পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জের সংসদ মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যাকান্ডের পেছনে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির হাত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কারও বা কোনো সংগঠনের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ধর্মীয় মৌলবাদী অপশক্তিকে এই কৃত অপরাধের জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।
গতকাল রোববার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকম-লীর বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়, এটা সাম্প্রদায়িক অপশক্তির কাপুরুষোচিত কাজ। ধর্মীয় মৌলবাদী অপশক্তিকে এই কৃত অপরাধের জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।
লিটনের হত্যাকা-কে পরিকল্পিত আখ্যা দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ যখন বর্ষবরণের আনন্দ-উৎসবে, ঠিক সেই মুহূর্তে এটা বর্বোরোচিত আক্রমণ। তিনি বলেন, কোনো অপশক্তি চলমান উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, তাদের প্রতিরোধ করব, পরাজিত করব। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক জেড এ মাহমুদ ডনের ওপরও হামলার নিন্দা জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ওই ঘটনারও বিচার হবে।
গত শনিবার সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের শাহবাজ গ্রামে নিজের বাড়িতে গুলির শিকার হন আওয়ামী লীগ নেতা লিটন। ওইদিন সন্ধ্যায় মোটর সাইকেলে করে এসে অজ্ঞাত পরিচয় তিন যুবক বাড়িতে ঢুকে গুলি করে চলে যায় বলে জানিয়েছেন সংসস সদস্যর স্ত্রী সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় লিটনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। তার বুকের বাঁ দিকে দুটো এবং বাঁ হাতে তিনটি গুলি লেগেছিল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে আটক করেছে, যাদের অধিকাংশই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এনামুল হক শামীম, মহিবুল হাসান চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।