা দেয় মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি বা আহ্বায়কসহ পরের কয়েকটি দায়িত্বশীল পদ নিয়ে। অভিযোগ উঠে, ছাত্রদলের বর্তমান জেলা কমিটির হাজী ইয়াছিন অনুসারী সভাপতি উৎবাতুল বারি আবু ও সাধারণ সম্পাদক নিজামউদ্দিন কায়সার একই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপুকে মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক বা সভাপতি না করার জন্য কেন্দ্রে বিরোধিতা করছে। ব্যাস, এ নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে পুরনো দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। সেই থেকে প্রায় দশ মাস ধরে দুই গ্রুপ আলাদাভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করে আসছে। ছাত্রদল দুই গ্রুপের পুরনো দ্বন্দ্ব নতুন করে দেখা দেয়ায় এর প্রভাব পড়তে থাকে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ওপর।
নতুন বছরের প্রথমদিন ১ জানুয়ারি ছিল ছাত্রদলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ছাত্রদল নেতাকর্মীদের জন্য এটি ছিল মহাআনন্দের দিন। কিন্তু সংগঠনটি নতুন বছরে ৩৮তম পা রাখলেও কুমিল্লা জেলা ছাত্রদল একসঙ্গে রাজপথে নিজেদের পা ফেলতে পারেনি। এক গ্রুপ সকালে আনন্দ র্যালি করে। অপর গ্রুপ করে বিকেলে। অথচ তৃণমূল নেতাকর্মীরা ভেবেছিলেন জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপে অন্তত নতুন বছরের প্রথমদিন কুমিল্লা ছাত্রদলের হাজারো জিয়ার সৈনিক আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্যদিয়ে রাজপথে একসঙ্গে পা ফেলবে, কেক কাটবে, আলোচনা করবে, আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা শুনাবে সংগঠনের সাধারণ কর্মীদের। কিন্তু এটি না হয়ে আলাদা কর্মসূচির মাধ্যমে দুই গ্রুপ শো-ডাউন করে কুমিল্লাবাসীকে নিজেদের ভিন্নতার বহিঃপ্রকাশ দেখিয়েছে। ওইদিন ছাত্রদলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লা জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু গ্রুপ সকালে নগরীর কান্দিরপাড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আলোচনা সভা ও পরে র্যালি করে। একই দিন বিকেলে একই স্থানে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি উৎবাতুল বারি আবু ও সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন কায়সার নেতৃত্বাধীন গ্রুপ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।