Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অব্যাহত বৃষ্টির অভাবে দক্ষিণাঞ্চলে ডায়রিয়া পরিস্থিতি আরো নাজুক হতে পরে দুমাসে আক্রান্ত দশ হাজার

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০২৩, ১২:৫৪ পিএম

কোভিড-১৯ এবং ডেঙ্গু থেকে আপতত রেহাই মিললেও ফেব্রয়ারীর ২৮ দিনে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের অপর ৪টি জেলা হাসপাতাল এবং ৪২টি উপজেলার সরকারী হাসপাতালগুলোতে আরো প্রায় ৫ হাজার ডায়রিয়া আক্রান্ত মানুষ চিকিৎসা গ্রহন করেছেন। এ নিয়ে চলতি বছরের প্রথম দুমাসেই দক্ষিনাঞ্চলের সরকারী চিকিৎসাসেবা গ্রহন করেছেন প্রায় ১০ হাজার ডায়রিয়া রোগী। এর বাইরে চিকিৎসকদের ব্যাক্তিগত চেম্বার ও প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে অন্তত দ্বিগুন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা গ্রহন করেছে বলে জানা গেছে। গত বছর যুড়েই সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে ডায়রিয়া দাপিয়ে বেড়ালেও এ পরিস্থিতি থেকে কবে রেহাই মিলবে সে বিষয়ে কোন স্পষ্ট ধারনা দিতে পারছেন না স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল মহলও। তবে ডায়রিয়া প্রতিরোধে বিশুদ্ধ পানি পান এবং সুষম খাবার গ্রহনের পাশাপাশি বাসী ও ভেজাল খাবার পরিহারের তাগিদ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. হুমায়ুন শাহিন খান।

সদ্য বিদায়ী বছরে দক্ষিণাঞ্চলের সরকারী হাসপাতালগুলোতে প্রায় ৭০ হাজার ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা গ্রহন করেন। তবে গত বছরের শুরু থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত এ অঞ্চলে কোন ডায়রিয়া রোগীর মৃত্যু না হলেও ২০২১ সালে করোনার মারাত্মক ঝুকির মধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় আরো ৭২ হাজার ডায়রিয়া রোগী সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহনের পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৭৫ জনের।
এখনো প্রতিদিন ১৮০ থেকে ২শ মানুষ ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে সরকারী হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য আসছেন। এখনো বরিশাল, পটুয়াখালী ও দ্বীপজেলা ভোলার অবস্থা তুলনামূলকভাবে খারাপ। গত দু মাসে শুধু ভোলাতেই প্রায় ৩ হাজার, বরিশালে দু হাজার, পটুয়াখালীতে ১৯শ এবং পিরোজপুরে দেড় হাজার ডায়রিয়া রোগী সরকারী হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা গ্রহন করেছেন বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে। বরগুনা ও ঝালকাঠীতেও প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছেন। আগাম শীতের বিদায় সহ চলতি বছরের শুরু থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমান শূণ্যের কোঠায় থাকায় ডায়রিয়া সহ জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি অতীতের চেয়ে আরো বেশী ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন ।
এ অঞ্চলের সরকারী হাসপতালে স্যালইন সহ বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী পর্যাপ্ত মজুতের কথাও বলেছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর। প্রায় ৪৫ হাজার ব্যাগ ১ হাজার সিসি ও ২৫ হাজার ব্যাগ ৫শ সিসি স্যালাইন সহ এ্যন্টিবয়োটিক ক্যাপসুল সহ সবধরনে চিকিৎসা সামগ্রীর পর্যাপ্ত মজুতের কথা বলেছেন বিভাগীয় পরিচালক, স্বাস্থ্য।
তবে আক্রান্ত হবার চেয়ে রোগ সচেতন হয়ে তা প্রতিরোধের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দক্ষিণাঞ্চল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ