পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : পদ্মা সেতুতে রেললাইন সংযোগ প্রকল্প তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট (সিএসসি)। এ কাজে সিএসসিকে সহযোগিতা করবে বুয়েটের বিআরটিসি (ব্যুরো অব রিসার্চ টেস্টিং অ্যান্ড কনসালট্যান্ট)। গতকাল রোববার এ বিষয়ে সিএসসির সঙ্গে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলমন্ত্রী মো: মুজিবুল হক বলেন, ২০১৮ সালের শেষ দিকে পদ্মা সেতুতে একই সাথে রেল যোগাযোগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সঠিক সময়ে নির্মাণকাজ শেষ করতে পরামর্শক কাজ সেনাবাহিনীকে দেয়া হয়েছে। রেলমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এটা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হচ্ছে এবং দ্রুত কাজ সম্পন্ন করা হবে। সেতু দিয়ে একই দিনে চলবে বাস, ট্রেনসহ বিভিন্ন যানবাহন।
অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক বলেন, ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর কাছে ন্যস্ত পদ্মা বহুমুখী সেতুর ৩টি প্রকল্পের মধ্যে দ’ুটি প্রকল্প যথাসময়ে সম্পন্ন করে বাংলাদেশ ব্রিজ অথরিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সিএসসির কর্মদক্ষতা ও পেশাদারিত্বের নতুন মাইলফলক রচিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে চুক্তি স্বাক্ষর করেন রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক সুকুমার ভৌমিক ও সিএসসির প্রকল্প ব্যবস্থাপক কর্নেল আবুল কালাম আজাদ। অনুষ্ঠানে বলা হয়, পরামর্শক সেবার আওতায় নির্মাণকাজের সুষ্ঠু তদারকিসহ আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে যথাসময়ে কাজ শেষের ব্যবস্থা করবে সেনাবাহিনীর কন্সট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট সেল (সিএসসি) অব কোর অব ইঞ্জিনিয়ারিং। চুক্তি অনুসারে, ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের তদারকি নিশ্চিত করবে সেনাবাহিনী। জানা গেছে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের জন্য সিএসসিকে সুপারভিশন পরামর্শক হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি গত ২০ ডিসেম্বর সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন পায়। এ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৪১ কোটি টাকা। পরামর্শক সেবাকাল দুই হাজার ১০০ দিন। এই সেবার আওতায় সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা ঠিকাদারের দাখিল করা নকশা যাচাই করে তার অনুমোদন দেবেন। এছাড়া তারা রেলের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, সাইট ক্লিয়ারেন্স এবং পুনর্বাসন কার্যক্রমে সহায়তা ও তদারকি করবে। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে নির্মাণকাজ সুষ্ঠু তদারকিসহ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণসহ যোগ্যতা বৃদ্ধি করা পরামর্শক সেবার মধ্যে রয়েছে। অনুষ্ঠানে রেল সচিব ফিরোজ সালাহ উদ্দিন ও রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেনও বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণে গত আগস্টে চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে রেলপথ মন্ত্রণালয়। এ প্রকল্পের আওতায় ১৪টি নতুন স্টেশন ভবন ও ছয়টি স্টেশন পুনর্নিমাণ, ৬৬টি গুরুত্বপূর্ণ সেতু এবং ২৪৪টি ছোট সেতু নির্মাণ, ১০০টি নতুন রেলকোচ কেনা এবং আধুনিক সিগন্যাল সিস্টেমের জন্য অপটিক্যাল ফাইবার লাইন স্থাপন করা হবে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ব্যয় ৩৪ হাজার কোটি টাকা। আর পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ২৮ হাজার কোটি টাকা। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়িত হচ্ছে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।