Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণাঞ্চলে তাপমাত্রা এখনো স্বাভাবিকের উপরে

| প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বরিশাল ব্যুরো : পৌষের মধ্যভাগে ভরা শীত মৌসুমে এসে দক্ষিণাঞ্চলে তাপমাত্রা অতি ধীরে নামছে। তবে গতকাল পর্যন্ত তা ছিল স্বাভাবিকের ২ ডিগ্রির উপরে। ডিসেম্বরের শেষভাগে এসে বরিশাল অঞ্চলে শীতের তাপমাত্রা অবিশ্বাস্যভাবেই প্রায় ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কছে উঠে গিয়েছিল। গত তিন দিন ধরে তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেলেও তা এখনো স্বাভাবিক নয়। গতকাল বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে পটুয়াখালীতে গতকালও সর্বনিম্ন তারপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। আবহাওয়া বিভাগের গতকালের বুলেটিনে ‘দক্ষিণাঞ্চলসহ সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে’ বলে জানান হয়েছে।
তবে আবহাওয়া বিভাগের দীর্ঘ মেয়াদী বুলেটিনে, ‘চলতি মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ১-২টি ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মৃদু, ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝারী এবং ৬-৮ সেলসিয়াসের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার’ কথা জানান হয়েছিল। কিন্তু এখনো ভরা মৌসুমের কাক্সিক্ষত শীতের দেখা মেলেনি দক্ষিণাঞ্চলে।
বৃহস্পতিবারে বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকলেও বুধবারে তা ছিল ১৫.৫ এবং মঙ্গলবারে ছিল ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া বিভাগের মতে, উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপবলয়ের বর্ধিতাংশ ভারতের বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমী লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকার কথা জানিয়ে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়ার কথাও বলা হয়েছে।
গত সপ্তাহখানেক ধরেই মেঘনা অববাহিকাসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলেই শেষ রাত থেকে মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে। ফলে নৌযোগাযোগ ঝ‚ঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে অনেকটাই। দেশের প্রধান দু’টি ফেরি সেক্টর-পাটুরিয়া ও মাওয়াতে গত তিন দিন ধরে মধ্যরাত থেকে শেষ রাতে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ঘন কুয়াশায়। ফলে এ দু’টি সেক্টরে সকাল পর্যন্ত সহশ্রাধীক যানবাহন আটকা পড়ছে। আটকে পড়া যানবাহনের যাত্রীদের দুর্ভোগ অনেক ক্ষেত্রেই মানবিক বিপর্যয়েরও সৃষ্টি করছে।
পূর্ণ ভরা মৌসুমে এখনো শীতের দেখা না মেলায় সারা দেশের মতো দক্ষিণাঞ্চলেও গমের উৎপাদন ব্যহত হবার অধশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক বছর যাবত শীতপ্রধান দেশের এ দানাদার খাদ্য ফসলের আবাদ অমাদের দেশে বাড়লেও গতবছর ছত্রাকবাহী ‘বøাস্ট’ রোগের সংক্রমণে ভোলাসহ দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাতটি জেলার গমের ফসল পুড়িয়ে ফলতে হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দক্ষিণাঞ্চল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ