পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি তামাকের সহজলভ্যতা কমাতে নিম্ন ও মধ্যম স্তরের সিগারেটসহ অন্যান্য তামাকপণ্যের কর বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিবৃন্দ। কর ও দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট শুল্ক আরোপ এবং মূল্যস্ফীতি ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হিসাব বিবেচনায় নেওয়ার পক্ষে মত দেন তারা।
আজ রবিবার (২০ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব সাবের হোসেন চৌধুরী এমপির কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তারা এ কথা বলেন। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ও তামাকমুক্ত বাংলাদেশ মঞ্চ যৌথভাবে সভাটি আয়োজন করে।
সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকার এমপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব মো. শামসুল হক টুকু এমপি, ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব মো. মকবুল হোসেন এমপি, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, রেজাউল করিম বাবলু এমপি, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এমপি এবং খাদিজাতুল আনোয়ার এমপি উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশে সিগারেট ব্যবহারকারীদের ৮০ শতাংশই নিম্ন ও মধ্যম স্তরের সিগারেট ব্যবহার করে। জনগণের আয় ৯ শতাংশ বাড়লেও বাজেটে এই দুই স্তরের দাম বাড়ানো হয়নি। অন্যদিকে উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটের দাম বাড়ানো হলেও তা মূল্যস্ফীতি ও আয়বৃদ্ধির তুলনায় কম হারে বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে ক্ষতিকর তামাকপণ্যের প্রকৃত মূল্য কমে গেছে, যা জনস্বাস্থ্যকে হুমকিতে ফেলবে।
তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জনাব জাহিদ মালেক অর্থ মন্ত্রণালয়ে তামাক কর বৃদ্ধির দাবিতে চিঠি লিখলেও তার পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। সংসদীয় কমিটির সভাপতিদের পক্ষ থেকেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
জনস্বাস্থ্য রক্ষায় জোর দিয়ে সভায় মকবুল হোসেন এমপি বলেন, তামাকের সহজলভ্যতা কমানো গেলে এর ব্যবহার হ্রাস পাবে। এজন্য এসব ক্ষতিকর পণ্যের দাম বাড়াতে হবে। পাশাপাশি যত্রতত্র তামাকপণ্য বিক্রি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাছাড়া তামাক চাষীদের বিকল্প ফসল চাষে প্রণোদনা দিতে হবে বলেও মত দেন তিনি।
তামাকপণ্যের দাম বাড়ানোর বিষয়ে শামসুল হক টুকু এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুসারে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে এখন থেকেই তামাককে মানুষের নাগালের বাইরে নিতে হবে।
তামাকের সহজলভ্যতা কমানোর বিষয়ে শহীদুজ্জামান সরকার এমপি বলেন, শক্তিশালী আইন ও নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।