পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : রাশিয়া সিরিয়ায় প্রথমবারের মত অত্যাধুনিক গোয়েন্দা বিমান মোতায়েন করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। গত কয়েকদিনে সিরিয়ার লাতাকিয়া বিমান ঘাঁটিতে রাশিয়ার অত্যাধুনিক নজরদারি ও গোয়েন্দা বিমান টিইউ-২১৪আর মোতায়েন করা হয়েছে। সিরিয়ায় সউদি ও তুরস্কের স্থলসেনা মোতায়েন নিয়ে জল্পনা-কল্পনার মধ্যেই এ খবর জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম। প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় রাশিয়ার এ ধরনের বিমান মোতায়েনের খবর প্রথম প্রকাশ করে দা এভিয়েশনিস্ট নামের একটি ওয়েবসাইট, যেটি বিশ্বব্যাপী সামরিক বিমান মোতায়েন পর্যবেক্ষণ করে থাকে। গণমাধ্যমটি জানায়, রাশিয়ার এই বিমানগুলো গোপন ও ছদ্মবেশী লক্ষ্যবস্তুকে শনাক্ত করার জন্য রাডার ও সেন্সর ব্যবহার করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা রাশিয়ার ওই বিমানের বিশেষ সক্ষমতা সম্পর্কে আলোচনা করতে রাজি হননি। তবে জানিয়েছেন যে, তাদের বিশ্বাসের সেন্সর খুবই উন্নতমানের। বিমানটি অত্যাধুনিক গোয়েন্দাবিমান। এটি সব আবহাওয়া উপযোগী এবং ইলেকট্রো অপটিক্যাল সেন্সর সমৃদ্ধ যা নীচের বিশাল ছবি ধারণ করতে সক্ষম। এটা ইলেকট্রনিক সিগন্যাল এবং শত্রুর যোগাযোগ ব্যবস্থা মনিটর করতে পারে। এর মাধ্যমে রাশিয়া সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমানের গতিবিধি মনিটর করতে সক্ষম বলে জানান মার্কিন কর্মকর্তারা।
অপরদিকে, খাদ্যসহ জরুরি প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে ত্রাণবহর সিরিয়ায় সরকারি বাহিনী দ্বারা অবরুদ্ধ থাকা চারটি এলাকায় পৌঁছেছে ত্রাণবহর। জাতিসংঘ ও ত্রাণ সংস্থার বরাতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, সাতটি এলাকা ঘেরাও করে রেখেছে সেখানে প্রায় পাঁচলাখ মানুষ বাস করছেন। ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো গত বুধবার বিদ্রোহীদের দখলে থাকা দামেস্কের কাছে মুআদমিয়া ও মাদায়া এবং উত্তরাঞ্চলীয় সরকারপন্থিদের দুটি গ্রাম ফোয়া ও কেফ্রায়ায় পৌঁছেছে। অপর শহর জাবাদানিতেও ত্রাণ যাচ্ছে। বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো গেল সপ্তায় সিরিয়ায় অস্ত্রবিরতি এবং দেশটিতে বৃহত্তর পরিসরে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর ব্যাপারে সম্মত হয়। এই ত্রাণ সহায়তা সেই সমঝোতারই অংশ। খাদ্য, চিকিৎসা সামগ্রী, ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপাতি বোঝাই প্রায় ১০০ ট্রাক দিনের প্রথম ভাগে দামেস্ক ছেড়ে যায়। সিরিয়ান আরব রেড ক্রিসেন্টের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, অতি প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্রের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন সিরিয়ার অনেক নাগরিক। মোওহান্নাদ আল আসাদি বলেন, কেফ্রায়া এবং ফোয়ার মানুষেরা তাদের পানির পাম্পগুলো চালুর করতে ডিজেলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তাদের পানি প্রয়োজন। চলতি সপ্তার শেষদিকে কাফর বাতনা এবং দির আল-জোওরেও ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হবে। এর আগেই সিরিয়া সরকার অবরুদ্ধ সাতটি এলাকায় জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণবহরকে ঢোকার অনুমতি দেয়। সরকারি অনুমোদন পাওয়ার পর দ্রুতই ত্রাণ নিয়ে হাজির হয়েছে সংস্থাগুলো। রুশ বিমান হামলার সহায়তায় সিরিয়ার বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সরকারি বাহিনী দেশটিতে হাতছাড়া হওয়া বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রমশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করছে। তবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ব্যাপক হারে বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়া নিয়ে উদ্বেগও দেখা দিয়েছে। সিএনএন, রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।