পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক : বাজার উন্নয়নে নীতি-নির্ধারকসহ সব মহলের নেয়া ইতিবাচক পদক্ষেপে গত কয়েক মাস ধরে বাড়ছে সূচক ও লেনদেন। সেই ধারাবাহিকতা বছরের প্রথম কার্যদিবসেও যেন বিদ্যমান থাকল। যা বছর জুড়ে বিদ্যমান থাকবে বলে সবার প্রত্যাশা। কেননা সংশ্লিষ্টদের নেয়া পদক্ষেপগুলোর বাস্তবায়ন শুরু হলে বাজার পুরোদমে তার কাক্সিক্ষত গতি ফিরে পাবে বলে মনে করছিলেন বিশ্লেষকরা। আর তাদের সেই প্রত্যাশা পূরণের গ্রিন সিগন্যাল দিল নতুন বছরের (২০১৭ সাল) প্রথম দিনের বাজার। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় শেষ হয় লেনদেন। আর গতকাল সূচক বৃদ্ধির হারও ছিল তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি। রোববার সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনকৃত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে আর্থিক খাতে ভর করে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে প্রায় হাজার কোটি টাকা। এদিকে ডিএসইর সূচক গত দুই বছর দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থান করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গত কয়েকমাস ধরেই ব্যাংক ও আর্থিক খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ক্রমশঃ বাড়ছে। ইতোমধ্যে বছর শেষ হওয়ার সংগে সংগে ব্যাংকগুলো তাদের পরিচালন মুনাফা মিডিয়ায় জানিয়ে দিয়ে বিনিয়োগকারীদের বুঝতে সুযোগ করে দিয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে এ বছর প্রায় প্রতিটি ব্যাংক আগের বছরের তুলনায় ভালো করেছে। পাশাপাশি গত তিন মাসে আর্থিক খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। তাছাড়া জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে আর্থিক খাতে থাকা অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। পাশাপাশি বছর শেষে এ খাতে থাকা কোম্পানিগুলোর মুনাফা আগের তুলনায় বাড়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে যা এ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন তারা।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫০৮৩ পয়েন্টে। এর আগে গত ২০১৪ সালে ২ নভেম্বর ডিএসইর সূচকের অবস্থান ছিল ৫১০৫ পয়েন্ট।
ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২০০ পয়েন্টে এবং ডিএসই৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৮২১ পয়েন্টে। গতকাল দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৪৩টির, কমেছে ৬০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির। দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৯৯৩ কোটি ৬৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৫০৩৬ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১১৯১ পয়েন্টে এবং ডিএসই৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৮১০ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭০ কোটি ৫৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
এদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক ১৬৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৫৬৪৭ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৬০টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৭০টির, কমেছে ৪২টির এবং অপরবর্তিত রয়েছে ১১টির। আর দিনশেষে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৬২ কোটি ৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। আগের কার্যদিবসে সিএসই সার্বিক সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৫৪৮৮ পয়েন্টে। আর ওই দিন সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছিল ৭৪ কোটি ১৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। -ওয়েবসাইট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।