বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : বিভিন্ন সময়ে বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের কার্যক্রম নিয়ে ব্যাঙ্গ-বিদ্রƒপ করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণের কার্যক্রম পরিচালনার কার্যাদেশ পাচ্ছে। ইতোমধ্যে এমন একটি প্রতিষ্ঠান সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রশিক্ষণ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে।
গতকাল রবিবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে এক লিখিত আবেদনে এই অভিযোগ আনা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে কর্মরত ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে আনা ওই অভিযোগে এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটির হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। কমিটির পরবর্তী বৈঠকে অভিযোগটি উত্থাপন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কমিটি সূত্র জানায়, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে নারীদের তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের এ প্রকল্পে গত বছর ৬৪টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে প্রশিক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রায় ৫৬ কোটি টাকার কাজে নিয়ম বদলানো হয়েছে। এবার ৬৪ কোম্পানির পরিবর্তে ৬৪টি জেলাকে ৪টি ভাগে ভাগ করে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া হয়েছে। এই ৪টি গ্রæপের মধ্যে বিডিজবস নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই কাজের দায়িত্ব পেয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী প্রচারণার অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বিডিজবস-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এ কে এম ফাহিম মাশরুর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ব্যঙ্গ করা, কার্টুনও শেয়ার দিয়েছেন। অবশ্য এই প্রকল্পে অংশ নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে বেশ কিছু পোস্ট তার ফেসবুক পাতা থেকে মুছে ফেললেও প্রমাণ রয়েছে। আর ওই প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিডিজবস কর্তৃক নিয়োগকৃত কর্মকর্তা মাহবুবুর রশীদ তার ফেসবুক পাতায়ও সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ বাঁশের কেল্লার ওয়েবসাইটের সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ রয়েছে। অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, উক্ত প্রতিষ্ঠানের কাছে সরকারের এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের দায়িত্ব দেয়া মোটেও সমীচীন নয়। একই সঙ্গে তদন্ত সাপেক্ষে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়ার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।