Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী কর্মতৎপরতা : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে জড়িয়ে নতুন জোট গঠনের যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। গত ৯ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল ইসলামী আন্দোলনের নামে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারে মেতে উঠেছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে এসে যারা ইসলামী আন্দোলনকে জড়িয়ে জোট গঠনের সংবাদ প্রচার করছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার ও উদ্দেশ্যপূর্ণ। তাদের মাঝে রাজনৈতিক সততা ও ন্যূনতম শিষ্টাচার থাকলে তারা এভাবে অপপ্রচারে লিপ্ত হতেন না। মুহতারাম মহাসচিব জাতীয় প্রচার মাধ্যমগুলোকেও মনগড়া বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ইসলামী আন্দোলনের সর্বস্তরের কর্মী-সমর্থক এবং দেশবাসীকে কোন রকম বিভ্রান্তিতে কান না দিয়ে আপসহীন ধারায় ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
পীরসাহেব চরমোনাই
কান্নাভেজা কণ্ঠের আমীন আমীন ধ্বনির মধ্য দিয়ে ভেঙ্গে গেল প্রায় ২০ লক্ষ আল্লাহপ্রেমিকের মিলনমোলা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের হেফাজত এবং বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে ১০ জানুয়ারি সকাল সোয়া ৯টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হল উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ ইসলামী মহাসম্মেলন ঐতিহাসিক ইজতেমা ও হালকায়ে জিকির।
গত সোমবার বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি কুড়িগ্রাম জেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় ধরলা নদীর তীরে অবস্থিত ফজলুল করীম রহ: জামিয়া ইসলামিয়া ময়দানে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বার্ষিক ইজতেমা ও হালকায়ে জিকিরের সমাপ্ত হয়। ধরলা নদী তীরের বিশাল ময়দান ও এর সন্নিহিত এলাকায় তখন তিলধারণের ঠাঁই ছিল না। ফজর নামাজবাদ উপস্থিত লাখ লাখ ইসলামী জনতার উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বয়ান শেষে আমীরুল মুজাহিদীন আলহাজ হযরত মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীরসাহেব চরমোনাই প্রায় ২২ মিনিট এ মোনাজাত পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি উপস্থিত মুরিদানসহ সকল মুমিন মুসলমান ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য বুকভাসানো কান্নায় মহান আল্লাহরাব্বুল আলামীনের দরবারে পানাহ চেয়ে রহমত কামনা করেন। পীর সাহেবের সাথে লাখ লাখ মুসলীর বুকফাটা কান্না ও আহাজারিতে গোটা কুড়িগ্রাম এলাকাজুড়ে এ ভিন্ন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। প্রতিটি মানুষই যেন তাওবা ও অনুতাপের অশ্রু দিয়ে মুছে ফেলেন বিগত জীবনের পাপ-পঙ্কিলতার সব কালিমা।
৭ জানুয়ারি শুরু হওয়া ৩ দিনব্যাপী মাহফিলে আখেরি মোনাজাতের আগে পীরসাহেব তার মুরিদান ও অনুসারীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বয়ানে বলেন, শুধু জানা নয়; মানার নাম ইসলাম। এ তিনদিনের মাহফিলে বিভিন্ন আলেম-ওলামার জবান থেকে আমরা যা কিছু শুনলাম-জানলাম সে অনুযায়ী আমরা যদি বাস্তব জীবনের আমল করতে পারি তবেই কেবল সীমাহীন কষ্ট স্বীকার করে এখানের অবস্থান সার্থক হবে। তিনি সবাইকে শিরক ও বিদআত থেকে মুক্ত থেকে সমাজের ভ-পীর এবং বাতিলপন্থীদের সম্পর্কে সতর্ক থাকারও নসিহত করেন। পীরসাহেব বলেন, বিশুদ্ধ ঈমান-আমলের মাধ্যমে আখেরাতে জাহান্নাম থেকে নাজাতের ব্যবস্থা নিজেকেই করতে হবে। কোন পীর কারো জান্নাতের জামিন হতে পারেন না। তিনি শরীয়তের ওপর মজবুত থেকে জান্নাতের উপযুক্ত হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। এজন্য তিনি চরমোনাইর বাতানো পাঁচ ওষুধ- প্রতিদিন কাল-বিকাল জিকির, সাপ্তাহিক হালকায়ে জিকির ও তালিম, মাসিক ইজতেমা ও শবগুজারী, বজুর্গানে দীনের লেখা কিতাব পাঠ এবং শরয়ী ওজর ছাড়া চরমোনাই দুটি বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে অনুপস্থিত না থাকতে অনুরোধ জানান। তিনি দীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনেও সকল মুসলিকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ